গল্প: ভৌতিক পাহাড় শিলডং (পর্ব: ০৩) || Story : The ghostly mountain Shildong
(পর্ব: ০৩) |
---|
শিলডং পাহাড়ের ঐ ভৌতিক প্রানীর হাত থেকে গ্রামের মানুষকে বাঁচাতে মংগুলা , রোবেজ আর আদ্রিম যাবেই যাবে। গ্রামের মানুষ আর মোহম শত বুঝিয়েও লাভ হলো না। তাঁরাও জানে এই ছেলেগুলো একবার কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে তা আর কেউ বদলাতে পারে না। সবশেষে মোহম ওদের কথায় রাজি হলেন কিন্তু তিনি একমাত্র জানেন সেখানে কতটুকু বিপদ তাদের জন্য অপেক্ষা করছে, হয়তো এদের মধ্যে কেউ ফিরে আসবেনা। তবে তিনি যথেষ্ট বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এই তিন জোয়ান তাদের সিদ্ধান্তে অটল।
মোহম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন যেখানে মংগুলাদের সম্মান জানানো হলো পুরো আজোরা গ্রামের পক্ষ থেকে। মোহম রগুলা তাদের আজোরা বীর উপাধি দিলেন। সবাই যে যার মতো উপহার এবং ফুলের মালা দিয়ে এই অসম্ভব সাহসী ছেলেদের বরণ করে নিল। সবার উদ্দেশ্যে মংগুলা বললো, আমরা গ্রামের মানুষকে বাঁচাতে এই ভয়ংকর পাহাড়ে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস আছে আমরা এর সঠিক সমাধান করে ফিরে আসবো। তবুও বলি যদি ফিরে না আসি আমি তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। গ্রামের মানুষ সত্যিই অবাক এই সাহসী যুবকের কথা শুনে। সবশেষে তাদের জন্য এক পসলা কেঁদে নিয়েছে অনাগত বিপদের কথা চিন্তা করে।
এবার মোহম রগুলা তাদের নিয়ে একটি ঘরে বসলেন আলোচনার জন্য। কারন রগুলা এমন কিছু জানেন যা হয়তো তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে। প্রথমেই রগুলা একটি বড় ছুরির মতো রত্ন খচিত খন্জর উপহার দিলেন মংগুলাকে, বললেন এটা আমার পূর্ব পুরুষের আমানত ছিল, আমি তোমাকে দিলাম। আজ থেকে তুমি এটার মালিক। তবে এটার কিছু বিশেষ গুনাবলী রয়েছে বিপদের সময় তা বুঝতে পারবে। আর রোবেজ আর আদ্রিমকে একটি করে বল্লম উপহার দিলেন। এরপর সে বলা শুরু করলো, আমরা যাকে ভূত বলি আসলে এটা একটা বিশাল দেহ বিশিষ্ট অদ্ভুত দেখতে জন্তু যার একটি মাত্র চোখ এবং শরীর অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক দানব। সে জীবন্ত প্রানী আর তাজা শস্য খেতে পছন্দ করে। প্রতি দশ দিন অন্তর অন্তর খাবার খায়, সে সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হলো তার প্রান তার শরীরে নেই। মংগুলা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল কিভাবে আপনি এতো কিছু জানলেন?
তোমার পিতা দস্তবীজ তার হাতে প্রান দিয়েছেন মংগুলা। আমি এতো দিন বলিনি কারন আমি সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছিলাম। এটা শোনার পর মংগুলার চোখ লাল হয়ে উঠলো এবং অগ্নি অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। রগুলা বলতে শুরু করলেন আবারো, আমি এবং তোমার পিতা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। আমরা এই ভয়ংকর প্রানীটার বুকে আঘাত করেছিলাম বিশাল বল্লম অস্ত্র দিয়ে কিন্তু তাকে আমরা মারতে পারিনি। আমার মনে হয়েছে তার প্রান শরীরের মধ্যে নেই, সে অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখেছে। তবে তাকে আঘাত করে কিছুক্ষণের জন্য বিভ্রান্ত করা যায় মাত্র। সবথেকে যেটা বড় বিষয় তা হলো দিনের বেলায় সে ঘুমিয়ে কাটাতে পছন্দ করে, তবে তার কান সবসময়ই খোলা থাকে। আমি এতো দিন গ্রামের মানুষের কাছে সবকিছু লুকিয়ে রেখেছি কারন তারা এসব শোনার পর কখনো এই গ্রামে বসবাস করতো না। আমি অদ্ভুত প্রানীটার গতিবিধি সবসময়ই নজর রেখে গ্রামের মানুষকে আগলে রেখেছি কিন্তু এবার আর সম্ভব হচ্ছিল না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একাই লড়াই করবো এই দানবের সাথে। কিন্তু তোমরা এভাবে এগিয়ে আসবে ভাবতে পারিনি।
মংগুলা মোহম রগুলার প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছিল। সে বললো মোহম আপনি আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আমি আমার বাবার মৃত্যুর বদলা নিয়েই ছাড়বো আর গ্রামের মানুষকে দানবের হাত থেকে বাঁচাবো। আমাদের ঐ গুহায় যাওয়ার ব্যাবস্থা করুন মোহম।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
রগুলার কথা শুনেও একটু ভয় লাগলো। বল্লম অস্ত্র দিয়ে ভয়ংকর পানি টাকে আঘাত করার পরেও নাকি ও মরে নাই। আবার বলছে ওর দেহে হয়তোবা প্রাণ ছিল না। মংগুলাও তার কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনছিল। কিন্তু মংগুলা কিভাবে তার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিবে এবং গ্রামের মানুষকে দানবের হাত থেকে রক্ষা করবে এটা জানার খুব ইচ্ছে রয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
চতুর্থ পর্ব আসছে খুব তাড়াতাড়ি, আশাকরি গল্পটি পড়বেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1599666902338793472?t=kfW86nm3DPZmHHcDnFoB9w&s=19
অনেক সুন্দর একটি ভৌতিক গল্প লিখেছেন ৷ আপনার লেখা ভৌতিক পাহাড় শিলডং পর্ব তিন পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ আশা করি খুব শীঘ্রই পরের পর্ব শেয়ার করবেন ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
ধন্যবাদ ভাই গল্পটি পড়ার জন্য।
ছুরির গুনাগুন জানার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষা করতে হবে তাহলে। বেশ ভালো দিকে এগোচ্ছে আপনার গল্পটা। দেখা যাক বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ কিভাবে নেয় মংগুলা।
ধন্যবাদ ভাই।
সামনের পর্বে অনেক কিছু জানা যাবে। ভালো থাকুন দোয়া রইল।
চমৎকার লিখেছেন ভাই। আস্তে আস্তে রহস্যের জট খুলছে।প্রত্যেকটি গ্রামে এমন বীর যুবক থাকলে সব বিপদে আপদ থেকে গ্রাম রক্ষা পেত। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ ভাই। সামনের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আসছে।
আপনার ভৌতিক পাহাড় শিলডং গল্পের আজকের পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে গল্পটি মাঝে মাঝে ভয়ংকর অনেক ভয়ংকর রোমাঞ্চকর বলেও।মংগুলা পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানতে চাই। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই আসছে।
ভাইয়া আমি প্রথম থেকেই আপনার ভৌতিক পাহাড় শিলডং এর গল্পটা পড়ে আসতেছি। মংগুলা,রোবেজ আর আদ্রিম খুবই সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছে। মংগুলা মোহম হয়তো আরো কিছু তথ্য দিবে তাদেরকে। দেখা যাক মংগুলা তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে পারে কি না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ! বেশ চমৎকার ভৌতিক গল্প লিখেছেন তো ভাই। আপনার গল্পের তৃতীয়তম পর্বটি পড়ে এত ভাল লেগেছে এর আগের দুটো পর্বও আমাকে পড়তে হলো। ছুরির গুনাগুন জানার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। মংগুলা তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ কিভাবে নেয় দেখা যাক।
ধন্যবাদ ভাই আমার গল্পটি পড়ার জন্য। সামনের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি আসছে।
খুব ভালো থাকুন দোয়া রইল।