গল্প:- গরীবের আত্নীয় স্বজন।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। গরিবের আত্মীয়-স্বজন গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প পড়তেই অনেক ভালো লাগে। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে যেগুলো আমি পড়ে থাকি এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প। আপনাদের মাঝে আমি অনেক ভূতের গল্প শেয়ার করেছি আগে তা ছাড়া অন্য গল্প গুলো শেয়ার করেছি। আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি নাম হলো গরিবের আত্মীয়-স্বজন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি।
খুবই সুন্দর আর ছোট্ট একটা পরিবার তাদের পরিবার খুবই স্বচ্ছল একটি পরিবার। তাদের পরিবারে স্বামী-স্ত্রী এবং একটা ছোট্ট মেয়ে বাচ্চা রয়েছে। তারা খুবই স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে তাদের সংসার জীবন অতিবাহিত করে। বলা যায় তাদের কোন টাকা পয়সার অভাব নেই। পক্ষান্তরে তার একটা বোন রয়েছে। তার বোনের শ্বশুরবাড়ি খুবই গরিব তাদের মত এরকম টাকা পয়সা ওয়ালা নয়। সেজন্য ভাবি তার ননদকে সেরকম ভাবে সহ্য করতে পারেনা কারণ তার শশুর বাড়ির টাকা-পয়সা নেই। সেই সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে না কোনভাবে দিন কাটায় সেজন্য সে তার ননদকে ঠিকভাবে আচরণ করে না। ননদ আসলেই সে কি রকম খারাপ আচরণ করে।
এরপর একদিন তার স্বামী গিয়েছে অফিসের কাজে বাইরে কয়েক দিনের জন্য বাড়িতে আসবে না। এদিকে তার ননদের মেয়েরও স্কুল বন্ধ দিয়েছে এক সপ্তাহর জন্য। তার স্বামী তাকে কল দিয়ে বলেছে তার বোন আর বোনের মেয়ে আসবে তাদের বাড়িতে থাকবে কয়েকদিন। এই শুনে তো তার মাথা খুবই খারাপ হয়ে গেল তার আচার আচরণে পরিবর্তন চলে আসলো। সেই সকাল থেকে রান্না করছে তার ননদের আর ননদের মেয়ের জন্য। আর রান্না ঘরে বকবক করছে যে নিজেরা খেতে পারে না সেজন্যই বাপের বাড়ি এসে খুব ভালো-মন্দ খাওয়ার জন্য। এদিকে ছোট্ট মেয়েটা তো খুবই খুশি তার ফুফু আর ফুফাতো বোন আসছে বাড়িতে খুবই ভালো হবে অনেকদিন পর তাদের সাথে দেখা হবে এই নিয়ে।
ছোট মেয়েটা বুক ভরা আনন্দ নিয়ে তার মায়ের কাছে রান্নাঘরে গেল আর জোরে জোরে নাচতে নাচতে বলতে থাকলো কি মজা আজকে ফুফু আসবে ফুফাতো বোন আসবে অনেক ভালো হবে। তখন তার মা অনেক বেশি রাগ করে মেয়েটার উপর অনেক বকাবকি করে। আর মেয়েটা মন অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়। এরপরই তার ননদ তাদের বাড়িতে চলে আসে। তাদের বাড়িতে আসার পর খুবই খারাপ আচরণ করে তার সাথে তাকে একজন মেহমানের আপ্যায়ন যেভাবে করা হয় সেগুলো করেনি। তখন তার ননদ কিছুটা বুঝতে পারে যে সেই আসাতে তার ভাইয়ের বউ অনেকটাই বিরক্ত। ছোট মেয়েটা কেউ তার ফুফাতো বোনের সাথে মিশতে দেয় না খেলাধুলা করতে দেয় না কারণ তারা গরিব বলে।
দুইদিন হয়ে গেল সে অনেক বেশি বিরক্ত এবং তার বাপের বাড়ির সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে বলছে আজকে দুইদিন হয়ে গেল তুই ভালো-মন্দ খাওয়ার লোভেই বাড়ি থেকে যাচ্ছে না পড়ে রয়েছে। আজকে আর কোন কিছুই রান্না করবো না শুধু ডাল আলু ভর্তা রান্না করবো। আর তার ফোনে বলা বাপের বাড়িতে লোকদের সাথে কথাগুলো তার ননদ শুনে নেয় আর তখন সে নিজে নিজে অনেক বেশি কষ্ট পায়। আর বলে আমি গরিব বলে আজ তারা ভাবছে যে আমি ভালো-মন্দ খাওয়ার লোভেই বাড়িতে এসে পড়ে রয়েছি। আজকে যদি আমার ভাই থাকতো তাহলে আমার এরকম অযত্ন হত না আমি এখনই চলে যাব এই বাড়ি থেকে।
এরপর সে তার মেয়েকে নিয়ে রাগ করে চলে যায়। আর সে খুবই কষ্ট পায় কারণ তার ভাইয়ের বউ সে গরিব বলে তার সাথে এরকম আচরণ করছে। সে যদি পয়সাওয়ালা হতো তাহলে তার ভাইয়ের তার সাথে খুব ভালো আচরণ করতো। এরপর তার মেয়ে যখন জানতে পারে যে তার ফুফু আর ফুফাতো বোন চলে গেছে সে অনেক বেশি কান্নাকাটি করে আর মাকে বলে যে আমার ফুফাতো বোন চলে গিয়েছে তোমার জন্য তুমি তাদেরকে অপমান করেছো। তখন তাদের মা বলে যে তারা গরিব এ বাড়িতে পড়ে রয়েছে খাওয়ার জন্য। তখন তার মেয়ের বলে মেহমান গরিব আর ধনী যাই হোক মেহমানের সেবা যত্ন করা করলে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি খুশি হন। আরো অনেক কথা বলাতে সে তার নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং আমাদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চায় এবং বাড়িতে ফিরিয়ে আনে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1769380079652733236?t=Rwd47LZgC6lC9xZTcwcmuA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আপু ননদের বাড়ির লোক গরিব হলে ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গেলে ভাবি এমনই আচরণ করে ।ভাইয়ের মেয়ে যখন জানতে পেল তার ফুপু বাসায় বেড়াতে আসবে তখন সে অনেক খুশি। কিন্তু তার মা খুশি ছিল না সেজন্য তাকে বকলো ।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আজকের এই গল্পটি পুরোটা পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য লিখছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার গল্পটি বর্তমান চলচিত্রের সাথে মিল আছে।আসলে গরিব হলে বাপের বাড়িতেও ভাই বউ দের কাছে অবহেলিত হতে হয় তারেই চিত্র ফুটে উঠেছে আপনা পোস্টে।বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমার আজকের এই গল্পটি আপনার কাছে পড়ে ভালো লেগেছে যেন খুবই ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।