ক্রিয়েটিভ রাইটিংঃ- বিষাক্ত সাপের কামড়
আজ - বৃহস্পতিবার
 |
|---|
আপনাদের মধ্যেও কেউ সাপের কামড় আজ পর্যন্ত খেয়েছেন কিনা এই বিষয়ে আমি ঠিক জানিনা তবে আমার জীবনে সাপের কামড় খাওয়ার সৌভাগ্য একবার হয়েছে, হাহাহা!! যাই হোক চলুন তাহলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি সেই সাপের কামড় খাওয়ার গল্পটা আশা করি আপনারা সবাই গল্পটি উপভোগ করবেন। আমরা সবাই জানি যে সাপ হচ্ছে একটা বিষধর প্রাণী তবে কিছু, কিছু সাপ রয়েছে যারা বিষহীন তবে সাপে কামড়ালে আমাদের অবশ্যই সে জায়গাটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে তা না হলে এখান থেকে ইনফেকশন হতে পারে। আর যদি বিষাক্ত সাপে কামড়ায় সে ক্ষেত্রে তো আর কোন কথাই নাই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না নিলে একেবারে উপরে চলে যাওয়ার সার্টিফিকেট হাতে চলে আসতে পারে। আমার সাপের খামোর খাওয়ার পিছনে ইস্টিমিটের একটু কানেকশন রয়েছে। কারণ আমার একটু আনাচে-কানাচে আর ঝড় জঙ্গলে ফটোগ্রাফি করার অনেক শখ 🤭 তাই যদি সুযোগ মিলে তখনই আমি ফোনটা বের করে এইভাবে ফটোগ্রাফি করতে থাকি।
 |
|---|
সেদিন ও সকাল বেলা থেকে শুরু করে ইচ্ছা ছিল যে বিকাল বেলা পর্যন্ত শুধু ফটোগ্রাফি করব। কেন জানিনা ফটোগ্রাফি করতে গেলে আমার মনের ভিতর একটা অন্যরকম আকাঙ্ক্ষা কাজ করে যেমন মনটা যেমন শান্ত হয়ে যায় আবার ফটোগ্রাফি করে আপনাদের মাঝে যখন এগুলো শেয়ার করি এবং আপনার মূল্যবান মতামত গুলো যখন একবার করে চোখ বুলিয়ে দেখি তখন মনে হয় যে আমার ফটোগ্রাফি গুলো এবার সত্যি সার্থক হয়েছে। তো সেদিনও সকাল নয় টার দিকে ফটোগ্রাফি করার উদ্দেশ্যে বের হলাম এবার ফটোগ্রাফি করতে, করতে বিভিন্ন জায়গার ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এবার পানির ভিতরে কচুরিপানা ফটোগ্রাফি এবং আনাচে-কানাচে অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি করলাম। এবার কয়েক ঘণ্টা ফটোগ্রাফি করা শেষে ভাবলাম এবার একটু থামার দরকার কারণ সেদিন ছিল অনেক রোদ পারছিল, প্রচুর রোদে ঘেমে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল তাই ভাবলাম যে একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপরে আবার ফটোগ্রাফি শুরু করব
 |
|---|
এভাবে কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পরে মাথার ভিতর একটা খেয়াল আসছিল সেটা হচ্ছে যে কিভাবে আর ও নতুন , নতুন ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যায়। আর একটা জিনিস আমি বুঝি না আমি ঘন্টার পর ঘন্টা ফটোগ্রাফি করলেও আমার ফটোগ্রাফি গুলো তেমন একটা বেশি হয় ন। সেদিনও ঠিক একই রকম ঘটনা আমার সাথে ঘটেছিল আমি দেখছি যে প্রায় দুই ঘন্টা ফটোগ্রাফি করলাম তবুও ফটোগ্রাফি হয়তো ২০ থেকে ৩০ টা এর বেশি আর হয় নাই। তো তারপরে আমি ভাবলাম যে ফটোগ্রাফি গুলো এক দিক থেকে গুনতে শুরু করি কয়টা ফটোগ্রাফি হল। যেমন কথা তেমন কাজ একটি কলা গাছের নিচে বসে আমি ফটোগ্রাফি গুলো গুনছিলাম যে আজকে কয়টা ফটোগ্রাফি হলো দেখি, সে সময় একটা কালাই বোরা সাপ এসে ঠাস করে আমার হাতে কামড় বসিয়ে দিয়েছে। আমি প্রথমত এই বিষয়টা লক্ষ্য করিনি এবং হয়তোবা সাপটা বাচ্চা ছিল আমি ওটাকে দেখিওনি আমি বসেছিলাম এবং হাত মিলিয়ে বসে ছিলাম এজন্য হয়তোবা তার গর্তের ভিতর থেকে আমার কামরটা দিয়েছিল।
এদিকে আমার সাপে কামড় দিয়েছে কিন্তু আমি আমার মনের আনন্দে ফটোগ্রাফি করে যাচ্ছি..। তো এভাবে ফটোগ্রাফি করতে করতে লক্ষ্য করলাম যে আমার বাম হাতটা অবশ হয়ে যাচ্ছে হয়তো বা কোন বিষাক্ত কিছু আমার হাতে কামড় দিয়েছে এভাবে যখন বুঝতে শুরু করলাম তখন এক নিমিষেই বাড়িতে চলে গেলাম এবং আম্মুকে গিয়ে বললাম যে আম্মু হাতে যেন কিসে কামড় দিয়েছে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। তখন আমার আব্বু বলে উঠলো হয়তোবা সাপ পিপরা বা অন্য কোনকিছুতে কামড় দিয়েছে কিন্তু অন্যদিকে আমার আম্মুর শর্ট হয়ে গেছে এবং আব্বুকে বলছে যে একটু ভালো করে দেখো ছেলেটাকে আবার সাপে কামড়ালো নাকি। আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম না যে আমাকে সাপে কামড়েছে কারণ আমি তো সাপটাকে ঠিক করে দেখতে পারি নাই । কিন্তু চেক করার জন্য আমাকে কয়টা কাঁচামরিচ এনে আম্মু বলল যে খেতে তখন আমি সত্যি বলতে দুই থেকে তিনটা কাঁচামরিচ খেয়ে নিলাম কিন্তু তুলনামূলক তেমন একটা ঝাল লাগছে না। শুনেছি সাপে কামড় দিলে নাকি কাঁচা মরিচ খেলে ঝাল লাগে না এটা সত্যি, সেদিন আমি বুঝেছিলাম
তারপরে সবার মনে একটা সন্দেহ ঢুকে গেল হয়তো আমাকে সাপে কামড় দিতে পারে এবং এই বিষয়টা তখন নিশ্চিত হলো যখন আমি বসে ছিলাম এবং বাম হাতে দুইটা দাঁতের ছাপ দেখল। আমার ছোট আম্মু দেখেই বলল যে হয়তো বা সাপে কামড়েছে এই যে দুইটা দাঁতের ছাপ দেখা যাচ্ছে। তখন আব্বু আব্বুর গাড়িতে করে আমাকে ওঝার বাড়িতে নিয়ে গেলেন এবং সেখানে গিয়ে অনেকক্ষণ ঝাড় ফুক দেওয়ার পরে মোটামুটি সব কিছু নিয়ন্ত্রণ এ চলে আসলো। এবং অবশেষে বাড়িতে এসে যাক আলহামদুলিল্লাহ বেঁচে গিয়েছি এবং উনি বলল যে এই যে সাপটি আমাকে কামড় দিয়েছিল জটিল নাম কালাই বোড়া সাপ। এই সাপটি দেখতে একটু ছোট হয়ে থাকে এবং একদম গা কালচে হয়ে থাকে। যাইহোক এ ধরনের সাপ কামড় দিলে জীবনে ঝুঁকি থেকে যায় তাই আপনারা অবশ্যই সাবধানে চলাফেরা করবেন এবং সাপের থেকে একটু দূরে অবস্থান করবেন বলা যায় না কখন কামড় দিয়ে দেয়। ধন্যবাদ সবাইকে তখন পাশে থেকে আমার ছোট্টই ব্লগকে উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টৈ।
| ব্লগার | @emonv |
|---|---|
| ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
| শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ঐদিন আমি সাথে ছিলাম না। স্কুলে গেছিলাম না কোথায় গেছিলাম মনে নেই তবে দিনটা আনন্দের মুহূর্তে হঠাৎ এমন হয়ে গেছিল শুনে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। তবে যাই হোক আল্লাহ কিন্তু আমাকে আজ পর্যন্ত এই বিষয় থেকে হেফাজতে রেখেছে। দিন রাত কত বন জঙ্গলের মধ্যে চলাচল করেছি একমাত্র আল্লাহ সহায়তা রয়েছে বলে আজ পর্যন্ত আমি এই বিষধর সাপের থেকে মুক্ত রয়েছি।
আপনার বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি ভাইয়া। ফটোগ্রাফি করতে করতে এবং ফটোগ্রাফি কয়টি হয়েছে তা চেক করার সময় কামড় বসিয়ে দিয়েছে আপনি খেয়ালে করেননি। আসলে সাপটি যেহেতু আপনারা দেখতে পাননি তাই আমি বলব সবটি বিষাক্ত ছিল না কারণ ওঝ কখনো বিষ নামাতে পারেন না। আপনার রিক্স নেওয়ার ঠিক হয়নি যেতে হতো ডাক্তারের কাছে। আগেরকার দিনে ওঝা যারা সাপের বিষ নামাতে পারতেন এটা প্রমাণিত কোন একদিন তা শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে। ধন্যবাদ ভাগ করে নেয়ার জন্য।