গল্প: মন যমুনার পাড়ে । (পর্ব: ০৩)
(পর্ব: ০৩) |
---|
চাঁদের আলোয় সুরাইয়ার মুখটা ভীষণ মায়াবী লাগছিলো মোর্শেদের কাছে। অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো সে, কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেনা মোর্শেদ। সুরাইয়া কিছুটা লজ্জা পেয়েছে, দেখে মোর্শেদ নিজেও ইতস্তত বোধ করলো। এবার প্রসংগ পাল্টিয়ে সুরাইয়া বললো, মোর্শেদ মাঝি চলো বাগানের ফল পাইরা খাই। এবার মোর্শেদ কিছু ফল পেরে দিয়ে বলে, দিনের বেলায় তো আমাগো বাড়ির গাছের ফল খাওন যাইতো। তুমি এই রাইত বিরাতে আমারে লইয়া এইখানে আইলা কেন্। সুরাইয়া হেসে বলে ধুর বোকা দিনের বেলায় আইলে গাঁয়ের লোক দেইখা মন্দ কইতো, আর তোমার লগে আমার ভাব ভালোবাসা কি হইতো? মেয়েটার কথা শুনে মোর্শেদ হা করে তাকিয়ে রইলো। আচ্ছা একটা হাছা কথা কও তো মাঝি, আমার লাইগা তো কত মানুষ পাগল। দুই ছাওয়ালের বাপ রজব শেখ এক বেডি রে দিয়া প্রস্তাব পাডাইছে, আমি ওরে আচ্ছা মতন গালিগালাজ করছি।
তুমি তো আমার মনডারে বুঝলানা মাঝি, বিশ্বাস করো তুমি আমার মনের নাগর। আমারো আগলাইয়া লও মাঝি, আমি তোমারে ছাড়া বাঁচুম না। মোর্শেদ কি বলবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছেনা, একদিকে মোর্শেদ ভীষণ গরিব আর সুরাইয়া আরেকজনের বিধবা বউ। গায়ের লোক জানলে ওর মুখে চুনকালি লাগিয়ে দেবে, তাছাড়াও তার নৌকায় কেউ আর উঠবেনা। আর সুরাইয়াকে বিয়ে করে কি খাওয়াবে সে? মোর্শেদ চুপ করে রইলো এবার সুরাইয়া কাঁদো সুরে বললো, তুমি কি ভাবতাছো আমি জানি। মাঝি আমার কিচ্ছু চাইনা, শুধু এক বুক ভালোবাসা দিও। তুমি যা খাও তাই দুইজনে ভাগ কইরা খামু, আর তুমি চাইলে আমরা এই গাঁও ছাইড়া নতুন চরে গিয়ে ঘর বাঁধমু।
মোর্শেদ তবুও সাহস পায় না, এই গ্রাম ছেড়ে সে কোথাও যাওয়ার সাহস পায় না। সুরাইয়া এবার নিরবতা ভেঙ্গে বলে তুমি যদি আমারে বিয়া না করো তইলে আমি গাঙ্গে লাফ দিমু, আর এর লাইগা তুমি দায়ী থাকবা। পরে অন্য কাউরে লইয়া ঘর পাইতো, আমি যাইতাছি গাঙ্গে ঝাঁপ দিমু। এই বলে নদীর দিকে দৌড়াতে থাকে সুরাইয়া, পেছনে মোর্শেদ পাগলের মতো ছুটতে থাকে। সুরাইয়া সত্যিই নদীতে ঝাঁপ দেয়, মোর্শেদ নিজেও ঝাঁপিয়ে পরে তাকে বাঁচাতে। অনেক চেষ্টার পর সুরাইয়াকে কোনমতে পাড়ে টেনে তুলতে পারলো মোর্শেদ, তবে তার জ্ঞান নেই। এবার মোর্শেদ সুরাইয়াকে ধরে কেঁদে চিৎকার করে বলতে থাকে, আমি তোমারে ভালবাসি সুরাইয়া। আমারে ছাইড়া যাইও না, এবার ধীরে ধীরে সুরাইয়া চোখ খুলেছে। সুরাইয়া চোখ খুলে বললো তুমি হাছা কইতাছো মাঝি, তুমি আমারে ভালোবাসো?
এবার মোর্শেদ বলে ওঠে, হ আমি তোমারে লইয়া দূরে কোথাও যামু গা, কেউ আমাগোরে খুঁইজা পাইবো না। আমরা ঘর বাঁধমু, নতুন চড়ে।।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1628722414661304321?t=Uimf9ccnWEz6hSU4hzvpAQ&s=19
আজকের পর্ব টা পড়ে ভালো লাগলো ভাই। সুরাইয়া তাহলে মোর্শেদের সাথে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হলো। শেষমেষ সে নদীতে ও ঝাঁপ দিয়ে দিল। তবে তারা তাদের ভালোবাসার জয় করবে সে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
পরবর্তী পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইলো।
আপনার গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগল। কারণ সুরাইয়া আর মোর্শেদে ভালো বাসা দেখে। আসলে মোর্শেদের ভয় লাগারি কথা কারণ সুরাইয়া অন্যের বউ।যাইহোক দুজনেই এক জায়গায় ঘর বাঁধা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা গল্প শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
সামনের পর্বে ওরা ঘর বাঁধার চেষ্টা করবে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
পর্বটি পড়ে খুব ভাল লাগলো ভাইয়া। সুরাইয়া আর মোর্শেদের ভালবাসা শেষ পর্যন্ত হল দেখে ভাল লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
সামনের পর্বে দারুন কিছু অপেক্ষা করছে।