গল্প:- ভেলকি মজিদ (◠‿◕) এক ঠান্ডা মাথার চোর || (পর্ব ০৪ - দুষ্টের ডেরায় হানা )
পর্ব ০৪ - দুষ্টের ডেরায় হানা |
---|
মজিদের মোটামুটি বছর খানিক সময় লেগেছে রুস্তম শেখের পুরো রুটি ফেক্টরি আর সমস্ত সম্পত্তি গুছিয়ে নিতে। তবে মজিদ মনে করে এটা তার সম্পদ নয় কারন সে ভেলকি দিয়ে তা এই দুষ্ট রুস্তমের থেকে হাতিয়ে নিয়েছে, যেভাবে সে আগের মালিকের কাছ থেকে নিয়েছিল। তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই সম্পদ দিয়ে সে গরিব মানুষের সেবা করবে। আগের রুটি ফেক্টরি এখন দ্বিগুণ বড় হয়েছে আর অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছে মজিদ। তবে তার পরিকল্পনা মাফিক জলিল ভাইকে ফেক্টরির ম্যানেজারের পদ দেয়া হয়েছে এবং তার সততার পরিক্ষা নিয়েছে মজিদ বেশ কয়েকবার। লোকটি আসলেই সৎ এবং নিষ্ঠাবান। মজিদ মূলত এরকম লোক প্রত্যাশা করছিল কারন সে এক জায়গায় থাকলে চলবেনা। গত বছর খানেক ধরে পুষে রাখা আগুন এক বিন্দু কমেনি তার ভেতরে। সে তিলতিল করে নিজেকে তৈরি করছে সবদিক থেকে। আগের সেই মজিদকে চেনার কোন উপায় নেই। তাকে দেখে যেকেউ একজন সুদর্শন ব্যাবসায়ী মনে করবে।
এবার তার গ্রামে ফিরতে হবে এবং তার পিতার খুনের বদলা নিতে হবে। মজিদ ঠান্ডা মাথার লোক, সে পরিকল্পনা সাজিয়ে নিলো কারন সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া ঐ শক্তিশালী দুষ্ট লোকদের সাথে পেরে উঠবে না সে। পুরো কোম্পানির দায়িত্ব জলিলকে বুঝিয়ে দিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে বলে সবার কাছ থেকে বিদায় নিল। মজিদের অবর্তমানে সবাই তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করবে বলে কথা দেয়। মজিদ নিশ্চিন্ত মনে তার গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দেয়।
মজিদের পরিকল্পনা হলো বড় ব্যাবসায়ী হিসেবে রমিজ ব্যাপারির কাছে যাবে এবং তার সর্বস্ব লুটে নেবে ভেলকি দিয়ে। সরাসরি রমিজের ডেরায় হাজির হলো মজিদ, দারুন ভদ্রলোক দেখে রমিজের লোকজন একটি চেয়ার এগিয়ে দিলো তারা। রমিজ এই সুদর্শন বিত্তবান মানুষকে দেখে বললো ভাই বলুন আমি আপনার কি উপকারে আসতে পারি। মজিদের গলার স্বর পরিবর্তন করে বলা শুরু করলো আমি একজন শহরের ব্যাবসায়ী আপনাদের গ্রামে কিছু ব্যাবসা করতে চাই। শুনেছি আপনার বড় মাছের আড়ৎ রয়েছে, আমি সরাসরি শহরের আপনার এখান থেকে মাছ নিয়ে বড় বড় আড়ৎ গুলোতে দিতে চাই। আর সাথে কিছু জমি কেনার চিন্তা রয়েছে আমার। কি ব্যাবসা করবেন আমার সাথে ? রমিজ যেন খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠলো, এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। সে বললো আরে সাহেব কি সৌভাগ্য আমার। সে বললো হুজুর আপনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে। মজিদ মনে মনে ভীষণ খুশি কারন নদী থেকে যে মাছগুলো জেলেরা ধরে এই গ্রামের আড়তে তেমন ভালো দাম পাওয়া যায় না।
এদিকে মজিদের থাকা খাওয়ার বেশ ভালো ব্যাবস্থা করেছে রমিজ, মনে মন মজিদ বললো তোমাকে ধ্বংস করার জন্য আমি এসেছি সবুর করো। শহরের আড়তে আগে থেকেই লোক ঠিক করা ছিল মজিদের। বিশ্বস্ততা অর্জন করার জন্য প্রতিদিন এক ট্রাক করে মাছ কেনা শুরু করলো মজিদ বেশ চড়া দামে। রমিজের খুশি দেখে কে, টাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে গেছে সে। পনেরো দিনে মোটামুটি সব কয়টি মাছের চালান ঠিকমতো শহরে পৌঁছেছে আর বেশ কিছু টাকা লাভ করতে পেরেছে রুস্তম ব্যাপারি।
এরপর হঠাৎ একদিন রুস্তমের ট্রাক মাছ নিয়ে শহরের দিকে যাচ্ছ, জঙ্গলের ঘন রাস্তা পার করার সময় মাছসহ ট্রাক গায়েব হয়ে যায়। রুস্তম দিশেহারা হয়ে পরে এদিকে মজিদ আগে থেকেই লোক ফিট করিয়ে কাজটি করতে থাকে। কিন্তু রুস্তমকে ব্যাপক চাপ দিতে থাকে। এভাবে কয়েটি মাছের চালান গায়েব হওয়াতে রমিজ একদমই কোনঠাসা হয়ে পরে আর ঋণের বোঝা বাড়তেই থাকে। রুস্তম ব্যাপারি মজিদের কাছে সাহায্যের হাত পাতে ঠিক যেভাবে মজিদের বাবা রুস্তমের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। মজিদ এই সুযোগটার অপেক্ষায় ছিল এতদিন।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1581926766209544193?t=svR3ryF7ZhPXj0hB4u5VSg&s=19
ভেলকি মজিদ এর গল্পটি ভীষণ ভালো লাগে। রমিজ মিয়ার ঋণের বোঝা বাড়তেই থাকে জেনে খুশি হলাম। মজিদ সত্যিই যেনো এক ঠান্ডা মাথার চোর। ট্রাক করে মাছ গায়েব বাহ্ দারুন। আপনার এই গল্প আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হ্যা লিমন। গল্পটা বেশ ভালো লাগছে লিখতে।
পরের পর্বে চূড়ান্ত মার দেয়ার পালা।