মেয়েদের জীবন (পর্ব ১)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। মেয়েদের জীবন গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প পড়তেই অনেক ভালো লাগে। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে যেগুলো আমি পড়ে থাকি এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প। আপনাদের মাঝে আমি অনেক ভূতের গল্প শেয়ার করেছি আগে তা ছাড়া অন্য গল্প গুলো শেয়ার করেছি। আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি নাম হলো গরিবের মেয়েদের জীবন । তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি।
খুবই সুন্দর একটি পরিবার সেই পরিবারের মা-বাবা, ছোট বোন, বউ, মেয়ে সবাই রয়েছে। তাদের সংসারটা অনেক সুন্দর করে চলে। তার বাবা এখন আর কোন কাজকর্ম করতে পারে না সেজন্য সে খুবই আফসোস করে যে পুরো সংসারটা এখন তার ছেলের উপরে এসে পড়েছে। মায়ের অসুধ, সংসার খরচ বোনের পড়াশুনা সবকিছুই এখন তাকে দেখতে হয়। কিন্তু ছেলেও অনেক বেশি ভালো। তাদের সংসারটা খুবই সুন্দরভাবেই এই চলছিল দিনের পর দিন। কিন্তু তাদের মাথায় একটাই টেনশন ছিল যে তাদের একমাত্র ছোট বোনটাকে বিয়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে। তার ছোট বোন পড়ালেখা করে এবং পড়ালেখা করে খুব ভালো একটা অবস্থানে যাওয়ার তার ইচ্ছে রয়েছে।
ছোট বোনের ও তার বউয়ের সাথে সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো। ছোট বোন পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করত আর টিউশনের প্রথম টাকা সে তার ভাইয়ের বউকে দিতে এসেছে এবং তার মাকে না দিয়ে। তখন ভাইয়ের বউ বলেছে তার মাকে দিতে তখন বলল যে তুমি আর ভাই তো এখন পুরো সংসারটা পরিচালনা করো। আমার পড়াশোনার খরচ তোমরা চালাও সেজন্য ভাবলাম তোমাকেই দিয়ে আর এই টাকাটা তুমি রাখো। তখন দুষ্টুমি করে ভাইয়ের বউ বলল যা আচ্ছা ঠিক আছে এই টাকা আমি তোর বিয়ের জন্য রেখে দিব। এই কথা শুনে তো তার ছোট খুবই রাগ করে এবং বলে তোমরা শুধু আমাকেই বাড়ি থেকে বিদায় করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছো। আমি পড়াশোনা করব নিজের পায়ে দাঁড়াবো বিয়ে আমি কখনোই করব না।
বেশ কয়েকদিন গেলে এভাবেই একদিন তার ভাই তার অফিসের একটা লোকের সাথে তার বিয়ের কথা তার বউকে বলছিল। তখন তার ভাইয়ের বউ বলছিল যে সে
বিয়ে করবে না পড়াশোনা করবে তারপর পড়াশোনা করার অনেক ইচ্ছে। তখন তার ভাই বলছিল যে পড়াশোনা তো বিয়ের পরেও করতে পারবে ছেলেটা ভালো টাকা পয়সা ভালো ইনকাম করে আশা করি তার বোনকে লেখাপড়া করাবে। হঠাৎ করে তাকে না জানিয়ে তার ভাই বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে নিয়ে আসে।পাএ তার ছোট বোনকে অনেক বেশি পছন্দ হয়ে যায় এবং বিয়ের জন্য রাজি হয়েছে। তার বোন বিয়েতে রাজি ছিল না তার ইচ্ছে ছিল পড়ালেখা করে ভাইয়ের পাশে দাঁড়াবে সংসারে মা বাবার পাশে দাঁড়াবে কিছু একটা করবে।
কিন্তু তার মা বাবা এবং ভাই সবাই বিয়ের জন্য জোর করছিল আর বলছিল বিয়ের পর তো পড়াশোনা অবশ্যই করাবে তাহলে বিয়ে করতে আপত্তি। কোথায় সবার ইচ্ছে এবং তার মা-বাবার তাকে বলতে লাগলো যে আমরা বয়স্ক হয়ে গিয়েছে। কোনদিন দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব তোকে যদি তার আগে তোর জীবনটা ঠিক ঠাক করে দিয়ে যেতে না পারে তাহলে খুবই কষ্ট লাগবে। তার মা-বাবার জোর করাতে বিয়ে করতে বাধ্য হয় কিন্তু তার বিয়ে করার এতটুকু ইচ্ছে ছিল না। বিয়েতে রাজি হওয়ার আরও একটা কারণ ছিল তার মনে একটা আশা ছিল যে তার ভাই বলেছে বিয়ের পর তাকে তার হাজবেন্ড পড়াশোনা করাবে। সেই কথাই সেই রাজি হয়ে যায় এরপর তাদের বিয়েটা হয়েও যায়।(চলবে...)
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
গল্প পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনার আজকের গল্পের শুরুটা ভালো ই লেগেছে।মেয়েদের জীবন বড়ই কষ্টের।আর গরীব হলেও তো আরো বেশী কষ্টের হয়।মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেলো।বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরের ঘটনা জানলে বোঝা যাবে পড়াশুনা করতে পারবে কিনা।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার কাছে গল্প পড়তে অনেক ভালো লাগে এবং আপনি আমার আজকের গল্প পড়ে পড়েছেন খুবই ভালো লাগলো।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1771945562994078047?t=nBGY-kDFPwdySYX-OrsL_A&s=19
আপু খুব সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন। আমিও গল্প লিখতে ও পড়তে খুব পছন্দ করি। গরীব ঘরের মেয়েদের জীবন এমনি হয়। তাদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় যার জন্য তাদের মনের ভিতরে তৈরি করা স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। মেয়েটার ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও পরিবারের কথায় বিয়েতে রাজি হতে হলো। সে তার ভাইয়ের কথা মতো ভেবে নিয়েছে বিয়ের পর পড়ালেখা করাবে। এরপর কি হয় দেখা যাক। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনিও গল্প লিখতে এবং পড়তে পছন্দ করেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমার কাছেও গল্প পড়তে অনেক ভালো লাগে।
বেশ ভালো শুরু করেছেন আপু। গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।বিয়ের পর দেখা যাক মেয়েটি পড়াশোনা করতে পারে কিনা ।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে পরবর্তী পর্বটি শেয়ার কর।ব ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে মেয়েদের জীবন খুব কঠিন। তারা চাইলেও সবকিছু নিজের মতো করে করতে পারে না। যাই হোক মেয়েদের ছোটবেলায় বিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু বিয়ের পর অনেক স্বপ্ন দেখানো হয়, পড়াশোনা করাতে চাই কিন্তু সেই স্বপ্নগুলো পূরণ হয় না। এরকম ঘটনা অনেক রয়েছে। দেখা যাক আপনার পরবর্তী পর্বে কি হয়।
এই বিষয়টা আপনি একদমই ঠিক বলেছেন ছোটবেলা থেকে মা-বাবা পরিবারের আত্মীয়-স্বজন মেয়েটাকে অনেক স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু একটু বড় হতে সেই স্বপ্নগুলো আবার ভেঙ্গে চুরমার করে দে তারা নিজেদের হাতে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মেয়েদের জীবন সত্যিই অনেক কঠিন।পরিবার আর সমাজের চাপে মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে হয়।
আপনার গল্পটা বাস্তববাদী।ভালো লেগেছে গল্পটি পড়ে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন মেয়েদের জীবন অনেক কঠিন পরিবারের চাপ নিজের স্বপ্ন গুলোকে বিসর্জন দিতে হয়।
বর্তমানে মেয়েদের জীবনের সাথে এই গল্পের কাহিনীর অনেক মিল রয়েছে। বেশিরভাগ মেয়েরাই চায় লেখাপড়া শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তার পরিবারের সদস্যের পাশে দাঁড়াবে কিন্তু হঠাৎ করেই নিজের অসম্মতিতে পরিবারের চাপে বিয়ের কারণে তাদের স্বপ্ন ভেঙে যায়।
বর্তমানে অনেক মেয়ের সাথেই এই গল্পের সাথে মিল রয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মেয়ের জীবন কথাটি আপনি আজকে গল্পের মাঝে তুলে ধরেছেন বাড়ির ছোট মেয়ে টিউশনি করে তার ভাইয়ের বউয়ের হাতে তুলে দেয়। সে জানতো তার ভাই কত কষ্ট করে সংসার চালায়। সেজন্য তার টিউশনির টাকা মাকে না দিয়ে ভাইয়ের বউয়ের হাতে তুলে দেয় । ধন্যবাদ এত সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আজকের এই গল্পটি পড়ে খুবই সুন্দর ভাবে আপনি একটি মন্তব্য লিখেছেন। যেটা দেখে আসলে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
মেয়েরা অনেক সময় ফ্যামিলির উপর কিছু বলতে পারেনা। তবে অনেক মেয়ে দেখা যায় পড়ালেখা খুব ভালো বিয়ের পর আর পড়ালেখা করতে পারে না। যদিও আপনার গল্পের মেয়েটির বিয়ের পরে পড়ালেখা করাবে তার হাজবেন্ড এমনটাই বলেছে। তবে বর্তমান সময়ে খুব কম পরিবার দেখা যায় মিল থাকে। তবে এই পরিবারের সবাই মিল আছে দেখে সত্যি গল্পটি পড়তে ভালো লেগেছে। দেখি আপনার পরের পর্বে কি হয় সেই অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি গল্পটি তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
প্রত্যেকটা মেয়েরই জীবনে একই কাহিনী বিশেষ করে আমাদের দেশে। যাই হোক আপনি পর্বটি পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।