লাইফ স্টাইলঃ আবু রায়হানকে সাথে নিয়ে প্রথমবারের মতো গ্রিল চিকেন খাওয়া
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার,১২ আগস্ট ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। সপ্তাহখানেক পরে কমিউনিটি তে কাজ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আশা করি এখন থেকে প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকবো। এই ছুটির মাঝখানে কিছুদিন আগে আমি আপনাদের ভাইয়া এবং আবু রায়হান গিয়েছিলাম আমাদের উপজেলা শহরে। আসলে উপজেলা শহরে আমাদের যাবার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ডাক্তারের কাছে যাওয়া। ডাক্তারের কাছে সকল কাজ শেষ হয়ে যাবার পরে আমাদের হাতে বেশ কিছু সময় ছিল তাই ভাবছিলাম কি করব। হঠাৎ আমি রেস্টুরেন্টের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলাম সেখানে গ্রিল চিকেন তৈরি হচ্ছে। গ্রিল চিকেন দেখেই আমার খেতে ইচ্ছা হল তাই আমি আপনাদের ভাইয়াকে বললাম আমাকে সেখানে নিয়ে যাবার জন্য। আসলে এর আগে কোনদিন আবু রায়হান হবার পরে আর গ্রিল চিকেন খাওয়া হয়নি তাই আমার দেখে খেতে ইচ্ছা করছিল। আপনাদের ভাইয়াকে বলতেই আমাকে সাথে করে নিয়ে চলে গেল রেস্টুরেন্টে।
যেহেতু প্রায় এক বছরের মত গ্রিল চিকেন খাওয়া হয়নি তাই রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রবেশ করার পরেই মনে হচ্ছিল আজকে সব গ্রিল চিকেন আমি একাই খেয়ে ফেলবো। এজন্য আমি আবু রায়হানকে আপনাদের ভাইয়ার কোলে দিয়ে দিলাম যেন আমি একটু ভালোভাবে খেতে পারি। আসলে যারা মেয়েরা আছেন তারা জানেন যে ছোট ছেলেকে সাথে করে খাওয়াটা কতটা কষ্টের। সে যে কোন সময় খাবারের মধ্যে হাত দিয়ে খেতে শুরু করে দেবে।
যদিও ছোটদের এই ধরনের খাবার দেওয়া উচিত নয় তারপরও তাকে শান্ত করার জন্য আপনাদের ভাইয়া অপু রায়হান এর হাতে এক টুকরা নান রুটি দিয়ে দিল। রুটির টুকরা পেয়ে সে তো অনেক খুশি। এরপরে আর সে আমাদেরকে তেমন জ্বালাতন করেনি আমরা খুব ভালোভাবেই রেস্টুরেন্ট এ খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে পেরেছিলাম। যেহেতু অনেকদিন পরে নান রুটি আর গ্রিল চিকেন খাচ্ছিলাম তাই খুবই ভালো লাগছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা তিনজনে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মাঝে মাঝে পরিবারের সাথে সময়ে দেওয়াটা খুব বেশি জরুরী। পরিবারের সকলে একত্রে মিলে বাইরে যাওয়া, খাওয়া দাওয়া করা এগুলোর মধ্যে ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা দুটোই বৃদ্ধি পায়। ঠিক তেমনি একটি দিন কাটালেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জ্বী আপু পরিবারের সঙ্গে একত্রে একা একি ভাবে কিছু সময় পার করাটা খুবই জরুরী। ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেকদিন পরে গ্রিল চিকেন খেয়ে আমারও ঐদিন অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। তুমি না বললে তো খাওয়াই হত না আমি তো ভেবেছিলাম যে চিকেন ফ্রাই খাব। আবু রায়হান ও ওই দিনে অনেক বেশি মজা করেছে।
আমিও প্রথমে তাই ভেবেছিলাম কিন্তু পরে দেখলাম গ্রিল খেলেই বেশি ভালো হবে। ঠিকই বলেছ তুমি বাবু ও অনেক খুশি হয়েছিল।
খুব ভালো লাগলো ছেলের সাথে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত দেখে। অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনার সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আজকের এই পোস্ট। বাচ্চারা সুস্থ থাকলে হাসিখুশি থাকলে তাদের সাথে আনন্দ করতে খুবই ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু তবে আবু রায়হান একটু অসুস্থ ছিল।
আসলে বাহিরের হোটেলের এমন খাবার গুলো কম খাওয়াই ভালো। যেহেতু প্রায় এক বছর পর খেলেন, তাই ই প্রথমে মনে হয়েছে সব গুলো আপনি একাই খেয়ে ফেলতে পারবেন। ভীষণ মজা লেগেছে এটায় আর সেজন্য যে আবু রায়হান কে ভাইয়ার কোলে দিয়ে দিয়েছেন দেখে। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন একসাথে সবাই। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করি আপু। ভালো থাকবেন। আবু রায়হান এর জন্য ভালোবাসা ❤️
প্রথম ছেলেকে নিয়ে গ্রিল খাওয়ার মজাটা সত্যি অন্য রকম। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন হোটেলে এমন ভাবে খাবার কম খাওয়া ভালো। ধন্যবাদ আপু।
আপনার ছেলেকে নিয়ে অনেকদিন পর গিল খাওয়ার সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। যাক দীর্ঘ এক বছর পর গ্রিল খেলেন তাহলে। আমারও অনেকদিন ধরে গিল খাওয়া হয় না। আজ আপনার গিল খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি পড়ে খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে বাচ্চারা খুশি থাকলেই নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে আপনার ছেলেকে নিয়ে গ্রিল খাওয়ার কিছু মুহূর্তের সুন্দর করে বর্ণনাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
গ্রিল খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে তবে এক বছর পর খাওয়ার জন্য অনুভূতিটা একটু বেশি অন্যরকম। ধন্যবাদ আপু।
বাহ আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। ছেলেকে নিয়ে প্রথমবার গ্রিল চিকেন খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছেলেকে নিয়ে প্রথমবার অনুভূতিটা আপনি পড়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।
সুন্দর একটি সময় কাটালেন বাবুকে নিয়ে আপনি আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করলেন। ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে এদিক ওদিক যাওয়া হয় না তেমন তারা অনেক বেশি বিরক্ত করে। যেহেতু ডাক্তার দেখাতে গেলেন সেই সুযোগে আপনি গ্রিল চিকেন খেয়ে নিলেন। আমার বেশ ভালো লেগেছে আপনার আজকের পোস্ট পড়ে।
জি আপু ছোট বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে যাওয়া খুব কমই হয় তাই বাইরে একবার গেলে অনেক কাজ একসাথে সেরে আসে।
আসলে ভাই সন্তানকে কোলে নিয়ে খেতে বসলে বেশ ভালো লাগে। রেস্টুরেন্টে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আবু রায়হান যেন মানবিক মানুষ হয়ে আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ভাই আমি ফাতেমা আপু।আপনি সব জায়গায় ভাই বলে সম্বন্ধ করেছেন একটু ঠিক করে নিবেন।
আপনারা তিনজন মিলে খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন। ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। নান রুটি আর গ্রিল চিকেন খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। আবু রায়হান সম্ভবত রুটি নেওয়ার জন্যই কান্নাকাটি করছিল। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। ধন্যবাদ আপু।
রুটি আবু রায়হানের হাতে দিয়েছিলাম যদিও সে খেতে পারছিলো না কিন্তু অনেক খুশি ছিল।