লাইফ স্টাইল পোস্টঃ বিরিয়ানি পার্টি
আজ - শুক্রবার
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আমার হোস্টেল লাইফে সুন্দর একটি মুহূর্তের কিছু স্মৃতি আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেব । আশা করি আপনারা আজকের এই পোস্টটি বেশ ভালোভাবে উপভোগ করবেন তবে চলুন শুরু করি। হোস্টেল মানেই আড্ডা দেওয়া, বড় ভাইদের আদর শাসন এবং নিজেকে নতুন করে জানা। এর পূর্বে আমার হোস্টেল লাইফে থাকা তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছিল না তবে এখন যেহেতু হোস্টেল লাইফে চলে এসেছি তাই এর আসল মজাটা অনেক ভালোভাবে উপভোগ করছি । আর আমার মনে হয় এই সময়টা হচ্ছে আমার জীবনের গোল্ডের একটা সময় তাই আমি এটা কখনোই উপভোগ না করে থাকতে পারিনা। আচ্ছা আপনাদের কারোর কি হোস্টেল লাইফে থাকার কোন অভিজ্ঞতা রয়েছে? যদি থেকে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত পেয়ে সত্যি আমার মনটা যেমন ভালো হয়ে যায় তেমনি কাজের প্রতি আরো বেশি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। যেটা আমার জন্য অনেক ভালো একটা বিষয়।
![]() |
---|
আচ্ছা আপনাদের কি মনে আছে আমি নুডুলস পার্টি নিয়ে একটা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম যে পোস্টে আমি আমাদের বড় ভাইদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছিলাম এবং কিভাবে এই পার্টিটি সম্পন্ন হল সেই বিষয়ে সুন্দর একটি গল্প বলেছিলাম । আপনারা অনেকেই মতামতে অনেক সুন্দর , সুন্দর কথা লিখেছেন। যেগুলো পড়ে আমার বেশ ভালই লেগেছিল সে ধারাবাহিকতাই সেদিন আমাদের একটা বড় ভাই তার নাম হচ্ছে রাকিব ভাই, উনি বললেন যে আচ্ছা আজকে তো নুডুলস পার্টি হল চলো একদিন বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়া যাক। কথাটা শুনেই আমি বললাম বাহ! বেশ ভালো একটা সিদ্ধান্ত ভাইয়া আমি বিরিয়ানি খেতে অনেক পছন্দ করি । তো উনি বলল যে আজকে যেহেতু নুডুলস পার্টি হয়েছে আর কিছুদিন পরে বিরিয়ানি রান্না করা হবে তোমরা যদি রাজি থাকো তাহলে এটা আমি দুই থেকে তিনদিন পরেই করতে চাই। আসলে রাকিব ভাই হচ্ছে আমাদের ভিতরের ক্যাপ্টেন উনি। সে সপ্তম সেমিস্টারের পড়ে তাই উনি যা বলে তাই হয়।
![]() |
---|
এখানে এসে আমি অনেক কিছু শিখেছি। কিভাবে বড় ভাইদের রেসপেক্ট করতে হয় কিভাবে বাইরে চলাফেরা করতে হয় এবং কোন, কোন মানুষের সঙ্গে মেশা উচিত এবং কোন কোন মানুষের সঙ্গে মেশা উচিত না এই বিষয়গুলো উনারা আমাদের প্রতিনিয়তই শিখিয়ে থাকেন । এখন মনে হয় যে নিজের জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে ফেলছি। এই স্মৃতিগুলো হয়তোবা একদিন থাকবে না সেদিন অনেক মিস করবো কিন্তু এখন আমার উপভোগ করার সময় তাই সুন্দর মত উপভোগ করতে চাই সবকিছু। উনার কথা মত আমরা সবাই রাজি হওয়ার পরে তিনদিন পরে অনুষ্ঠিত হলো আমাদের বিরিয়ানি পার্টি। রাকিব ভাই এবং সজল ভাই দুজনে মিলে বাজার থেকে মুরগি ক্রয় করে এনে আমাদেরকে জানালো । তারপরে আমি, সাজিদ, আশরাফুল মিজান এবং অনেকেই রয়েছে তারা একসঙ্গে গিয়ে ভাইদের হাতে হাত লাগিয়ে মুরগি পরিষ্কার করে নিলাম। আমরা যেহেতু সংখ্যায় অনেকজন ছিলাম তাই এই কাজটি করতে তেমন একটা বেশি সময় লাগেনি। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজে সম্পন্ন করে ফেলেছি।
![]() |
---|
এবার মুরগি সোলার পাশাপাশি আমরা পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি এবং যাবতীয় যে সরঞ্জাম সবগুলো একসঙ্গে হাতে হাতে পরিস্কার করে সবগুলো প্রস্তুত করে দিলাম। আসলে এই সবকিছু কাজ করার মধ্যেও অনেক আনন্দ রয়েছে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে বসে গল্প করছিলাম এবং কাজগুলো করছিলাম এর ফলে আমাদের যেমন সবার ভালো লাগা কাজ করছিল তেমনি ভাবে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটাও বেশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। যাইহোক অবশেষে আমরা সবগুলো পরিষ্কার করে যখন বড় ভাইদের কাছে দিয়ে দিলাম তারপরে সজল ভাই এবং রাকিব ভাই দুজনে কড়াইয়ের উপরে মাংস দিতে শুরু করলেন এবং তারপরে প্রথমে মাংস রান্না করে এর ভিতরে বিরিয়ানির চাল দিয়ে সুন্দর করে বিরিয়ানি রান্না করে দিলেন। বিরিয়ানি তো রান্না শেষ এবার আমরা যেই কয় লোক জন ছিলাম সবাইকে বিরানি ভাগাভাগি করে নিলাম। আসলে সত্যি বলতে কি বিরিয়ানিটা খেতে তেমন একটা সুস্বাদু হয়নি তবে আমরা একসঙ্গে যে আনন্দ করলাম এটাই আমার কাছে অনেক বড় একটা বিষয় ছিল।
![]() |
---|
বন্ধু বান্ধব মিলে যখন কোন পিকনিক করা হয় তখন আসলেই অনেক ভালো লাগে। আপনাদের যদি এমন পিকনিক করার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে আমাদের মধ্য উপস্থাপন করতে পারেন এবং কমেন্টে জানাতে পারেন তাহলে আমি অনেক খুশি হব। ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন পাশে থেকে ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | লাইফস্টাইল |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![]()
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ধন্যবাদ আপনাকে ❤️
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো যে আপনি হোস্টেল লাইফের প্রতিটি মুহূর্তকে খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করছেন। বিরিয়ানি পার্টির বর্ণনা পড়ে অনুভব করলাম যে আপনারা সত্যিই একটি আনন্দময় সময় কাটিয়েছেন। আপনার লেখায় আপনার জীবনের এই সোনালি সময়গুলোর প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট। আপনার এই সৃজনশীল উপস্থাপনা ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগির জন্য ধন্যবাদ।
তা বলতে পারেন হোস্টেল লাইফ আমার অনেক ভালো লাগে এখন, এমন সোনালী সময় আমি হারাতে চাই না।
আমি কখনোই হোস্টেলে থাকি নি তাই হোস্টেল লাইফের কোনো অভিজ্ঞতাই আমার নাই। তবে আপনাদের কাছ থেকে হোস্টেলে থাকার মজা গুলো জানতে পেরে বেশ ভালো লাগে। কিছুদিন আগে লুডুস পিকনিক করেছিলেন তার কয়েকদিন পরে আবার রাকিব ভাইয়ের আইডিয়াতে এই বিরিয়ানি পার্টি করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। তবে বিরানিটা খেতে খুব বেশি ভালো হয়েছিল না জেনে খারাপ লাগলো। তবে এটা ঠিক বলেছেন খাবার খেতে না ভালো লাগলেও বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে মজা করার অনুভূতিটাই অন্যরকম। যাইহোক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে হোস্টেল লাইফ অনেক মজা হয়ে থাকে বন্ধু, একদিন থেকে দেখো মজা পাবা অনেক আর এটা ঠিক যে মজা করাটাই আসল বিষয় বন্ধুরা মিলে একসাথে থাকাটাই সবচেয়ে আসল মজা ধন্যবাদ।
এরকম উদ্যোগগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে সবাই মিলে এভাবে একসাথে কোন কিছু খাওয়া দাওয়ার পার্টি করলে ভালোই হয়। সবাই যেমন ভালো সময় অতিবাহিত করা যায়, তেমনি ভালোভাবে আনন্দ সহকারে খাওয়া-দাওয়া করা যায় তখন। আপনাদের বিরিয়ানি পার্টি ব্যাপারটা আমার কিন্তু বেশ ভালোই লেগেছে। এতগুলো প্লেটে পরিবেশন করেছেন, আমার জন্য একটা পাঠিয়ে দেন। নিশ্চয়ই সবাই মিলে মজা করে এই বিরিয়ানি গুলো খেয়েছিলেন। অনুভূতিটা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আসলে অনেকগুলো ছেলে ছিল তো ওই জন্য সবাইকে পরিবেশন করতে অনেকগুলো প্লেট লেগে গিয়েছিল যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মধ্যে এরকম পার্টিতে অংশগ্রহণ করার জন্য আমাকেও দাওয়াত দিতে পারেন আপনি। তাহলে আমিও আপনাদের সাথে অংশগ্রহণ করতাম। সবাই মিলে এত সুন্দর একটা পার্টির আয়োজন করেছেন দেখে তো খুব ভালো লেগেছে। তাও আবার বিরিয়ানির পার্টি ছিল এটা ভেবে তো আরো ভালো লাগতেছে। আপনাদের তৈরি করা বিরিয়ানি দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল। এর আগে দেখেছিলাম নুডুলস পার্টি। আর আজকে বিরিয়ানি পার্টি দেখে তো আপনাদের সাথে থাকার ইচ্ছে জেগেছে। কোন দিন খাবারের লোভে আপনাদের সাথে থাকার জন্য চলে যাই বলা যায় না 😜🤤।
ঈদে দাওয়াত রইলো ভাই.... সেই সাথে আমার বিয়ের অগ্রিম দাওয়াত জানিনা কবে বিয়ে করবো তবে ইচ্ছা আছে আপনাকে নিয়ে আসবো অবশ্যই।
হোস্টেল লাইফে নতুন নতুন অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ হয়। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা নতুন কিছু শিখি। সবাই মিলে বিরিয়ানি পার্টি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মুহূর্তটা অনেক উপভোগ করছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া।
থ্যাংক ইউ আপু, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটা পড়ে মতামত করার জন্য।
বিরিয়ানি খেতে সুস্বাদু হোক কিংবা না হোক, আপনারা যে সবাই মিলে আনন্দ করেছেন, এটাই হচ্ছে সবথেকে বড় কথা। আর একটা জায়গায় থাকতে গেলে সিনিয়র জুনিয়র এগুলো অবশ্যই মেইনটেইন করতে হয়। তবে আপনার ভাগ্য ভালো যে, আপনি যে বড় ভাইদের সাথে থাকেন তারা খুবই ভালো। অনেক ভালো লাগলো ভাই, আপনাদের বিরিয়ানি পার্টির গল্প শুনে।
তা ঠিক বলেছেন সবাই মিলে আনন্দ করাটাই মূল কথা। আসলে বড় ভাইদের সঙ্গে এমন আনন্দ করতে খুব ভালো লাগে।
বড় ভাইদের সঙ্গে এরকম আনন্দ আমিও অনেক করেছি ভাই, এমন আনন্দ করতে সত্যিই খুব ভালো লাগে।