রেসিপি: মসুর ডালের বড়া তৈরি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার,৪ এপ্রিল ২০২৪
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। এবার আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি একটি রেসিপি পোস্ট। যেকোনো ধরনের বড়া বাড়িতে তৈরি করে খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তাই আপনাদের মাঝে আমি আজকে মসুর ডালের বড়া তৈরি করা উপস্থাপন করব। ইফতারিতে এই ধরনের খাবার খেতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া আমরা যেকোনো সময় অর্থাৎ বিকেলে এরকম হালকা নাস্তা তৈরি করতে পারি। একটু বেশি তেল দিয়ে মসুর ডালের বড়া মচমচে করে ভাজলে খেতে তো সেই ভালো লাগে।তো চলুন বন্ধুরা এখন আমি শুরু করব কিভাবে মসুর ডালের বড়া তৈরি করেছিলাম।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ক্রমিক নম্বর | নাম |
---|---|
১ | মসুর ডাল |
২ | কাঁচামরিচ |
৩ | পেঁয়াজ |
৪ | রসুন |
৫ | লবণ |
৬ | তেল |
৭ | পানি |
ধাপ-১
প্রথমে আমি কিছু মসুর ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখেছিলাম। মসুর ডালগুলো যেহেতু আমি শিলপাটায় বেটে নিব তাই এগুলো প্রায় এক ঘন্টার উপরে ভিজিয়ে রেখেছিলাম।
ধাপ-২
এরপর ডালগুলো আমি পানি ঝরিয়ে নিয়ে নিলাম। তারপর শিলপাটায় ভালোভাবে বেটে নিলাম।
ধাপ-৩
এরপর পরিমাণ মতো কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে বেটে নিলাম। তারপর মসলা গুলো ভালোভাবে মসুর ডালের সঙ্গে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ-৪
এরপর আমি মসুর ডাল যেই পরিমাণ সেই পরিমাণের অর্ধেক বেসনের আটা এবং অর্ধেক চালের আটা নিয়ে নিলাম।
ধাপ-৫
তারপর আটা গুলো ভালোভাবে হাত দিয়ে মিশিয়ে নিলাম। এখানে আটা গুলো খুবই ভালোভাবে মেশাতে হবে তা না হলে ডাল এবং আটা আলাদা আলাদা হয়ে থাকবে। মেশানো হয়ে গেলে আমি গোল গোল করে কিছু বড়া তৈরি করলাম।
ধাপ-৬
এরপর চুলায় একটি কড়া বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেলটা গরম হয়ে গেলে বড়া গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর বড়া গুলো ভালোভাবে উল্টিয়ে এপাশ-ওপাশ করে ভেজে নিলাম।
ধাপ-৭
এভাবে আমার আজকের তৈরি মসুর ডালের বড়া রেসিপি সম্পূর্ণ করলাম। আমার আজকের তৈরি মসুর ডালের বড়া আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আশা করব রেসিপিটি আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে। আজকে এখানেই শেষ করলাম। আগামী দিন নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার কাছেও যেকোনো ধরনের বড়া বাড়িতে তৈরি করতে বেশ ভালো লাগে। খেতেও অনেক বেশ সুস্বাদু লাগে। আজকে মসুর ডালের বড়া তৈরি করেছেন। এটা ভীষণ ভালো লাগতেছে আমার কাছে। এটা খেতেও বেশ সুস্বাদু। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে বেশ ভালই লাগে ইফতারের সময়। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জ্বী ভাইয়া আমার কাছে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি বাড়িতে তৈরি করতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমিও এই বড়া টা প্রায় প্রায়ই বাসায় বানিয়ে থাকি। তবে আমি রসুন-পেয়াজ আর কাচামরিচ বেটে না নিয়ে কুচি করে দেই। আমার কাছে খেতে দারুণ মজা লাগে এই বড়া৷ আপনাকে ধন্যবাদ এই রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য। তবে আপু, চেষ্টা করবেন রেসিপি পোস্টে উপকরণ এর ছবিগুলোও শেয়ার করার৷ এতে পোস্ট এর মান বৃদ্ধি পায়। শুভকামনা রইলো।
এরপর থেকে চেষ্টা করব আপু। তবে আমার কাছে এই বলাটা খেতে খুবই ভালো লাগে আপনার মত আমিও বাড়িতে প্রায়ই তৈরি করি।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে মসুরি ডালের বড়া তৈরি করলেন। আমরা এমনিতে বেশিরভাগ বুটের ডালের বড়া খেয়ে থাকি। কয়বার মুসুরির ডালের বড়া তৈরি করে খেয়েছিলাম। আজকে আপনিও খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন রকম ভাবে তৈরি করলে খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর বড়া তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু মাঝে মাঝে এরকম ভাবে যেকোনো রেসিপি তৈরি করে বাড়িতে খেতে ভীষণ মজা লাগে।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর বড়া তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার এই অসাধারণ বড়া তৈরি করা দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ মামা।
মসুরের ডালের বড়া খেতে আমি খুবই ভালবাসি।আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার।গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে।এছাড়াও বিকালের নাস্তা হিসেবে খেতে খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমরা তো বেশিরভাগ সময় বিকেলের নাস্তা হিসেবে এটি ব্যবহার করি। তবে আপনি ঠিক বলেছেন গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা লাগে।
পবিত্র মাহে রমজানে ইফতারিতে পেয়াজু ছাড়া চলে না। গরম গরম মসুর ডালের বড়া খেতে বেশ ভালো লাগে। আসলে মসুর ডালের বড়া বেশ সুস্বাদু এবং মজাদার হয়ে থাকে। ডালের বড়া তৈরি প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন । মসুর ডালের বড়া দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিলাম ভাইয়া ধন্যবাদ।
মসুরের ডালের বড়া ভীষণ মজাদার। ইফতারে এই বড়া খেতে ভালো লাগে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।আপনি চমৎকার করে মসুর ডালের বড়া রেসিপি করেছেন আপু।আমার তো ভীষণ পছন্দের এই বড়া।গরম গরম খেতে ভীষণ মজা হয় এই বড়া গুলো।ধাপে ধাপে চমৎকার করে বড়া তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছে ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।
আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে গরম গরম এই মুসুর ডালের বড়া খেতে। ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছেও যেকোনো ধরনের বড়া বাসায় তৈরি করলে সেটা খেতে খুবই মজা লাগে। আপনার মসুর ডালের বড়া দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমারো বাসায় ঠিক এই ভাবে মসুর ডালের বড়া রেসিপি তৈরি করে।বড়া বড়া গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ভাইয়া বড় গুলো।