লাইফ স্টাইল পোস্ট || ফোনের স্কিন প্রটেক্টর এবং ব্যাক পার্ট পরিবর্তন করার মুহূর্ত ||
![]() |
---|
আজ - শুক্রবার
আমি আসলে নিজের যে জিনিসটা রয়েছে এই জিনিসটাকে নিয়েই খুশিতে থাকতে অনেক বেশি ভালোবাসি । বেশি আশা না করলে মানসিকভাবে অনেক বেশি প্রশান্তি মিলে যেটার প্রমাণ আমি ধাপে, ধাপেই পেয়ে যাই । ওই জন্য আমি শুধুমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তার উপরে আশা করে থাকি। তবে আমাদের যে জিনিসগুলো রয়েছে এগুলো কে অবশ্যই সুন্দর করে যত্নশীল ভাবে রাখা উচিত তাহলে এগুলো যেমন ঠিকই হবে তেমনি ভাবে এগুলো ব্যবহার করেও বেশ আনন্দ পাওয়া যাবে। বাড়িতে এসে আম্মুর হাতের মজার খাবার খাচ্ছি ঠিক সেই সময় আমার ছোট বোন ইমা ফোন করে বলল যে ভাই তুই এবার এসেছিস আমিও যাব তাহলে ( আসলেও শ্বশুর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আসার কথা বলছে)। আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে রেডি হও আমি খাওয়া-দাওয়া করে বাইকটা নিয়ে তোমাকে নিতে আসছি। ও আমার কথা মতো রেডি হয়ে গেল এবং আধা ঘন্টা পরে আমি ফ্রেস হয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে চলে গেলাম ওকে নিয়ে আনতে । নিয়ে এসে দুজনে মিলে গল্প করলাম তারপরে যখন আমার চোখটা ওর ফোনের দিকে পরলো তখন দেখি ফোনের প্রটেক্টর ফেটে একদম চৌচির হয়ে গেছে। আর ব্যাকপার্টের অবস্থাও বেশ খারাপ।
![]() |
---|
আমি বললাম বাবু এটা পরিবর্তন করিস নি কেন এটার অবস্থা তো খুবই খারাপ। তখন ও বলল আমি মেয়ে মানুষ পরিবর্তন করতে হলে গাংনীতে আবার যাওয়া লাগবে তাই তার পরিবর্তন করা হয়নি । আর তোর ভাই অনেক কাজে ব্যস্ত থাকে ওই জন্য ওকে বলেও কোন লাভ হয় না। তারপর আমি কথাগুলো শুনে কয়েক ঘন্টা পরই গাংনীতে চলে গেলাম ব্যাক পট এবং গরিলা গ্লাসটা পরিবর্তন করার জন্য । আমি বললাম এগুলো যদি তোমাকে পরিবর্তন করে দেই সেই ক্ষেত্রে কাজ করার প্রতি একটা আগ্রহ সৃষ্টি হবে এবং ফোন ব্যবহার করেও অনেক প্রশান্তি পাবে। ও একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল কথা টা ঠিক বলছিস। আমাদের ভাই বোনের সম্পর্কটা বেশ মজাদার এবং সেই সাথে অনেক মধুর, ওর বাড়িতে একটা ছোট সাহেব রয়েছে যার কারণে ওর ফোনের অবস্থা সব সময় তেরোটা বেজে থাকে। আসলে এখন ছোট, ছোট ছেলে মেয়ে অল্প বয়সেই ফোন ব্যবহার করতে শিখে যায় যার কারণে নিজের কাজ না হলেও তাদের হাতে ফোন দেওয়া লাগবে এমন একটা অবস্থা হয়ে গেছে।
![]() |
---|
যাইহোক অবশেষে চলে গেলাম গাংনীতে ব্যাকপোট নিতে। ওখানে গিয়ে প্রথমে নেট ফাস্ট দোকানের পাশে একটা ভাই রয়েছে ওনার কাছে গেলাম । আসলে ওনার সাথে মোটামুটি আমার সম্পর্কটা একটু ভালো কারণ উনি সীমিত লাভে জিনিসপাতি বিক্রয় করে থাকে। আসলে আমি এর আগেও বলেছি আমি অতিরিক্ত দাম দিয়ে জিনিসপত্র ক্রয় করতে বেশি পছন্দ করি না, হুটহাট করে কোন বিক্রেতা যদি তার মন অনুযায়ী দাম বলে দেয় তবুও আমি ন্যায্য দামটা বলি যদি সে এতে রাজি না হয় সেক্ষেত্রে আমি আর কয়েকটা দোকান দেখে ওই জিনিসটা ন্যায্য দাম দিয়েই কিনে আনি । তবে এই ভাইয়ের ক্ষেত্রে জিনিসটা একটু ব্যতিক্রম, ইনি সবসময় সীমিত লাভ করেই জিনিস বিক্রি করার চেষ্টা করে। তো প্রথমে গিয়ে বললাম যে ব্যাক পার্ট এবং গরিলা গ্লাসটা পরিবর্তন করে দিন। উনি কিছুক্ষণের মধ্যেও সবকিছু পরিষ্কার করে এবং গরীরা গ্লাসটা ও ব্যাক পার্ট পরিবর্তন করে দিলেন, তারপরে এই দুইটার জন্য ওনাকে ১৬০ টাকা দিলাম এতে মোটামুটি অনেক খুশি উনি। লোকটা দেখতে কেমন জানি না তবে অনেক সহজ সরল একজন মানুষ।
![]() |
---|
যাইহোক অবশেষে সব কেনাকাটা শেষ করে বাইকটা নিয়ে চলে আসলাম বড় বাজারে । এবার এখানে এসে আব্বুর জন্য একটা তরমুজ ক্রয় করলাম। এদিকে মোটামুটি তরমুজের দাম একটু বেশি মনে হল ৫০ টাকা কেজি। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের এলাকাতে ৩৫ টাকা কেজিতে ভ্যানে করে তরমুজ বিক্রয় আসে
কিন্তু তরমুজটা দেখেই বুঝতে পারলাম বেশ পরিপক্ক একটা তরমুজ যার কারণে আমি আর বেশি কথা বাড়ালাম না বললাম ঠিক আছে ওটাই দিয়ে দেন। মোটামুটি দেড় কেজি হল কিছু কম রাখল দেড়শ টাকা দিয়ে পরবর্তীতে এই তরমুজটা ক্রয় করে নিলাম। আমি একটু দ্রুত বাড়ি ফিরেয়ার চেষ্টা করছিলাম কারণ আপনারা দৃশ্যগুলো দেখেই হয়তো বা বুঝতে পারছেন ওখানে যে কি পরিমান রোদ ছিল !!! যাই হোক তাই একটু তাড়াহুড়া করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। বাড়িতে ফিরে এসে যখন ইমাকে মোবাইলটা দেখালাম তখন ওর মুচকি হাসিটা দেখেই ফোনটা যেন জুড়িয়ে গেল। ব্যাক পার্ট টা ওর খুব নাকি পছন্দ হয়েছে। যাই হোক এই ছিল আজকের অনুভূতি। আবারো নতুন কোন পোস্ট আপনাদের মাঝে হাজির হবো ইনশাল্লাহ তক্ষণ সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | 👨💼@emonv |
---|---|
ডিভাইস | 📱 Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![]()
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বোন মনে হয় আপনাকে অনেক পছন্দ করে। তাই আপনি এসেছেন শুনে সেও আসতে চেয়েছে। ফোনের স্কিন প্রটেক্টর এবং ব্যাক পার্ট পরিবর্তন করেছেন আর সেই মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তা ঠিক বলেছেন, আমার বোন আমাই অনেক পছন্দ করে।
ভাই আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমার ওয়াইফ এর ফোনে মূল স্কিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে আশা করছি অল্প দিনে যাব সারাতে।ফোনের স্কিন প্রটেক্টর এবং ব্যাক পার্ট পরিবর্তন করার মুহূর্ত । মুহূর্তটা অনেক ভাল ছিল ধন্যবাদ।
থ্যাংক ইউ ভাই, শহরে যেতে এমনিতেই ভালো লাগে আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আমার ফোনের স্কিন প্রটেক্টর এবং ব্যাক পার্ট পরিবর্তন করার মুহূর্ত আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম ভাইয়া ।আসলে ব্যাক পার্ট এবং স্কিন পরিবর্তন করার কারণে ফোনটা অনেক নতুন নতুন মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু, এবার থেকে ভালো করে কাজ করেন। আশা করি আর কোন সমস্যা হবে না।
প্রিয় মোবাইলটার cover backpot পরিবর্তন করার জন্য গাংনীতে উপস্থিত হয়েছেন। পাশাপাশি নেট ফাস্টের পাশের এক দোকান থেকে আপনি পরিবর্তন করেছেন দেখে বুঝতে পারলাম কতটা প্রিয় আপনার মোবাইল। যাইহোক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই দারুণ মুহূর্ত দেখে।
থ্যাংক ইউ আপু, মোবাইলটা আসলেই প্রিয় আমার বোনের।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বাড়িতে কোন ছোট বাচ্চা থাকলে ফোনে আর একদম বারোটা বেজে যায়। আপনার বোনের ছেলে ফোনটির এই হাল করেছে। মাঝে মাঝে আমার মেয়েও ফোনের বারোটা বাজিয়ে দেয়। যাই হোক আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ছোট বোনের ফোনের গরিলা ও ব্যাকপার্ট ঠিক করার দারুন কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তা ঠিক বলেছেন আপু, আপনাকেও ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানাই।
এখনকার সময়ে ফোনের স্কিন প্রটেক্টর এবং ব্যাক পার্ট অত্যন্ত জরুরী। বাড়িতে যদি ছোট ছোট বাচ্চারা থাকে এবং তারা যদি মোবাইল ব্যবহার করে, তাহলে যে ফোনের কি অবস্থা হয়, সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। যাই হোক , আপনার ফোনের স্ক্রিন প্রটেক্টর পাল্টানো, তরমুজ কেনা, এই সব কিছু আপনার ব্লগের মাধ্যমে পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই।