ভ্রমণঃ প্রথমবারের মতো ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ভ্রমণ
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে রবিবার,৭ এপ্রিল ২০২৪
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগের কথা সম্ভবত দিনটা ছিল ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। আপনারা জানেন যে আপনাদের ভাইয়া একজন শিক্ষক আর সে তাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াতে নিয়ে যায়। যেহেতু আপনাদের ভাইয়া ঝিনাইদহ তে ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে যাবে তাই আমি চিন্তা করেছিলাম যে আপনাদের ভাইয়ের সাথে আমিও কিছুটা ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ভ্রমণ করে আসি। যেহেতু এর আগে আমি কোনদিন ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম না তাই আমার আগ্রহের পরিমাণটা অনেক বেশি ছিল।
যেহেতু জানুয়ারি মাসে সেখানে গিয়েছিলাম তাই শীতের পরিমাণটা অনেক বেশি ছিল। আর এমনিতেই চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহ তে শীতের পরিমাণটা অন্যান্য এলাকার থেকে অনেক বেশি থাকে। সকালে যখন আমরা গাড়ি থেকে নেমেছিলাম তখন কুয়াশা এত পরিমাণে বেশি ছিল যার কারণে আমরা কোন কিছুই দেখতে পারছিলাম না। শুধুমাত্র আমি আপনাদের ভাইয়া সেখানে গিয়েছিলাম তা কিন্তু নয়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আরও ছিল সুমন মামা এবং জান্নাতুল ম্যাডাম। আমরা সকলে একত্রে অনেক মজা করেছিলাম দিনটিতে।
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের মধ্যে যাবার পরে আমি একটা গোলাপ ফুলের গাছ দেখেছিলাম সেই গাছে এত বেশি বড় বড় গোলাপ ফুল ফুটেছিল যা এর আগে আমি কোন সময়ই দেখেছিলাম না। সচরাচর এত বড় আকৃতির গোলাপ ফুল সাধারণত দেখতে পাওয়া যায় না। আমি মনে মনে ভাবছিলাম এই গোলাপ ফুল গাছটা যদি আমার বাড়িতে হতো তাহলে কতই না ভালো হতো।
যেহেতু প্রথমবারের মতো সেখানে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম তাই আমি আপনাদের ভাইয়ার সাথে করে জায়গাটা খুবই ভালোভাবে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। সত্য কথা বলতে আপনাদের ভাইয়ের সাথে এমন সুন্দর একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেখতে পেরে নিজের মনের মধ্যেই একটা ভালো লাগা কাজ করছিল। কিছুক্ষণ পরে আমরা সেখানে একটা সুন্দর দোলনা দেখতে পেলাম। যদিও একটা মেয়ে সেই দোলনাতে বসেছিল তারপরও আমার ইচ্ছা হচ্ছিল দোলনাতে দোল খেতে। তাই আমি আপনাদের ভাইয়াকে বললাম এবং সে আমাকে সেই দোলনাতে বসার সুযোগ করে দিল।
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ভ্রমণ করতে যেয়ে আমি আরো কি কি দেখেছিলাম সেগুলো পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট আকারে শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
শ্রেণী | ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ভ্রমণ |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি সি ২৫ এস ৪৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্ট তৈরি | @fatema001 |
লোকেশন | ঝিনাইদহ |
W3W | https://w3w.co/lyricist.unsecured.game |
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে বেশ সুন্দরভাবে ভ্রমণ কাহিনী তুলে ধরেছেন। ভাইয়া সাথে গিয়েছিল আরো সুন্দর ভাবে মুহূর্তটি উদযাপন করেছেন। জায়গাটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিল এবং জানুয়ারি মাসে গিয়েছিলেন শীতকালে। শীতকালে ভ্রমণ করতে বেশ মজাই লাগে। দারুন লাগলো আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতের পথে ঘোরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে। তবে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন খুব ভোরবেলা ছিল আর অনেক বেশি কুয়াশা ছিল।
ফটো গুলোর মধ্যে শুধু আমাকে খুঁজে পেলাম না। আমিও তো ছিলাম নাকি। তবে যাই হোক সেই দিনের সেই স্মৃতি আজকে আবারো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করতে ডেকে বেশ ভালো লাগলো। বেশ স্মৃতিময় একটা দিন আমাদের জন্য।
আপনার সাথে ও অনেক গুলো ছবি ছিল কিন্তু এখানে দেবার মত তেমন কোন আমার ছবি ছিল না। তাই দেইনি। আমার জন্য এটা একটা স্মৃতিময় দিন।
আপনার এই পোস্ট টা দেখার মাধ্যমে আমার দুই বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল। আসলে যেদিন আমরা ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে গিয়েছিলাম সেদিন প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা ছিল। কুয়াশার পরিমাণটা এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের কোন জিনিসও দেখা যাচ্ছিল না।
আমার তো এই ছবিগুলো দেখে অনেক আনন্দ হয় তার থেকে বেশি আনন্দ হয়েছিল যখন ওখানে গিয়েছিলাম।
বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি ক্যাডেট কলেজ রয়েছে। আপনাদের ঝিনাইদহের মধ্যে ক্যাডেট কলেজ রয়েছে, জেনে ভালো লাগলো। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের চারদিকের সৌন্দর্য দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। প্রতিটি ক্যাডেট কলেজের সৌন্দর্য অসাধারণ। এক সময় আমার স্বপ্ন ছিল ক্যাডেট কলেজের মধ্যে পড়ালেখা করার। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। আপনি আপনার ভাইয়ের সাথে ক্যাডেট কলেজের মধ্যে গিয়ে একটি ভালো সময় উপভোগ করেছেন।
জি ভাইয়া ক্যাডেট কলেজের ভিতরে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর একটি মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ আমি একদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম জায়গাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আপনিও জায়গাটি খুব উপভোগ করেছেন। ভাইয়াকে সাথে নিয়ে কলেজটি খুব ভালোভাবে ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক বড় আমাদের ঘুরতে একটু সময় লেগেছিল তারপরও খুবই ভালো লেগেছিল।
যাক তাও সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখেছেন সেটাই অনেক।
বেশ কিছুদিন আগে আপনি ভাইয়ের সাথে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ ভ্রমণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। দেখেই বোঝাচ্ছে তখন অনেক শীত ছিল। যেহেতু প্রথমবার সেখানে গিয়েছেন তাই নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ হয়েছে। আশা করছি পরবর্তী পর্ব আবারো আমরা দেখতে পাবো আপু।
অবশ্যই আপু পরবর্তী পর্বগুলো খুব দ্রুত আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব।
বোঝাই যাচ্ছে ভাইয়ের সঙ্গে ঝিনাইদা ক্যাডেট কলেজ ভ্রমণ কালে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে অনেক বেশি ভালো লাগে, ভ্রমণ করার পাশাপাশি সেই জায়গা সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করা যায়। ভাইয়ের সঙ্গে পুরো জায়গাটা ভালোভাবেই ঘোরাঘুরি করেছেন এজন্য ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে পুরো ব্যাপারটা চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য।
আমার তো সব থেকে বেশি ভালো লাগে ভ্রমন করতে বলতে পারেন ভ্রমণ আমার শখ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমাদের জীবনে অনেক কিছুই আমাদেরকে প্রথম করতে হয় এবং সে প্রথম করার কারণে সেই মুহূর্ত আমাদের সারাজীবন মনে থাকে৷ আপনি এই কলেজে প্রথম ভ্রমণের মাধ্যমে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনাও দিয়েছেন যা পড়ে এই স্থান সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
সবকিছু তো প্রথমেই করতে হয় তারপরেও কিছু কিছু সময় যেন সারাটা জীবন স্মৃতির পাতায় রয়ে যায়। ঠিক তেমনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ আমার সারা জীবন স্মৃতির পাতায় থাকবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম৷ এরকম মুহুর্ত গুলো আমাদের সবসময় স্মৃতির পাতায় থেকে যায়৷