জেনারেল রাইটিংঃ নিজের গাছের তেতুল পাড়ার অনুভূতি
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার,২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে লোভনীয় একটা জিনিস শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। এই জিনিসটা দেখে লোভ লাগেনা এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। এটা এমনি একটা জিনিস যা দেখার সাথে সাথে প্রত্যেকটা মানুষেরা জীভে জল চলে আসে। এই দেখার পরে লোভ সামনে থাকাটা আসলেই অনেক কঠিন একটা ব্যাপার। এইতো এই বছরে অন্যান্য বছরে তুলনায় আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে তেতুল ধরেছে। আর দেখতে দেখতে সেই তেতুলগুলো এখন পাকতে শুরু করে দিয়েছে। যেহেতু তেতুল এখন পাকতে শুরু করে দিয়েছে তাই এখন যদি গাছ থেকে এগুলো পেড়ে না ফেলা হয় তাহলে কিছুদিন পরে এগুলো আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করবে। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমাদের গাছে যত তেতুল আছে সবগুলো খুব তাড়াতাড়ি পেরে ফেলব আর এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করব।
আজকে এক বড় ভাইকে গাছে তুলে দেয়া হয়েছিল আর সে শুরু করে দিয়েছিল তেতুল পাড়ার কাজ। যেহেতু গাছের তেতুল সব পেকে গিয়েছে তাই আমি লক্ষ্য করে দেখলাম সে গাছে বসে তেতুল পাড়ার পরিবর্তে সে খেতে শুরু করে দিয়েছে। যদিও এটা টক হয় তারপরও এটা খেতে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে মেয়েরা এই ধরনের টক জাতীয় জিনিস খেতে সবথেকে বেশি পছন্দ করে থাকে। আর এইগুলো দিয়ে যদি বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করা যায় তাহলে তো কোন কথাই থাকে না। এই তেতুল পড়ার পরে আমি ইউটিউবে প্রবেশ করলাম এবং বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করার পদ্ধতি দেখতে থাকলাম। সেখান থেকে অনেকগুলো পদ্ধতি পছন্দ হয়েছে ভাবছি সেই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে নিজের বাড়িতেই আচার তৈরি করব।
আপনারও তো সব সময় হয়তোবা বাজার থেকে কিনে এনে তেতুলের আচার তৈরি করেন কিন্তু এবার যেহেতু আমাদের কাছে অনেক তেঁতুল হয়েছে তাই বাজার থেকে কেনার কোন প্রয়োজন নেই। আর যেহেতু নিজের কাছে তেতুল তাই এর মধ্যে যেন অন্য রকমের একটা ভালো লাগার অনুভূতি রয়েছে। যখন গাছ থেকে তেতুল পাড়ছিল আর আমি তেতুল খাচ্ছিলাম তখন যে আমার মাঝে কি এক ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করছিল তাও বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আজকে আর আমি বেশি কিছু শেয়ার করছি তো আজকের মত এ পর্যন্তই। পরবর্তী দিনে আপনাদের মাঝে নতুন কোন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হ্যাঁ আপু তেঁতুল দেখলে মানুষের জিভে এমনিতে জল এসে যায়। তবে তেতুল দিয়ে অনেক ধরনের আচার তৈরি করা যায়। এবছর আপনাদের গাছে যখন তেঁতুল বেশি ধরেছে তাহলে তো আপনারা পছন্দের তেতুলের আচার দিতে পারবেন। সত্যি বলতে আপনার পোস্টে তেতুল দেখে আমার নিজেরও জিভে জল এসে গেল। ধন্যবাদ পোস্টটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে করার জন্য।
আপু অনেক বড় গাছ তেঁতুল আমরা নিজেদের প্রয়োজন মত রাখি এবং বাজারে বিক্রি করে দিই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তেতুলের কথা শুনেই জিভে জল চলে এলো।
তেঁতুল খেতে আমারও খুব ভালো লাগে।
বিশেষ করে তেঁতুলের সাথে চিনি দিয়ে একত্রে মিক্সার করে খেতে।
তাছাড়া তেতুলের টক আমার খুব প্রিয়।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে কিন্তু জিভে জল চলে এসেছে।
টক খেতে আমারও ভালো লাগে । তবে পাকা তেঁতুল খাওয়ার সময় ভীষণ ভালো লাগে কিন্তু খাওয়ার পর মুখের মধ্যে কেমন একটা লাগে।
তেতুল লবণ মরিচ দিয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে। তেতুল দেখে তো খাওয়ার লোভ কন্ট্রোল করা খুবই কষ্টের সাথে ব্যাপার হয়ে পড়ছে। নিজের গাছের তেতুল পাড়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাবলাম একা একাই তেঁতুল পারবো আপনাদের সাথে শেয়ার করি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু নিজের গাছে হওয়া তেঁতুল পেরেছেন দেখে তো আমার জিভে জল চলে আসলো।ইচ্ছে করছে একটু খেয়ে নিতে।আমি টক খুব পছন্দ করি।এবার তেঁতুলের আচার তৈরি করবেন জেনে ভালো লাগলো। আশাকরি রেসিপিটি দেখতে ও পাবো।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করব আপু রেসিপি তৈরি করার সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছরে অনেক তেঁতুল হয়েছে এটা জেনে খুব ভালো লাগলো।তেঁতুল খেতে আমি খুব পছন্দ করি। পাঁকা তেঁতুল হলে তো কোন কথা নেই। খেতে বেশি ভালো লাগে আরো। যাইহোক আপনার অনুভূতিটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তেতুল তো ছোট বড় সবাই ভীষণ পছন্দ করে ভাইয়া। তবে আমার খুব একটা বেশি ভালো লাগে না।
এরকম পাকা তেঁতুল অনেকদিন খাওয়া হয়নি। আপনি তো তেঁতুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখিয়ে লোভ লাগিয়ে দিলেন। তেতুলগুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। তেতুলগুলো দিয়ে আপনি আচার তৈরি করবেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপু এমন একটি পোস্ট শেয়ার করলেন আপনি জিভে জল ধরে রাখা যাচ্ছে না। কারণ তেঁতুল এমন একটি জিনিস যা দেখলেই জিভে জল চলে আসে। আপনাদের গাছের তেঁতুল তাহলে খেতে বেশ মজার হবে। যেহেতু গাছের জিনিস একটু ফ্রেশ বেশি হয় খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
তেতুল গুলো অনেক বড় এবং খুবই মিষ্টি আপু। প্রতিবছর আমরা অনেক অনেক তেঁতুল বিক্রি করি।
হ্যাঁ আপু অনেকে বলে মেয়েরা তেঁতুল খেতে বেশি পছন্দ করে। আপনারা দেখতেছি এক বড় ভাইকে গাছে তুলে দিয়ে তেঁতুল পেড়ে নিলেন। তবে নিজের গাছের তেঁতুল থাকলে ইচ্ছামত খাওয়া যায় আবার আচার দেওয়া যায়। আর আপনি আপনাদের গাছের তেঁতুল খেতে খেতে অনেক ধরনের অনুভূতি আসলো মনে। তবে ছোটকালে বাড়ির কেউ তেঁতুল ফাটলে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম তেঁতুল নেওয়ার জন্য। তেঁতুল দিয়ে অনেক ধরনের আচার বানানো যায়।
আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের বাড়ির পাশে অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আসে। ওরা আমাদেরকে কিছু তেতুল কুড়িয়ে দেয় এবং আমরা ওদেরকে কিছু তেঁতুল দিই।
এই বছর আপনাদের গাছে যেহেতু অনেক তেঁতুল হয়েছে, সেজন্য আমাদের সবার বাড়িতে অল্প অল্প করে তেতুল পাঠিয়ে দেন আপু। হা হা হা...🤭🤭 তবে তেতুলের আচার শুধু মেয়েরা না, অনেক ছেলেরাও কিন্তু পছন্দ করে। যাইহোক, আপনারা সঠিক সময়ে তেতুল পেড়ে ফেলেছেন, বেশি সময় গাছে রাখলে আবার নষ্ট হয়ে যায় তেতুল। এখন ইউটিউব দেখে বিভিন্ন রকম আচার তৈরি করেন আপনি।
আপনাদেরকে অল্প অল্প করে পাঠিয়ে দেব না ভাইয়া আপনারা নিজেরা এসে তেঁতুল খেয়ে যাবেন আর নিয়ে যাবেন যত ইচ্ছা। আমরা বেশিরভাগ সময় তেতুল পেরে আমার নানির বাড়ি পাঠিয়ে দিন। আমার নানি অনেক সুন্দর আচার তৈরি করতে পারে।
তাহলে আপু তেতুল পাঠানোর দরকার নেই, তেতুলের তৈরি আচার পাঠিয়ে দিয়েন আপনার নানির হাতের তৈরি আচার। হিহি..🤭🤭