ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ- আমঝুম
আজ - সোমবার
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটা মজার গল্প শেয়ার করব। যেটা আমরা ছোটবেলায় অনেক করতাম সেটা হচ্ছে আমার ফেভারিট আমঝুম। আমঝুম কথাটা শুনলেই হয়তো বা আপনাদের মনের ভিতরে এই খেয়াল টা চলে আসবে যে হয়তো আম দিয়ে কোন একটা রেসিপি, একদম ঠিক ধরেছেন ঠিক এমনটাই। আম কাঁচা, মরিচ, ধনিয়া পাতা সহ বিশেষ কিছু মসলাপাতি দিয়ে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই রেসিপিটি তৈরি করা হয় আর এটি খেতে যে কি পরিমান সুস্বাদু লাগে যখন এটা তৈরি করে খাবেন তখনই হয়তো বা এটা বুঝতে পারবেন। আপনার যদি আমাদের কমিউনিটি একটু ভালো করে রিসার্চ করেন তাহলে হয়তোবা দেখতে পারবেন যে অনেকেই এই আমঝুম রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। আমি নিজেই দুই থেকে তিনটা এমন রেসিপি তৈরি করে খেয়েছি। তাই ভাবলাম যে এই রেসিপিটা আজকে শেয়ার না করি এর পিছনে জড়িয়ে থাকা যে মজার গল্পগুলো রয়েছে সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি আশা করি আপনারা আনন্দিত হবেন।
গতকাল আমি একটা জিনিস দেখে বেশ অবাক হলাম সেদিন আমি রাস্তায় একটা বট গাছের নিচে বসে বসে বাতাস খাচ্ছি। আসলে এই যে কয়দিন কি যে একটা গরম পড়েছে বাড়ির এদিকে একেবারেই বাতাস নেই সবকিছু ঝুপ ধরে আছে কিন্তু যদি একটু মাঠের দিকে যাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে বড় বট গাছের নিচে বসে থাকলে অনেকটাই স্বস্তি মিলে। তো বটগাছটা অবস্থিত একটা রাস্তার পাশে আমি এবং রাসেল দুজনের গল্প করতে, করতে বট গাছের ছায়ায় বসে বাতাস খাচ্ছিলাম ঠিক তখনই ওই গাছের পাশে একটা আম গাছ রয়েছে ওখান থেকে একটা আম ধুপ করে মাটিতে পড়লো আর বাইকে করে একটা মেয়ে এবং একটা ছেলে রাস্তা দিয়ে আসছিল উনারা আমটা দেখেই তারা গাড়িটা থামিয়ে মেয়ে গাড়ি থেকে নেমে আমরা করিয়ে নিল । বিষয়টা দেখে আমার কাছে বেশি ইন্টারেস্টিং লাগলো কারণ ওই মেয়েটার বয়স হয়তো বা ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে কিন্তু ছেলেবেলার সেই অভ্যাসটা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। হিহিহিহি,
ছেলেবেলায় এই ধরনের স্মৃতি আমার অনেক রয়েছে তখন এভাবে আম করুতাম তারপর ওগুলো বাড়িতে রাখতাম এবং যে এই ছোট, ছোট আমগুলো রয়েছে যেই আমগুলোর এখনো পর্যন্ত কোন আটি হয় নাই ভিতরে সেই আমগুলো কেটে, কেটে লবণ মরিচ এবং ধনিয়া পাতা দিয়ে মাখিয়ে তারপরে সেগুলো বেটে যখন খেতাম ও কি যে একটা মজা লাগতো সত্যি অসাধারণ একটা মুহূর্ত ছিল। আম কুড়ানোর মুহূর্ত টা আপনারা কিভাবে দেখছেন আমি এটা ঠিক অনুমান করতে পারছি না কিন্তু ছোট থেকে বড় হয়ে যাওয়া পর্যন্ত আম কুরানোর কিউরিসিটি সকল মানুষের মধ্যেই থেকে যায় । যার প্রমাণটা আমি গতকালকেই পেলাম। আচ্ছা আপনাদের আম ঝুম এর সাধারণ একটা ধারণা আমি দিয়ে রাখি সেটা হচ্ছে আম জুম করার জন্য প্রথমে আপনাদের কচি কচি আম সংগ্রহ করতে হবে।
তারপরে সেগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে ছুরি অথবা অন্য কোন ধাতব পদার্থ দিয়ে এগুলোর আঁশ ছাড়িয়ে নিবেন। পরবর্তীতে এগুলোর মধ্যে সামান্য পরিমাণ লবণ মাখিয়ে কাঁচা মরিচ এবং বিট লবণ সেই সাথে ধনিয়া পাতা দিয়ে দিবেন এবং সবগুলোকে একসঙ্গে ভালো করে সেচে নিবেন এভাবে কিছুক্ষণ প্রক্রিয়াটা চলমান রাখলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু আমঝুম রেসিপি। যেটা বাচ্চা থেকে বড় সবাই খেতে পারবেন এটা সত্যি অনেক সুস্বাদু। এই আম কুরানো নিয়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এগুলো অন্যদিন আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব। এখন আমের মৌসুম চলছে আপনারা চাইলে এই রেসিপিটা খুব সহজে তৈরি করে খেতে পারেন যদিও আমি এই রেসিপিটা সম্পর্কে সামান্য ধারণ আপনাদের মধ্যে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি আমার মনে হয় এটি তৈরি করে খেতে আপনাদের তেমন একটা কষ্ট হবে না। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ এতক্ষণ পাশে থেকে ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারও খুশি করে দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসময়ে তো আপনি দেখছি লোভ লাগিয়ে দেবার মত একটা তথ্য শেয়ার করলেন ভাইয়া। আমঝুম খেতে যে কতটা ভালো লাগে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলেই জিভে জল চলে আসছে।