ঘূর্ণিঝড়ে কুড়িয়ে পাওয়া আম
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার ,২৮ মে ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির সকলকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি বেশ ভালো ও সুস্থ আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে বেশি ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।অবশেষে ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব কমতে শুরু করে দিয়েছে। আর যেহেতু ঘূর্ণিঝড় এর প্রভাব কমতে শুরু করেছে তাই সকলেই আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবন যাত্রার মধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নদী এলাকাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কতটা ভয়াবহ হয়েছে সেটা এখন পর্যন্ত খবর নেয়ার সুযোগ হয়নি। যেহেতু এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ ভালো চলছে না তাই সেটা দেখার মত সুযোগ হচ্ছে না। গত পরশুদিন থেকে আমাদের এলাকা দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই তাই আমরা চাইলেও ভালোভাবে এই প্লাটফর্মে সময় দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছিনা। তারপরও চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব হয় কষ্ট করে হলেও আপনাদের মাঝে সময় অতিবাহিত করতে। আসলে সময় দিতে না পারলে যেন মনের মধ্যে অন্য রকমের একটা খারাপ লাগে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি আমার দিনের পুরোটাই হয় এই প্লাটফর্মের সময় দেয়ার মধ্য দিয়ে।
গতকাল প্রচুর পরিমাণে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে আমাদের এলাকাতে। আর এই ঝড় বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষয়ক্ষতি ও আমরা ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করতে শুরু। গতকাল যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল ঠিক সেই সময় আপনাদের ভাইয়া বলল কিছু আম কুড়িয়ে নিয়ে আসি। আপনাদের ভাইয়া সম্ভবত ৩০ মিনিটের মত গিয়েছিল আর এরই মধ্য দিয়ে অনেকগুলো পেয়ে গিয়েছিল। এত কম সময়ের মধ্যে যে এত বেশি আম পাওয়া যাবে সেটা আমি ভাবতে পেরেছিলাম না। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম সে যে আম পেয়েছে তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি পেকে গিয়েছে।
যেহেতু বছরের প্রথম পাকা আম পেলাম তাই এটা খেতে অনেক অনেক ভালো লাগছিল। আর যেহেতু আমগুলো পেকে গিয়েছিল তাই বেশিরভাগ ফেটে গিয়েছিল। আর ফেটে যাওয়া আম যখন তখন সেটা বেশি সময় থাকবে না নষ্ট হয়ে যাবে তাই তাড়াতাড়ি খেতে শুরু করে দিলাম।
আপনাদের মাঝে আমি পাকা আম গুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি আপনারা এটা দেখেই বুঝতে পারছেন যে কতটা বেশি পরিমাণে পেকে গিয়েছে। আপনাদের ভাইয়া আমগুলো নিয়ে আসার পরে আমরা সকলে এটা খেতে শুরু করে দিয়েছিলাম। যদিও ঝড়ের কারণে অনেক খারাপ অবস্থা হয়েছে সকল এলাকাতে তারপরও ঝড়ের দিনে এই ধরনের পাতা আম খেতে ভালই লাগছিল। সবথেকে বেশি ভালো লাগছিল এটা চিন্তা করে যে এখন পর্যন্ত অন্যান্য গাছে আম পাকা শুরু করেনি সেখানে আমরা পাকা আম খেতে পারছি।
আপনাদের এলাকাতে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কি ধরনের প্রভাব পড়েছে সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপু আপনার ঝড়ের দিনের পাকা আম কুড়িয়ে পাওয়া দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। এই ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর অন্যরকম মজা। যদিও ভাইয়া কুড়িয়েছে তারপরেও ঝড়ের দিনের কুড়ানো আম খেতে কিন্তু অন্যরকম মজা। আর আম গুলো দেখছি একদম পেকে গিয়েছে ।দারুন টসটসে পাকা আম পেয়েছে দেখছি ।সত্যি ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর অনুভূতি অসাধারণ লাগে ।যদিও সেই ছোটবেলায় কুড়িয়েছি মনেও নেই। তাই কারো আম কুড়ানো দেখলে ভীষণ ভালো লাগে।
ঝড়ের দিনে কুড়ানো আম খেতে সত্যি অনেক বেশি মজা লাগে আপু। কেন জানিনা এই স্বাদ মনে হয় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গতকাল ঘূর্ণিঝড়ে আপনি আম কুড়িয়েছেন সে অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ৩০ মিনিটে আপনি প্রায় অনেকগুলো আম কুড়িয়েছেন। আসলে ঝড় হলে আমার ঘরের বাইরে যেতে বেশ ভয় লাগে আপনার তো বেশ সাহস। আসলে বছরে প্রথম যেকোনো জিনিস খেতে সকলের কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি তো আম কুড়াতে যাইনি তোমার মামা গিয়েছিল। আর সে এই আমগুলো সব কুড়িয়ে এনেছে।
ইচ্ছা ছিল ঝড় বা বাতাস হলে আম কুড়াতে যাব। কিন্তু সবকিছু ইচ্ছা করলেই যে সেটা হবে এমন কথা নয়। পরিবারের প্রয়োজনে সেটা করতে পারি নাই। একটা সময় ছিল ঝড় হলে আম কুড়াতে গেছি খুব আনন্দ করেছি। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটে। যাই হোক আম কুড়ানোর সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয় ভাইয়া তবে নিজেকে মানিয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে যেতে হলে একটু পরিশ্রম করতে হয়।
আসলে ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে কিন্তু ভীষণ ভালোই লাগে। কিন্তু আবার বেশি ঝড় তুফান হলে তখন কিন্তু ভয় থাকে, যদি আবার কোন ক্ষতি না হয়। কিন্তু ভাইয়া দেখছি অল্প সময়ের মধ্যেই অনেকগুলো আম পেয়ে গেল। তার মধ্যে আবার আমগুলো বেশ পাকা। গাছ থেকে পাকা আম পড়লে কিন্তু সেগুলো অনেক মিষ্টি হয় খেতে। আপনার আম খাওয়া দেখে আমারও খেতে ইচ্ছে করতেছে।
বেশি ঝড় হলে তো আপু আমের ডাল ভেঙে মাথার উপর পড়বে। তখন ডাক্তার বাড়ি দৌড়াতে হবে আম খাওয়া আর হবে না। তবে আপনার ভাইয়া অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলো আম কুড়িয়েছিল এর মধ্যে বেশিরভাগই পাকা।
আসলেই অনেক এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।তারপরও আপনারা নিশ্চয়ই আপনাদের গাছের পাকা আম কুড়িয়ে খাচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো।তাছাড়া দেখেই লোভ লেগে গেল,ঝড়ের সময় আম কুড়িয়ে খেতে অনেক মজার।তাহলে ভালোই ঝড় হয়েছে আপনাদের ওখানে।ধন্যবাদ আপু,সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপু আম কুড়াতে না গেলে সবাই তো নিয়ে নেবে তখন নিজের গাছের আম আর পাব না।
আমাদের এদিকেও গতকাল থেকে প্রচুর ঝড় হয়েছে, বিদ্যুৎ ও নেট একদম ছিল না আপু। আমিও টুকটাক আম কুড়িয়েছি বাসার সামনে। বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে৷
আপনার বাসার সামনে থেকে আম কুড়িয়েছেন আপু জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
আসলে আমাদের এলাকায় আগের মতো আম গাছ না থাকার কারণে। এখন আর ঝড়ের মধ্যে আম কুড়ানো হয়ে ওঠে না। তবে আপনি এই ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে বেশ অনেক আম কুড়িয়ে পেয়েছেন। আম গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো লেগেছিলো। ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ঘরবাড়ির পরিমাণও অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আর এতে বন জঙ্গল সহ বসতবাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ও কেটে ফেলা হচ্ছে। এটা কিন্তু আমাদেরই ক্ষতি হচ্ছে ভাইয়া।
আমি ঢাকায় আছি।এখানে বাতাস আর বৃষ্টি হয়েছে। বাইরে যাওয়া হয়নি তাই পথে পানি জমে আছে কিনা দেখা হয়নি।আপনাদের গাছ পাকা আম গুলো দেখে আমার ছেলেবেলার বাড়ির গাছর আমের কথা মনে পরে গেলো আপু।আমার দাদু এমন গাছ পাকা আম আমাদের জন্য রেখে দিতেন।এমন পাকা আম দেখে না খেয়ে পারা যায় না। খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে।
গ্রামে তো আম কুড়ানোর ধুম পড়ে গিয়েছিল আপু ঝড়ের পড়ে। তবে শহর এলাকাতে থাকলে এই সমস্ত জিনিস থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
ঢাকার আশেপাশের জায়গা গুলোতে তেমন কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়েনি। গতকাল সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে এবং প্রচন্ড বাতাস ছিল। আর উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নেটওয়ার্ক পেলে দেখার চেষ্টা করবেন আশা করি। যাইহোক বৃষ্টির মধ্যে অনেক আম ঝরে পড়েছে দেখছি। আমগুলো তো পেকেও গেল। খেতে নিশ্চয়ই ভালো ছিল। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু এই ধরনের প্রভাব প্রতিটি অঞ্চলেই কমবেশি প্রভাব ফেলেছে। ধন্যবাদ আপু জানানোর জন্য।