গল্প: ভৌতিক পাহাড় শিলডং (পর্ব: ০১) || Story : The ghostly mountain Shildong
ছবির মতো সুন্দর গোছানো গ্রাম আজোরা। সবুজে ঘেরা গ্রামটির একপাশে রয়েছে সোংজোয়া নদী আর অপর পাশে শিলডং পাহাড়, বলা যায় গ্রামটি অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। সবদিক থেকে প্রান প্রাচুর্যে ভরা এই চমৎকার আজোরা। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা ভালোই রয়েছে এখানে কারন তাদের খাবার কিংবা পোষাক কোনটার অভাব নেই এখানে। আজোরার মাটি তাদের কাছে মায়ের আঁচলের মতো আর সোংজোয়া নদী তাদের আগলে রেখেছে। তবে তাদের কষ্ট বলতে গেলে একটাই তা হলো সুউচ্চ শিলডং পাহাড়।
শিলডং পাহাড় থেকে সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন রকম ভৌতিক আওয়াজ শোনা যায়। গ্রামের মানুষ সচরাচর সন্ধ্যার পর বেশ সতর্ক থাকে এবং পাহাড়ের দিকে কম যায়। কেউ কেউ বলে ওখানে বড় দানব আছে আবার কেউ বলে ভূত রয়েছে ওখানে। প্রতি আমাবস্যার আগের দিন পাহাড়ের একটি গুহায় বড় একটি আস্ত গরু, বিভিন্ন খাদ্য শস্য এবং মাছ দিয়ে আসতে হয়। যদি তা না করা হয় তাহলে অমাবস্যার রাতে একটি মানুষ এবং একটি গরু আজোরা গ্রাম থেকে হারিয়ে যায়। তাই বছরের পর বছর ধরে এভাবেই বসবাস করে আসছিল গ্রামের মানুষ।
গ্রামের মোহম হলো রগুলা, তিনি একজন বয়স্ক মানুষ, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের এই মানুষদের আগলে রেখেছেন। একমাত্র তিনিই কিছুটা রহস্য জানেন এই শিলডং পাহাড়ের। তবে তিনি কাউকে কখনো খুলে বলেন না, কারন বললে হয়তো এই শান্তির গ্রামে কেউ থাকবেনা। গ্রামের মোহম রগুলার কথা সবাই মেনে চলার চেষ্টা করেন শুধুমাত্র তিনজন যুবক ছেলে ছাড়া। এরা হলো মংগুলা, আদ্রিম আর রোবেজ যাদের পুরো গ্রামের কয়েকশো মানুষ বাঁদরের দল বলে ডাকে। এই তিনজনের তিন ধরনের কুখ্যাতি রয়েছে, এরমধ্যে মংগুলা সবথেকে বুদ্ধিমান এবং শক্তিশালী। সে মাঝে মাঝেই মরার ভান করে পরে থাকতে পারে, দুবার এমন হয়েছে সে মরার ভান করেছে অথচ গ্রামের মানুষ দীর্ঘ সময় মৃত ভেবে সৎকার করতে গেছে পরে আবার বেঁচে উঠেছে। আদ্রিম আর রোবেজ যতরকম বাঁদরামি আছে সব করতে পারে। তবে মধ্যবয়সী এই কুখ্যাত দলের একটাই ভালো দিক তা হলো গ্রামের কোন বিপদে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পরে এবং বিপদ মুক্ত করে।
তবে যে যাই বলুক সন্ধ্যার পর কেউ বের না হলেও এরা তিনজন এই সুযোগে মজা করতে পছন্দ করে। যেমন মাঝে মাঝেই এর ওর খোয়াড়ের মুরগী লুকিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে খেতে পছন্দ করে। তবে ভয় যে পায়না এমনটা নয়, ওদের আড্ডা হলো পাহাড় থেকে দূরে নদীর পাড়ের দিকে। এদিকটায় বেশ নিরাপদ মনে হয় তাদের কাছে। পরদিন সকালে যখন দেখা যায় খোয়াড়ে দু একটা মুরগি কম তখন যে কেউ বুঝতে পারে এটা বাঁদর দলের কাজ, তবুও কেউ কিছু বলেনা কারন বিপদে ওদেরকেই পাওয়া যায়। তাই মংগুলাদের সময়গুলো ভালোই কাটছিল।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1596406235976597504?t=PiJVkqTwxhNsFLbmlsKjwQ&s=19
এর আগেও আপনার চমৎকার চমৎকার গল্প গুলো পরেছি। আজকে তো দেখছি আবার ও চমৎকার একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছেন। ভৌতিক পাহাড় শিলডং। গল্পটির প্রথম পর্বের অনেক মজা পেলাম। মংগুলা মাঝে মধ্যেই মরার ভান করে থাকে বাহ্ দারুন। আশাকরি গল্পটি ভালো হবে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ লিমন।
গল্পটা সামনে অনেক দারুন হতে যাচ্ছে।
আপনার ভৌতিক পাহাড় শিলডং এর গল্পটি পড়ে খুব ভালোই লাগলো। গ্রামের তিন জন মানুষ অনেক দুষ্টামি করে। তাদেরকে বাঁদর দল বলে ডাকে। সবার থেকে মংগুলা খুব বুদ্ধিমান। সেই দুইবার মরার ভান ধরে পড়ে রইল। এরকম কিছু লোক সব জায়গাতে আছে। যারা রাতে মজা করে অন্যের হাঁস মুরগি নিয়ে খেয়ে ফেলে। তবে আপনার দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি মনে হয় অনেক মজা হবে।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
জি দ্বিতীয় পর্ব বেশ দারুন হতে চলেছে।
আশাকরি পড়বেন।।
ইতিপূর্ব ভাই আপনার অনেক ভূতের গল্প পড়েছি। আজকের গল্পটির বেশ সুন্দর। বেশ মংলার চরিত্রটি ফুটে উঠেছে। তবে একটা কথা ভাই আমি ভূতের গল্প বেশি পড়িনা। পরে রাত্রে ঘুমাতে পারি না। আপনার গল্পটা ভালো লাগলো তাই পড়লাম।
আমার গল্পটা ভৌতিক শুনলেও এখানে ভূত নেই, সামনের পর্বে ভালো মজা পাবেন।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
বাহ খুবই ভালো লাগলো ভৌতিক পাহাড় শিলডং এর প্রথম পর্বটি, বিশেষ করে ৩ বাদরের কাহিনী পড়ে মজা পেয়েছি । আশাকরছি দ্বিতীয় পর্বে আরো ভয়ঙ্কর গা শিউরে তোলার মতো কিছু পড়তে পারবো। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই। ❤️
অনেক ধন্যবাদ মাহির গল্পটি পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। দ্বিতীয় পর্বে সত্যিই ভয়ঙ্কর কিছু ঘটবে।
ভাইয়া আজ গল্পের প্রথম পর্ব।মোহম রগুলা ছাড়া পাহাড়ের রহস্য কেউ জানে না। তবে মংগুলা, আদ্রিম আর রোবেজ তাদের কপালে কিছু একটা আছে । সেটা বুঝা যাচ্ছে। দেখা যাক পরের পর্বে কি অপেক্ষা করছে।
ছোটবেলায় ঠাম্মা যখন গল্প বলত, সেই গল্পের কথা মনে পড়ছে।এরকমই একটা গল্প শুনেছি। ঠাম্মা বলতো যে গ্রামের লোকেরা খাবার নিয়ে গুহার মুখে রেখে আসতো।নয়তো গ্রামের একটা মানুষ আর গরু-ছাগল হারিয়ে যেত। তাই তারা পাহাড়ের গুহায় থাকা রাক্ষস কে রাগাতো না। কথাগুলো মনে পড়ে যাচ্ছে। জানিনা আপনি গল্পটা নিজের মতো করে লিখছেন নাকি কোথা থেকে ইনফরমেশন পেয়েছেন ওই জায়গা সম্পর্কে তার ব্যাপারে কোন আইডিয়া নেই। তবে এরকম পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে আর সেটা বাস্তব। দ্বিতীয় পর্বটা পর্ব বলে প্রথম পর্ব টা পড়ে গেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। আসলে বিষয়টি হচ্ছে কোথাও থেকে ইনফরমেশন পেয়ে লিখলে সোর্স এখানে অবশ্যই উল্লেখ করতাম। এখানে পুরো গল্পটাই নিজের কল্পনা শক্তি থেকে লিখার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনাকে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি গল্পটা সম্পর্কে। আমি মাঝে মাঝেই এধরনের গল্প লিখে থাকি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
আর তৃতীয় পর্ব আরো দারুন হতে যাচ্ছে।