ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ- একদিন বক্তিতার মঞ্চে
আজ - বৃহস্পতিবার
প্রিয় বন্ধুরা আমি যেদিন প্রথম বক্তৃতা দেই সেদিন আমার অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল এবং এই বিষয় সম্পর্কে আমার লাইফের একটি স্মরণীয় ছোট্ট গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি,আশা করি আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এটি উপভোগ করবেন। আমার মনে হয় অন্যান্য দিনের পোস্ট থেকে আজকের এই পোস্টটা অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং হবে তবে চলুন শুরু করি...। ছোটবেলা থেকেই যখন আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম তখন আমি ক্রিয়া প্রতিযোগিতাতে তেমন একটা পটু ছিলাম না, তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বেশ এগিয়েছিলাম। বিশেষ করে বক্তব্য দেওয়া কবিতা বলা এগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগত। তবে মাঝেমধ্যে আমার বাংলা ব্লগের কিছু, কিছু ইউজারদের কবিতা পড়ে সত্যি অনেক মুগ্ধ হয়ে যায় কিন্তু আফসোসের বিষয়টা কি জানেন? আমি ভেবেচিন্তে কবিতা লিখতে পারিনা 🤭জানিনা ওনারা যে কিভাবে এ লাইনগুলো তৈরি করেন এটা সত্যিই বেশ আশ্চর্যময় একটা কাজ। কারন আমি যদি কবিতা লিখতে বসি তাহলে দুই লাইন বানাতেই এক ঘন্টা লেগে যাবে।
তবে কবিতা আবৃতি করতে আমার বেশ ভালো লাগে বিশেষ করে বিদ্রোহী কবিতাগুলো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি । আমার মনে আছে একদিন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির হ্যাংআউটে আমি একটা কবিতা আবৃত্তি করেছিলাম তবে নার্ভাসের জন্য কবিতাটি এত জোরে বলেছিলাম যে দাদা হেসে দিয়ে আমাকে পুরস্কৃত করেছিল। যেটা আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া ছিল ❤️। তবে এবার চলুন শেয়ার করি আমি কবে প্রথম বক্তৃতার মঞ্চে উঠেছিলাম এবং আমার অনুভূতিটা কেমন ছিল সেদিন। আমি প্রথম বক্তব্য দিয়েছিলাম যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি সেদিন ছিল 26 শে মার্চ আর ওই দিনে আমি যে বক্তব্যটা শেয়ার করেছিলাম তার ছোট্ট একটা ক্লিপ আপনাদের মাঝে শেয়ার করি সেটা ছিল " আগুন ঝরা ফাগুনে বসন্তের আগমনে প্রকৃতি যখন তার নিঃশব্দে সজ্জিত হয় ঠিক তখনই আসে অগ্নিঝরা মার্চ .... ২৬ শে মার্চ" তো এইভাবে বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনেক স্যার ম্যামের কাছে আমি প্রিয় হয়ে উঠেছিলাম কিন্তু এই বক্তব্য শেখানোর মূল ক্রেডিটটা আমার বড় বোন লাবনী আপুর। উনি আমাকে সময় নিয়ে এগুলো প্যাকটিস করাতেন।
এভাবে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে বক্তব্যটা শুধু মুখে বললেই যথেষ্ট নয় বক্তব্য বলার সময় নিজের অঙ্গী ভঙ্গি এবং যে অডিয়েন্সগুলো রয়েছে তাদের আকর্ষণ এক জায়গায় নিয়ে আসা এটা অনেক বড় একটা বিষয়। আর এটা সম্পূর্ণটাই সম্ভব হয় নিজের কথার ভঙ্গি এবং কথার ধরনের উপরে। এভাবে বক্তব্য দেওয়ার পরে যখন সবাইকে আনন্দিত করলাম তখন হঠাৎ একদিন ইন্টার স্কুলের ক্রিয়া প্রতিযোগিতা খেলা শুরু হলো.. তখন স্কুলে যে স্যার ম্যাম গুলো রয়েছে বক্তব্যের জন্য আমার নামটা ওখানে দিয়ে দিলেন। আমি তো প্রথমত অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম যে এত মানুষের মধ্যে বক্তব্য দিব আল্লাহ কি যে হবে !! এ বিষয়গুলো নিয়ে কারণ যারা জীবনে বক্তব্য দিয়েছেন তারা এই বিষয়টা রিয়েলাইজ করতে পারবেন যে অনেকগুলো মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় অনেক নার্ভাসনেস কাজ করে। যেমন আমি যখন প্রথম ইন্টার স্কুলের সবার সামনে বক্তব্য দিয়েছিলাম তখন মনে হচ্ছিল যে আমার দুইটা হাটু কাঁপছিল হাহাহা,
পরবর্তীতে ধীরে, ধীরে অভ্যস্ত হতে লাগলাম কারণ ইন্টার স্কুলে আমি আমাদের এলাকা থেকে টিকে গিয়েছিলাম। তারপরে আবার পরবর্তীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিযোগিতা হলো সেখানেও টিকে গিয়েছিলাম আবার থানা পর্যায়ে হলো সেখানেও প্রথম পুরস্কার অর্জন করে আমাদের স্কুলের নাম প্রায় অনেকদিন ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু জেলা পর্যায়ে গিয়ে আমি দ্বিতীয় হই কারণ ওখানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি ছিল এবং আমাকে একটা লটারির মাধ্যমে টপিক সিলেক্ট করতে বলা হয়েছিল কিন্তু আমার যে টপিকটা ভাগ্যে পড়েছিল ওই টপিকের উপরে আমার কোন প্র্যাকটিসও ছিল না ।যার কারণে তেমন একটা ভালো পারফরমেন্স করতে পারি নাই এজন্যই হয়তোবা সেকেন্ড হয়েছিলাম। যাই হোক তবুও এ বিষয়গুলো এখন পর্যন্ত আমার অনেক ভালো লাগে আর এটা আমার অনেক ভালো লাগার একটা বিষয়। এই যে বক্তব্য দেওয়ার একটা অভ্যাস সেই দিন থেকে হয়ে গেছে এখন আমি হাই স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ পর্যন্ত সব জায়গাতেই পুরস্কার থাকুক বা না থাকুক এটা দেখি না আমাকে বক্তব্য দিতে হবে এটাই আসল কথা।
কারণ আমার মনে হয় যে একটা নির্দিষ্ট টপিকের উপরে নিজের মনোভাব প্রকাশ করা অনেক বড় একটা পাওয়া আর এটা সম্ভব হয়ে উঠে বক্তব্যর মাঝখানে যেখানে অনেক গণ্যমান্য মানুষ বসে থাকে এবং আমার মত সামান্য একটা মানুষকে সেখানে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয় যেটা আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। আর যেকোনো টপিকের উপরে মঞ্চে উঠে বক্তব্য দেওয়ার সাহস এখন মনের ভিতরে হয়ে গেছে আর তেমন একটা সমস্যা হয় না যাইহোক আপনাদের জীবনে যদি এমন কোন কাহিনী থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। আমরা সত্যি অনেক উপভোগ করব গল্পগুলো, ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সময় ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
x- promotion
বেশ দারুন একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে বক্তব্য দেওয়া আর জনগণের সম্মুখে কথা বলার মধ্যে নিজের অন্যরকম একটা এক্সপেরিয়েন্স থাকে। শুধু মুখে বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, নিজের অঙ্গভঙ্গি কথার স্টাইল উপস্থাপনা মানুষকে মুগ্ধ করে। আর সকল বিষয়ে যারা পারদর্শিত অর্জন করে তারাই সাফল্য অর্জন করতে পারে।