ক্রেটিভ রাইটিং:- আচমকা দমকা হাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আজ - শুক্রবার

১০ আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জুলাই ‌০৫, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন
grain-4858574_1280.jpg

source

এই যে দুই একদিন হলো আমাদের এদিকে আবহাওয়াটা নরম হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখা যায় আকাশে মেঘলা ভাব আবার আগে থেকে কোন বার্তা না দিয়ে চলে আসে ধুপ করে ঝড়। আসলে এখন যেহেতু গ্রীষ্মকাল তাই এই বিষয়টা স্বাভাবিক। ‌‌ বাড়িতে এসেছি এইতো ৪ থেকে ৫ দিন হল এসে দেখি বাড়ির অবস্থা বেশ খারাপ বিশেষ করে ইলেকট্রনিকের যে জিনিসগুলো রয়েছে অধিকাংশ জিনিসই নষ্ট হয়ে গেছে । আর সেই সাথে ইউপিএস চার্জার লাইট সহ বাড়ির কয়েকটা বাতির অবস্থাও খারাপ তাই ভাবলাম আজকে সারাদিন বাড়িতে সময় দিব এবং সব লাইনগুলো কেটে নতুন করে আবার মেরামত করব তাহলে জিনিসটা যেমন পরিষ্কার হবে সেই সাথে বাসার মানুষগুলো ভালো একটা সার্ভিস পাবে। আসলে সত্যি বলতে বাসার মানুষগুলো কারেন্ট এর বিষয়ে অনেক বেশি সতর্ক এবং কারেন্ট দেখে সবাই অনেক ভয় পায় তাই এই জিনিসগুলো কেউ নাড়তে চায় না আর আমাদের আশপাশে তেমন কেউ একটা নেই যে এই ধরনের সমস্যা হলে সেটা সমাধান করে দিবে।

child-2887483_1280 (1).jpg

source

যদিও সুমন ভাইয়া এই ধরনের কাজগুলো অনেক ভালো করে পারে তবে উনার আম্মুর অসুস্থতার কারণে উনি অনেক ঝামেলার ভিতরে আছে তাই ওনাকে আর বাড়ির লোক জানায় নি, তো আমি বাড়িতে এসেই এগুলো দেখে আমার অনেক খারাপ লাগছিল আর সামনে যেহেতু কিছু বিশেষ দিন আসছে ওই জন্য এগুলো মেরামত করে ফেললাম এবার এবার দেখলাম আমার কয়েকটি ইলেকট্রনিক্স জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে তাই ভাবলাম যে সন্ধ্যা বেলায় গিয়ে এগুলো মেরামত করে আনব। ‌ যেমন কথা তেমন কাজ সন্ধ্যা বেলায় বাইকটা নিয়ে বের হয়ে কয়েক কিলোমিটার না যেতেই হুট করে আকাশে মেঘ জমে বাতাস শুরু হতে শুরু করল। ‌ আমি যেহেতু মাঝ পথে ছিলাম তাই আর বাড়িতে না ফিরে সোজা ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাছে যেতে শুরু করলাম । তখন এমন জোরে একটা দমকা হাওয়া এসে বাইকে বাড়ি লাগলো মনে হচ্ছিল ওখানেই ধাপ করে পড়ে যাব।

sunflowers-1853323_1280.jpg

source

যাই হোক আপনাদের দোয়ার কারণে হয়তোবা এই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছি। এখন বাইক চালাতে গিয়ে নিজের কাছে একটু ভয় , ভয় লাগছে কারণ যদি আমি ওইখানে পড়ে যেতাম তাহলে হাত পা তো ছুলে যেত সেই সাথে একটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে গিয়েছিল। ‌ যাইহোক অবশেষে দুইটা লাইট ইলেকট্রিশিয়ান এর কাছ থেকে মেরামত করে আনলাম মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে উনি এগুলো মেরামত করে দিলেন । কিন্তু দিনের পর দিন এগুলো পড়ে আছে আর আমার বাড়ির লোক অন্ধকার এমন জীবন যাপন করতেছে হাহাহা, কথাগুলো ভাবলে যেমনি হাসি পায় তেমনি আবার খারাপ ও লাগে আমার তো ইচ্ছে করে আমার আব্বুকে ইলেকট্রনিকের কাজ একটু শিখিয়ে দিতে কিন্তু ওনারা কারেন্ট দেখে যে এত ভয় পায় কি আর বলবো। আজকে যদিও আমি একটা শর্ট খেয়েছি কারেন্টে তবে আমি কারেন্টের কাজ কোনদিন ছাড়বো না কারণ এগুলো করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কারেন্টের শর্ট খাওয়া নিয়ে একটা গল্প হয়তোবা আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করেছি।

wind-power-1357419_1280.jpg

source

যেখানে আমি বলেছিলাম যে আজ পর্যন্ত হয়তো আমি দুই থেকে তিনশ বারের বেশি কারেন্টের শর্ট খেয়েছি কারণ ছোটবেলা থেকেই এই ইলেকট্রনিকের বিষয়ের প্রতি আমার আগ্রহটা অনেক বেশি ছিল যার কারণে আমি ইলেকট্রনিকের যে কোন জিনিস পেলেই ভেঙ্গে দেখতাম যে তার ভিতরে কি রয়েছে। সেই স্বভাবটা আজ পর্যন্ত আমার মধ্যে রয়ে গেছে। যাইহোক অনেক জিনিস মেরামত করতাম এবং অনেক জিনিস নষ্ট করে ফেলতাম কিন্তু এখন যেগুলো মেরামত করতে পারি শুধুমাত্র সেগুলোতে হাত দেই যেমন কারেন্টের বোর্ড ঠিক করা অথবা মেন্স সুইচ এর কোন সমস্যা ছাড়াও মিটারে বেসিক কিছু সমস্যার সমাধান করতে পারি । মোটামুটি বলা যায় ছোট খাটো একটা টেকনিশিয়ান। আসলে আমি এটি করি কারণ এই ধরনের কাজগুলো করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে আর যখন আশেপাশের মানুষের কোন ইলেকট্রনিক বিষয়ে সমস্যা হয় যেমন কারো বাড়িতে ফ্যান লাগানো বা কারেন্ট লাগানো বা ফ্রিজ লাগানো এমন কিছু হলে সবার আগে আমার নামটাই সবার মুখে ভেসে ওঠে।

আর এই বিষয়টা আমি অনেক বেশি উপভোগ করি যে আমার জন্য যদি কারোর উপকার হয় তাহলে নিজের কাছে অনেক প্রশান্তি পাওয়া যায়। যাহোক বন্ধুরা আপনাদের যদি কোন কারো এমন অভিজ্ঞতা থেকে থাকে সেই ক্ষেত্রে কমেন্টে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

ব্লগার@emonv
ডিভাইসInfinix note 11 pro
শ্রেণী ‌ক্রিয়েটিভ রাইটিং

🔚 সমাপ্তি

Screenshot_20240511-225100.jpg

আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 29 days ago 

কারেন্ট কে আপনার বাড়ির মানুষ ভয় পায় এটা খারাপ নয়।আপনি কারেন্টের সব কাজে পারদর্শী জেনে ভালো লাগলো।এতো বার কারেন্ট শক খেয়েও কারেন্ট কে ভয় না পাওয়াটা খুব সাহসিকতার পরিচয়। আসলে গ্রামের কারো উপকরণ করতে পারলে খুব ভালো লাগে আপনিও গ্রামের মানুষের বিদুৎ বিষয়ে অনেক খুঁটিনাটি কাজ করেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.14
TRX 0.12
JST 0.024
BTC 51981.11
ETH 2334.35
USDT 1.00
SBD 1.97