হঠাৎ করে বৃষ্টি কবলে আটকে পড়লাম।

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে। আজকে বিকেলে মূলত বেরিয়েছিলাম হসপিটালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ঘর থেকে বেরোনোর পরই হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হল। বৃষ্টির কবলে আটকে পড়লাম এবং অনেকক্ষণ পর্যন্তই অপেক্ষা করেছি।

জীবনের নতুন মোড় শুরু হয়েছে নতুন একটা পরিবর্তন এসেছে। একটা মেয়ে থেকে মা হয়ে গেলাম। গত কয়েকদিন আগেই ছেলে বাবুর জন্ম দিয়েছি। বাবুর নাম রাখলাম সারতাজ আরেফিন আরুশ সবাই আমার বাবুর জন্য দোয়া করবেন। বাবু যেন সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং ভালো একটা মানুষ হয়ে উঠতে পারে। সেই সুবাদে অনেক বেশি অসুস্থতা মধ্যে দিন কাটছে আমার। অপারেশন হয়েছিল সেই অপারেশনের সেলাই কাটার জন্য আজ হসপিটালে যাওয়ার কথা। বিকেল বেলা বেরিয়েছি বেরোনোর আগে বৃষ্টি ছিল না আকাশে মেঘও ছিল না বেরনোর সাথে সাথে হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একটা রিকশায় উপরে বাজার গেলাম সেখানে গিয়ে একটা পরিচিত দোকানে বসলাম।

দোকানে গিয়ে বসার পর বৃষ্টি আরো অনেক বেশি শুরু হলো।গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া টা খুবই খারাপ যাচ্ছে ঝড় তুফান হালকা-পাতলা বৃষ্টি এসব হচ্ছে। তাছাড়া আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গার অবস্থা খুবই খারাপ দেখতে পাচ্ছি অনেক বন্যা হয়ে আছে। আজকে আমরা বেরোনোর পর আমরা বৃষ্টির কবলে পড়ে গেলাম দোকানে অপেক্ষা করছিলাম কখন বৃষ্টি থামবে বাবুকে নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে বেরোনো সম্ভব না। যে দোকানের মধ্যে আমরা বসে ছিলাম সে দোকানটা আমাদের খুবই পরিচিত একটা দোকানে। দোকানে অনেক ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায় আর এই দোকানে জিনিস পত্রগুলো আমার খুবই প্রিয় আরও অনেক ভালো লাগে সব সময় দোকান থেকে জিনিসপত্র কেনা হয়ে থাকে। সব ধরনের কেক বিস্কুট বিভিন্ন ধরনের আইটেম এখান থেকে নেওয়া হয়। সেই কারণে দোকানটা অনেক বেশি পরিচিত আর তাদের সাথে খুবই সম্পর্ক ভালো।

সেখানে বসে অপেক্ষা করতে ভাবলাম এখান থেকে কিছু খাই। সেজন্য দুটো চিকেন পেটিস নিয়ে নিলাম খাওয়ার জন্য। এ দোকানে জিনিস পত্রগুলো অনেক তাজা হয়। তারা বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি করে থাকে সবসময় খাওয়া হয়ে থাকে আর এগুলো খেতেও বেশ ভালো লাগে। এই চিকেন পেটিস গুলো খাবার পর দেখলাম আস্তে আস্তে বৃষ্টি থেমে গেল। এরপর একটা গাড়ি খুঁজে নিয়ে আমরা হসপিটালের দিকে রওনা দিলাম। হসপিটালে যাওয়ার পর সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো ডাক্তার দেখানোর জন্য। এরপর আমাকে ডাক্তার দেখানো হয়েছে আমাকে ডাক্তার দেখানোর পর বাবুকে ডাক্তার দেখানোর জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।

বাবুকে যে ডাক্তারটা দেখানো হবে সে হঠাৎ করে চলে গিয়েছে অপারেশনের রুমে একটা অপারেশন হচ্ছিল সেজন্য। তার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর দেখলাম যে আস্তে আস্তে সন্ধ্যা হয়ে আসছিল এবং ঝড় বৃষ্টির জোরে আসছিল সেজন্য তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসলাম। ভাবলাম অন্য একদিন ডাক্তার দেখাবো। বাড়িতে ফেরার সময় অনেক বেশি বৃষ্টি ছিল। হসপিটালে যাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেজন্য ঝড় তুফান মাথায় নিয়ে হসপিটালে যেতে হল। যাই হোক আশা করি আমার আজকের এই ব্লগটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আমার পরিচয়

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।