অভাগী মায়ের আর্তনাদ গল্প ।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। অভাগী মায়ের আর্তনাদ গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প পড়তেই অনেক ভালো লাগে। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে যেগুলো আমি পড়ে থাকি এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প। আপনাদের মাঝে আমি অনেক ভূতের গল্প শেয়ার করেছি আগে তা ছাড়া অন্য গল্প গুলো শেয়ার করেছি। আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের অভাগী মায়ের আর্তনাদ গল্পটি শেয়ার করব। আসলে গল্প বলতে এটা একটি বাস্তবিক ঘটনা বেশ কয়েকদিন আগেই ঘটেছে আমি নিজেও এটার দেখে খুবই কষ্ট পেয়েছি কয়েকদিন।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি। আমাদের বাড়ির পাশে একটা বাড়িতেই ঘটনাটি ঘটেছে। এক পরিবারে তারা চার ভাই ছিল। যার ঘটনাটি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সে হচ্ছে সবার ছোট তার বয়স অনেক কম ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়স হবে। দেখতে শুনতে অনেক বেশি সুন্দর বয়স কম হিসেবে দেখে বোঝা যায় না মনে হয় যেন আরো একটু বেশি বয়স হবে দেখতে শুনতে খুবই সুন্দর। মা-বাবা ছোট ছেলে হওয়ায় মা-বাবা খুব বেশি আদর যত্ন করে। তাছাড়া দেখতে মায়াবী হওয়ায় আশেপাশের সবাই অনেক বেশি আদর যত্ন করত। এত আদর যত্ন যেন তার কপালে সইলো না। গত এক বছর আগে জানা গেল তার ক্যান্সার রোগ সে ক্যান্সার রোগ আক্রান্ত।
গত এক বছর ধরেই তার চিকিৎসা চলছিল। দিনের পর দিন যতো যাচ্ছিল তত সেই বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিল। তার মা-বাবা তাদের সামর্থ্য অনুসারে সব কিছু দিয়ে তা চিকিৎসা চালানোর চেষ্টা করছিল। শেষমেষ বেশ কয়েকদিন আগে সে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে যায় এবং বিছানাতে পড়ে যায়। তার হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায় এতটা বেশি সেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ডাক্তাররা বলেছে যে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যেতে চিকিৎসার জন্য। মা-বাবার সেই সাধ্যনী দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করানো তারপরও তারা যথেষ্ট চেষ্টা করছে এবং আশেপাশে মানুষের কাছে ছেলের হয়ে দান চাইছে যাতে লোকজন কিছু টাকা দান করলে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে পারে।
সেই জন্য বিদেশে চিকিৎসা করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য টাকাও তোলা হচ্ছিল চারদিক থেকে। গত দুইদিন ধরে সে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দুদিন পর হঠাৎ করে একদিন সকালবেলা সবার চিৎকার চেঁচামেচি শুনা যায় আর হঠাৎ করেই শুনতে পেলাম সে মারা গিয়েছে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে এরকম একটা খবর শুনে খুবই খারাপ লাগলো। জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখতেই দেখি তার মা মাটিতে শুয়ে শুয়ে গড়াগড়ি করে কান্না করছিল। তার মার এমন আর্তনাদ দেখে পুরো অন্তর আত্মা যেন কেঁপে উঠেছে আমার। তার মায়ের এমন আর্তনাদ দেখে দুনিয়াটা যেন অন্য চোখে দেখতে শুরু করলাম এইভাবে এত কষ্ট আসলে আগে অনুভব হয় নি।
তার মায়ের এরকম করুন কান্না দেখে আশেপাশের সব অন্তর যেন কেঁদে উঠলো। সবাই অনেক বেশি থমকে গিয়েছে তার মায়ের এরকম আর্তনাদ দেখে। কি আর করার মারা গিয়েছে দুনিয়ার নিয়ম এটা মেনে নিতেই হবে। ইসলাম ধর্ম অনুসারে তাকে দাফন করা হয়েছে। পরদিন সকালবেলা ভরে ভরে উঠে তার মা তার কবরের সামনে গিয়ে বসে বসে অনেক বেশি কান্না করছিল। তাদের বাড়ির পাশে কবর ছিল আমাদের ঘর থেকে সব কিছুই দেখা যায়। ভোর চারটে আমি ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে যাচ্ছিলাম। তখন তার মায়ের কান্না শুনে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি তার মা কবরে সামনে বসে বসে অনেক কান্না করছিল। তার এই কান্না দেখে আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার গল্পটি পড়ে সত্যিই অনেক খারাপ লাগলো। কিছু কিছু মরণ আছে আসলে খুব কষ্ট লাগে শুনলে। ১৩-১৪ বছরে বাচ্চা ক্যান্সার হয়ে দুনিয়া থেকে চলে গেলেন। অথচ যতদিন মা-বাবা থাকবে ততদিন এই ছেলের কথা মনে পড়বে। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ছেলে মেয়ে যদি মায়ের সামনে মারা যায় তাহলে দুঃখিনী মা সবসময় কান্নাকাটি করে। তবে মহিলাটির ছেলেটি অল্প বয়সে মারা গিয়েছে ।এবং মা সবসময় ছেলের কথা বলে কান্নাকাটি করবে। তবে এরকম দৃশ্যগুলো সামনে থেকে দেখলে খুব খারাপ লাগে। ভোরবেলা মা ছেলের কবরের পাশে বসে কান্নাকাটি করতেছি। আর মা কখনো ছেলের কথা ভুলতে পারবে না। তবে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার কাছে এই দুঃখিনী মায়ের জন্য অনেক খারাপ লাগতেছে।
পরিবারের ছোট ছেলে হলে তার প্রতি ভালোবাসা একটু অন্যরকমই থাকে। তবে এইটুকু বয়সে বাচ্চাটার ক্যান্সার ধরা পড়েছে, এর থেকে দুঃখের বিষয় আর কি হতে পারে। সবার থেকে টাকা-পয়সা জোগাড় করেও যে শেষ পর্যন্ত ছেলেটাকে বাঁচানো গেল না, এটা তো অবশ্যই অনেক কষ্টের ব্যাপার।
তাছাড়া তার মা কান্নাকাটি করবেই বা না কেন, সন্তান হারানোর কষ্ট প্রত্যেকটা মা-বাবারই হয়।
গল্পটি শুনে আমারও খুব খারাপ লাগলো আপু।মা তো মা ই হয় মা ছেলের মৃত্যুতে গভীরভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এবং এত কান্নাকাটি করছে। মায়ের কান্নাকাটি দেখে আশেপাশের সবার অন্তর কেঁপে উঠেছে জেনে খুব খারাপ লাগল। মা ছেলের কবরের পাশে কান্না করছিল কতটা কষ্ট পেলে মানুষ এরকম করে আসলে সৃষ্টিকর্তার নিয়ম আমাদেরকে মানতেই হবে।তবুও মানুষ কষ্ট পায়। ধন্যবাদ পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।