গল্প: নিরব বাস্তবতা। (পর্ব - ০৪)|| Story: silent reality.

গল্প: নিরব বাস্তবতা

_{^{সংগ্রহশালা}}

প্রথম পর্ব এখানে	দ্বিতীয় পর্ব এখানে

_{^{তৃতীয় পর্ব এখানে}}

উর্মি মারা গেছে আজ ছয় মাস হতে চলেছে। রহিম ভীষণ কষ্ট করে তাদের ছেলে ছোট্ট আবিরকে আগলে রেখেছে। এদিকে উর্মির বাবা সোহেল সাহেব রহিমকে বিয়ে করার জন্য বলতে থাকে কিন্তু রহিম কিছুতেই রাজি হয় না। কারন সে জানে পৃথিবীটা বড্ড স্বার্থপর, অন্য একজন মানুষ ঘরে আনলে দেখা যাবে সে আবিরকে সহজভাবে নেবে না। রহিম বাস্তবতায় বিশ্বাসী সে জানে ঠিক এমনটাই ঘটবে। সৃষ্টি কর্তার প্রতি তার কোন রাগ কিংবা ক্ষোভ নেই কারন সে জানে পৃথিবীটা তার জন্য শুধুই পরিক্ষার জায়গা।

আবির বড় হচ্ছে ধীরে ধীরে, এদিকে রহিমের নিজের কোম্পানি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। আবিবের দুনিয়া তার নানা আর বাবাকে ঘিরে। রহিম তার কোন শখ কিংবা চাহিদা কখনো অপূর্ন রাখেন না। কারন বাবা-মা হারা এতিম রহিম জানে চাপা কষ্টগুলো ভেতরে সারাক্ষণ দুমড়ে মুচড়ে ভাসিয়ে নিতে চায়। হঠাৎ করেই সোহেল সাহেব ভীষণ অসুস্থ হয়ে পরেন এবং তিনি রহিমকে ডেকে পাঠান। রহিম দ্রুত সজ্জাশায়ী সোহেল সাহেবের কাছে ছুটে যায়। ইতিমধ্যে তিনি উকিলকে ডেকে তার সমস্ত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি নাতি আবিরকে লিখে দিয়েছেন। রহিম তার সামনে বসলে সোহেল সাহেব তার হাতটি ধরে বলেন, আমার সময় ফুরিয়ে এসেছে রহিম।

সোহেল সাহেব বলতে থাকেন, আমি জানি তোমাকে যদি আমার সম্পদ দিয়ে যাই তুমি সেটা কখনোই গ্রহন করবে না। তাই আমি সমস্ত সম্পদ আবিরকে দিয়ে গেলাম। আর তোমার প্রতি আমার দোয়া সবসময়ই থাকবে তুমি অনেক বড় হবে। রহিম তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে আপনার কিচ্ছু হবেনা, একটু বিশ্রাম আর ঔষধ খেলেই সেরে উঠবেন আপনি। সোহেল সাহেব হাসলেন আর কিছু সময় নিরব রইলেন। একটু পরেই তিনি ঘুমিয়ে পরেন কারন বেশ কিছু ঔষধ তাকে খাওয়ানো হচ্ছিল।

ভোর হতে না হতেই রহিমের ফোনে রিং বেজেই চলেছে, ফোন রিসিভ করা মাত্রই কাজের লোক কুদ্দুসের গলা শোনা যাচ্ছে। ভাইজান সাহেবরে অনেক ডাকাডাকি করেও ওঠাতে পারছিনা ঘুম থেকে, আমার কাছে লক্ষন সুবিধার ঠেকছে না। আপনি তাড়াতাড়ি আইসা পরেন ভাইজান।
রহিম তাড়াতাড়ি রওনা দেন শ্বশুর বাড়ির দিকে, সে সোহেল সাহেবের নিথর দেহটা পরে থাকতে দেখলো।।।।।।

_{^{"চলবে"}}

---

---

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

https://steemitwallet.com/~witnesses

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

_{Posted using SteemPro Mobile}