ফটোগ্রাফি পোস্টঃ- গ্রাম অঞ্চলের আলোকচিত্র
আজ - সোমবার
এক্সাম শেষ করে বাসায় চলে এসেছি ১৫ থেকে ১৬ দিন হলো। এই দিনগুলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর মধ্যেও আমি অন্তর্ভুক্ত করতে চাই কারণ এই দিনগুলোতে আমি অনেক আনন্দ পেয়েছি এবং আমার এই প্রিয় গ্রামটি অনেকবার ঘুরে দেখেছি। এই গ্রামের বাতাস আবহাওয়া সবকিছু আমার চেনা যখন অনেকদিন পর এই গ্রামে আসি তখন মনের ভিতরে অন্যরকম একটা আনন্দ কাজ করে এটা হতে পারে দেশপ্রেম বা মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা। বিগত দিনে কিছু সমস্যার জন্য আপনাদের সবার থেকে প্রায় দূরে চলে গিয়েছিলাম তখন আপনাদের সবাইকে অনেক মিস করতাম । অবশেষে যাই হোক আজকে পোস্ট করতে পেরে খুবই আনন্দ লাগছে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমাদের গ্রামের সিজনাল কিছু ফটোগ্রাফি। এখন যেহেতু পাটের সময় এসে গেছে এখন সবাই পাট কেটে সেগুলো যাগায়ন করে পরবর্তীতে শুকিয়ে বিক্রয় করবে আর এই প্রক্রিয়াটা আমার দেখতে বেশ ভালই লাগে। আজকে আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে এমন কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে ধাপে, ধাপে শেয়ার করতে যাচ্ছি আশা করি আপনাদের আজকের এই পোস্টটি বেশ ভালই লাগবে।
ফটোগ্রাফি করার মধ্যেও অন্যরকম একটা আনন্দ আছে কিন্তু, কারণ ফটোগ্রাফি করার সময় নিজেকে মনে হয় ফটোগ্রাফার যেটা দারুন একটা বিষয়। যাই হোক চলুন দেখে আসি আজকে আমি আপনাদের মাঝে কি, কি ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। প্রত্যাশা রইলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকবেন তাহলে অবশ্যই আনন্দ পাবেন ইনশাল্লাহ।
ধান যখন বড় হয় তখন ধানের মাঠের আশেপাশে বসে থাকলে একটা সুন্দর বাতাস বয় আর ওই বাতাস যখন গায়ে লাগে তখন আসলেই মনটা প্রশান্তিতে ভরে যায়। সেদিন ঘুরতে গিয়ে এই ধান গাছগুলো দেখে বেশ ভালই লাগলো। যেমন ধান গাছে ফুল এসেছে তেমনি ফির-ফিরে করে বাতাস বয়ছিল তাই ওখানে বসে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলাম এবং আবহাওয়াটা উপভোগ করছিলাম।
এবার এদিকে আবার দেখতে পাচ্ছেন যে নতুন ধান রোপন করা হচ্ছে। ধান গাছ রোপণ করার এই দৃশ্যটা আপনারা যদি গ্রামে আসেন তাহলে এটা কমন হয়ে যাবে। কারণ চাল হচ্ছে আমাদের প্রধান খাবার যেটা ধান থেকে এসে থাকে। কথায় আছে না মাছে ভাতে বাঙালি, তাই যেটাই হয়ে যাক না কেন আমাদের ধান চাষ করাই লাগবে।
এগুলো দেখতে পাচ্ছেন কয়েক গুচ্ছ পাট। পাট হচ্ছে সোনালী আঁশ যেটা থেকে আমাদের বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। এই পাটের মাধ্যমেই প্রক্রিয়াজাত করে আমাদের পোশাক-আশাক তৈরি করা হয় যেটা পোশাক শিল্পে বেশ ভালো একটা ভূমিকা রাখে। এখন পাটের সময়ই ও চলে এসেছে তাই রাস্তার আশেপাশে অনেকগুলো পাট এর গুচ্ছ চোখে পড়ল।
এটি একটি পুরনো ছবি দেখলাম যে অ্যালবামে পড়ে রয়েছে। তাই ভাবলাম যে ছবিটা অনেক স্মৃতি বহন করছে আপনাদের মাঝে এটা শেয়ার করি। অনেক আগে যখন বাড়িতে এসেছিলাম তখন প্রথম এই ছবিটা উঠিয়েছিলাম। এই প্রাকৃতিক দৃশ্যটা দেখে আমার খুব ভালো লাগছিল সেদিন জানিনা কেমন লেগেছে আপনাদের কাছে আপনাদের মতামত চাইলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
এটি দেখতে পাচ্ছেন হাট বোয়ালি এলাকার গাং, এই জায়গাটিতে আমি এবং আমার ফ্রেন্ড মারুক দুজনে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন হঠাৎ করেই এই জায়গাটির দৃশ্যটি আমার চোখে পড়ে গেল। আমার কাছে কেন জানি না খুব ভালো লাগলো দৃশ্যটি তাই একটু থেমে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। একদিক থেকে যেমন পানি অতিবাহিত হচ্ছিল অন্য দিক থেকে অনেক সুন্দর হাওয়া গায়ে লাগছিল যেটা দারুন একটা মুহূর্ত ছিল।
এই যে দেখতে পাচ্ছেন পাট জাগিয়ে রাখা হয়েছে। এখন কিছুদিনের মধ্যেই এই পাটগুলো থেকে আস বের করে নেয়া হবে এবং পরবর্তীতে এগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে শুকিয়ে এর ভর কেজি হিসাব করে বিক্রি করা হবে। আর যখন সোনালী আঁশ থেকে সারানো হয় তখন একটা চেনা গন্ধ আসে যেটা আমার কাছে বেশ ভালই লাগে।
রাস্তার পাশে নীল আকাশ এই দৃশ্যটি আমার কাছে খুব ভালো লাগছিল যেদিন বৃষ্টি হয়েছিল। বাড়িতে আসার পর থেকে কি জানি শুধু বৃষ্টি হতেই আছে একবার বৃষ্টিতে ভেবেছিলাম তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেও আকাশটা পরিষ্কার হয়ে গেল এবং রোদ উঠে গেল । তখন আবহাওয়াটা বেশ আজব লাগলো আমার কাছে তাই আকাশের ছবিটা উঠেছিলাম।তখন। যাই হোক ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষণ পাশে থেকে ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | জুগিরগোফা, গাংনী, মেহেরপুর |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
গ্রামের সৌন্দর্য মানুষকে বেশি মুগ্ধ করে। আজকে আপনি দেখতেছি গ্রাম অঞ্চলের চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো যতই দেখি ততই ভালো লাগে। গ্রাম অঞ্চলের চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফটোগ্রাফারের টেলেন্ট আছে। খুবই সুন্দর ছবি তোলা হয়েছে।
আপনি খুব বেশি কিছু মিস করেন নি ভাইয়া। কারণ বেশ কিছুদিন এমনি কমিউনিটি রেস্টিকটেড করা ছিল। আমরাও কমিউনিটি থেকে দূরে ছিলাম। যাইহোক আজকে কিন্তু খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনেকদিন পর এরকম কাঁচা পাট দেখলাম। খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলোর সত্যিই অসাধারণ। মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির সৌন্দর্য খুব ভালো লাগে দেখতে। আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম। কয়েক গুচ্ছ পাট এবং ধানক্ষেতের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি দারুন ভাবে গ্রামীণ সৌন্দর্য আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আমার কাছে গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে খুবই ভালো লাগে। আপনি দারুণ ভাবে প্রতি টা ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে ।মনে হয় যেন সেই ছেলেবেলায় ফিরে যাই ।তবে নিজের গ্রাম ছেড়ে যারা শহরে যায় তাদের গ্রামে গেলে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে ।আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটি হয়েছে। তবে আপনি সমস্যার কারণে অনেকদিন আমাদের থেকে দূরে ছিলেন আবার ফিরে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। যদিও বেশ কিছুদিন যাবত আমরাও নিয়মিত কাজ করতে পারছিলাম না। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামবাংলা আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আমার কাছে স্পেশাল ভাবে গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি তো অসাধারণ লাগে। অনেকদিন পর পাটগাছ দেখলাম, যেটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। তাছাড়া গাংগের যে ফটোগ্রাফিটা শেয়ার করেছেন, ওটাও কিন্তু দুর্দান্ত ছিল। সব মিলিয়ে খুব পারফেক্ট একটা গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি পোস্ট হয়েছে ভাই।
গ্রামীণ দৃশ্য গুলো দেখলে আসলে মন থেকে একটা তৃপ্তি লাভ করা যায়। সবুজ প্রকৃতি নীল আকাশে খুবই ভালো লাগে। খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।