গল্প -মা ছাড়া দুনিয়াটা অনেক কঠিন।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। মা ছাড়া দুনিয়াটা অনেক কঠিন গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে একটু নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প করতে এবং গল্প লিখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। গল্প করতে অনেক বেশি ভালো লাগে তার মধ্যে ভূতের গল্প গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে পড়তে। আজকে অনেকদিন পর একটা নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আমার আজকের গল্পটি হচ্ছে মা না থাকলে দুনিয়াটা কত কঠিন সেটা বোঝা যায় সে নিয়ে এই গল্পটি। আসলে মা আমাদের জীবনে কতটা ভূমিকা রাখে সেটা আসলে মা না থাকলে বোঝা যায়। মা থাকতে দুনিয়াটা অনেক বেশি সুন্দর হয় আশেপাশের মানুষগুলো অনেক সুন্দর হয় কিন্তু মা না থাকলে দুনিয়া কত কঠিন আশেপাশের মানুষগুলোকে খুব ভয়ঙ্কর সেটা বোঝা যায়।
খুব সুন্দর একটা সুখী পরিবার ছিল তাদের। মা-বাবা দুই ভাই বোন ছিল তাদের পরিবারে। ভাই বোন দুটো বেশি বড় না ছোট। তাদের সংসার খুবই সুন্দরভাবে চলত দুই ভাই বোন খুব ভালোভাবে মানুষ হচ্ছিল। তাদের বাবাও তাদের দুই সন্তানকে অনেক বেশি আদর যত্ন করত। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের মা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর হঠাৎ করে তাদের মা মারা যায়। হঠাৎ করে তাদের মা মারা যাওয়ার পর তাদের দুনিয়াটাই যেন বদলে যায়। সংসারটা ও এলোমেলো হয়ে যায় কারণ তাদের মায়ে সংসার ধরে রেখেছিল। বাচ্চা দুটো ছোট তাদের মধ্যে একটা ছেলে একটা মেয়ে এটা ছিল বড়। মা চলে যাওয়ার পর বাড়ি রান্না বান্না ঘরে সব দায়িত্ব এই মেয়েটা তুলে নেয়। ছোট্ট মেয়েটা হঠাৎ করেই যেন সবকিছু বুঝতে শিখে গেছে সবকিছু সামলাতে জেনে গেছে।
কিন্তু তারপর শুরু হল সব থেকে বড় সমস্যা। তাদের মা মারা যাওয়ার পর তাদের বাবা যেন তাদের থেকে দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছে। তাদের বাবা তাদের প্রতি মায়া মমতা দেখায় না তাদের খোঁজ খবরও নিতে চায় না। এমনকি দিন অবস্থা হয়েছে যে তাদের খাবারদাবারের কোন ব্যবস্থা করে দিয়ে না। ছোট বাচ্চাগুলো কিভাবে দিন কাটাচ্ছে সেটার খবর নেয় না এবং বাড়িতেও আসে না। এভাবে দিন কাটছিল। ছোট মেয়েটা তার ভাইকে নিয়ে বাড়িতে একা থাকে। মা মরে যাওয়াতে বাবা দূরে সরে গিয়েছি কিন্তু আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। সেজন্য তারা চলে যায় তাদের নানার বাড়িতে। নানার বাড়িতে মামা মামি রয়েছে তারা তাদের কাছেই চলে যায় কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর তাদের আচার আচরণ যেন বদলে যায়।
মামা মামি তাদেরকে বাড়িতে থাকতে ঠাই ঠিকই কিন্তু তাদেরকে ঠিকভাবে খাবার-দাবার দিত না। তাদেরকে ঠিকভাবে আদর যত্ন করত না। যেন তারা এ বাড়ি থেকে চলে গেলে তারা বেঁচে যায় এরকম আচরণ করতো। মেয়েটি বুঝতে পারে যে তাদের মামা মামী তারা আশাতে একটু খুশি হয়নি এবং তাদের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করে। তারা দুই ভাই বোন মিলে আবার বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর মেয়েটি লোকের বাড়িতে কাজ করে এই টুকটাক এবং লোকের বাড়ি থেকে কাজ করে টুকটাক জিনিসপত্র নিয়ে এসে ছোট ভাইকে রান্না করে খাওয়ায় নিজে খাওয়া এভাবে তারা চলতে থাকে।
আসলে দুনিয়াতে মা না থাকলে বুঝা যায় দুনিয়াটা কত কঠিন। যাদের মা আছে তারা হয়তো খুবই সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে বা তাদের দিন কাটছে। তারা বড় হয়েছে কিন্তু যাদের মানে তাদেরকে দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে হলে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। যখন মা থাকে না, তখন আত্মীয় স্বজন সবাই পর হয়ে যায়। তাদের থেকে এতটুকু আন্তরিকতা পাওয়া যায় না তারা অচেনা মানুষের মত আচরণ করে। যাই হোক আশা করি আজকের গল্পটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন আপু মা ছাড়া আমাদের দুনিয়াটা বড়ই কঠিন। মা আমাদের যতটা ভালবাসে মায়ের মত অন্য কেউ তা পারবে না। মায়ের মত করে আমাদের এতটা আপন কেউ হতে পারবে না। মায়ের মত কেউ আমাদের কষ্টগুলো বুঝবে না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরার জন্য।
একটি পরিবারের মূল বন্ধন হচ্ছে মা। আর সে মা যদি না থাকে তাহলে এমনটা সৃষ্টি হয়। মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবার সাথে সম্পর্ক দিন দিন দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এদিকে মামা-মামী খাবার দেয়ার ক্ষেত্রেও অনীহা ও পিছুপা। আর এভাবেই বোঝা যায় মায়ের মর্ম। বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। হয়তো এখান থেকে অনেকে অনেক শিক্ষা নিতে পারবে।
পৃথিবীতে মায়ের মতো আপনজন যেমন কেউ নেই তেমনি তার অবদানের মতো অন্য কারো অবদানও থাকতে পারে না।আপনি সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন।আসলেই অনেক কঠিন বিষয়কে মায়েরাই সহজ করে দেয় আমাদেরকে।ধন্যবাদ আপু।
সময়ের সাথে সাথে মানুষ সবকিছুই শিখে যায়। মাকে ছাড়া সবকিছুই অপূর্ণ। এই দুনিয়াতে মা ছাড়া আপন কেউ নেই। মা সবসময় সন্তানদের কথাই চিন্তা করেন এবং ভালো-মন্দ সব সময় বোঝেন। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।