গল্প: নিরব বাস্তবতা। (পর্ব - ০৩)|| Story: silent reality.
সোহেল সাহেব রহিমকে তার রুমে ডেকে পাঠালেন। রহিম রুমে প্রবেশ করা মাত্রই সোহেল সাহেব বললেন এসো বাবা ভেতরে এসো। রহিম ঠিক সামনের চেয়ারে বসেছে, রহিম সাহেব বলা শুরু করলেন। তোমার বাবা আমার ভীষণ কাছের মানুষ ছিলেন, সত্যি বলতে আজ আমার এতদূর আসার পেছনে তার অবদান অনেক। তুমি তার সন্তান, তাই তোমার প্রতি আমার একটা বিশ্বাস ছিল। তুমি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রেখে আমার কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে গেছো সগৌরবে। আজ তোমার হাত ধরে আমাদের নতুন কোম্পানির জন্ম লাভ করছে, সত্যিই এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।
তুমি যে একজন যোগ্য মানুষ তোমার কাজে তা প্রমাণিত। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তবে সেটা এমন নয় তোমার উপর চাপিয়ে দেবো। রহিম বলে, আপনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি বিশ্বাস করি আমার মঙ্গলের জন্য নেবেন। যাইহোক রহিম আমি আমার মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দিতে চাই, আমার মনে হয় তুমিই একমাত্র মানুষ যারকাছে আমার মেয়ে ভালো থাকবে। তুমি তোমার বাবার মতো উদার মনের মানুষ। রহিম কি বলবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছেনা, তবুও সে লজ্জা পাওয়ার ভঙ্গিতে বললো আপনার মেয়ের তো কোন ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দ থাকতে পারে। যদি একটু তার সাথে কথা বলে নিতেন।
সোহেল সাহেব হেসে জবাব দিলেন, আমার মেয়ে আমার কাছে আয়নার মত পরিষ্কার। আমি জানি তার এমন কোন কাছের মানুষ নেই যার প্রতি সে দূর্বল। ঠিক আছে তুমি যেহেতু বলেছো আমি তার সাথে সরাসরি কথা বলবো। তুমি রাজি কিনা সেটা আমাকে জানাও। রহিম কিছু না বলে মাথা নিচু করে রাখে, এবার সোহেল সাহেব বললেন নিরবতা সম্মতির জন্য যথেষ্ট।
এদিকে সোহেল সাহেব তার মেয়ের সাথে কথা বলার পর বুঝতে পারেন উর্মি রহিমকে পছন্দ করে। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সোহেল সাহেব ভীষণ খুশি হলেন। যাইহোক মহা ধুমধামের সাথে রহিম আর উর্মির বিয়ে হয়ে গেল। সত্যি বলতে তাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। বিয়ের বছর খানেক পরে আজ তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। একদিন হঠাৎ উর্মি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পরে গেল। ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তার ব্রেইন টিউমার সনাক্ত করলেন এবং বললেন সে আর বেশিদিন বাঁচবে না। রহিম ডাক্তারের সাথে কথা বলার পর মূর্ছা যাওয়ার মতো হলো। অবশেষে আরো তিনমাস পর উর্মি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো। রহিমের মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যি ভাইয়া নিরব বাস্তবতা এটা বাস্তব। আপনার পোস্ট পড়ে উর্মির জন্য খারাপ লাগলো।যদিও গল্পের আগের পর্বগুলো আমি পড়িনি। কবে আজকের পর্বের প্রথম দিকে অনেক ভালো লেগেছিল তাদের মিলন দেখে। আসলে উর্মির মৃত্যুতে রহিমের ওপর আকাশ ভেঙে পড়ার কথাই। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয় ।