এভাবেই ফিরে আসতে হয়।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Prime HD channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
আপনি যদি ফুটবল খেলা পছন্দ করেন তাহলে আপনাকে স্বাগতম। ক্লাব ফুটবলে আমার পছন্দের টিম রিয়াল মাদ্রিদ। তবে অন্য দলের সাপোর্ট আপনি করতেই পারেন। যদি কখনো আপনার সাপোর্ট করা দলের সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের খেলা হয় আপনি তিনটা কথা মনে রাখবেন:
১. প্রথমে মাদ্রিদের বিরুদ্ধে গোল করা যাবে না।
২. খেলা শেষ হওয়ার এক মূহূর্ত আগেও ম্যাচ জয়ের আনন্দ করা যাবে না।
৩. আর উপরের দুইটা অবশ্যই মনে রাখবেন হা হা।
স্প্যানিস সুপার কাপ এর সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ ছিল তাদের নগর টিম অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। এই দুইদলের রাইভালরি অনেক পুরাতন। সেজন্য আমি বেশ এক্সাইটেড ছিলাম। ম্যাচ টা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত একটাই। রিয়াল মাদ্রিদ যে ম্যাচটা জিতবে এইরকম পূর্ণ বিশ্বাস নিয়েই আমি ম্যাচটা দেখতে বসি। এইদিন রিয়াল পুরোপুরি তাদের পূর্ণ একাদশ পেয়েছিল। ইঞ্জুরি থেকে ফিরেছিল গোলকিপার কেপা।
মাদ্রিদ বস কার্লো ৪-৩-১-২ ফর্মেশনে মাঠে নামায় তার দলকে। অন্যদিকে সিমিয়নে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এর কোচ ৩-৫-২ ফর্মেশন সাজাই। ম্যাচ শুরু হয়। ম্যাচের একেবারে শুরুর দিকে মাএ ৬ মিনিটে হারমোসো এর গোলে এগিয়ে যায় অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। এটা আমি মোটেও আশা করিনি। কিন্তু ম্যাচ তখন শুরু মাএ। গোল টা শোধ করে সমতায় ফিরতে রিয়াল মাদ্রিদের বেশি সময় লাগেনি। ম্যাচের ২০ তম মিনিটে লুকা মদ্রিচ এর তোলা কর্ণার থেকে হেডে দারুণ একটা গোল করে রুডিগার। এই নিয়ে পর পর দুই ম্যাচে কর্ণার কিক থেকে হেডে গোল করলেন রুডিগার। ম্যাচে তখন ১-১ গোলে সমতায়। এরপর ম্যাচের ২৯ তম মিনিটে মেন্ডি গোল করলে ২-১ এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। মাদ্রিদ তখন ম্যাচে এক গোলে লিড নিয়ে রয়েছে। কিন্তু সেই লিড বেশিক্ষণ থাকেনি। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে অ্যাতলেটিকো এর হয়ে গোল করেন গ্রিজম্যান। এবং ম্যাচে তখন ২-২ গোলে সমতা চলে আসে। প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি।
বিরতি শেষে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে দুই দল। তখনই বুঝে গিয়েছিলাম আর আবার কিছু একটা ঘটবে হা হা। খেলা যথারীতি চলতে থাকে। দুই দলই আক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু এরপর ম্যাচের ৭৮ মিনিটে একটা অঘটন ঘটে যায় এবং রিয়াল মাদ্রিদ গোল খেয়ে যায়। যদিও রিয়ালের খেলোয়ার রা গোল টা বাতিল করার কথা বলছিল কিন্তু সেটা হয়নি। গোলটা কাউন্ট হয়। ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ তখন ৩-২ গোলে পিছিয়ে। কিন্তু নাম যার রিয়াল মাদ্রিদ ক্যামব্যাক তো তার রক্তে রয়েছে তাই না। এরপর বেশ কয়েকজন খেলোয়ার পরিবর্তন করে কার্লো আনচেলওি। রিয়ালের হয়ে মাঠে নামে কামাভিঙ্গা, জোসেলু, টনি ক্রুস। ম্যাচের তখন ৮৪ মিনিট। মাদ্রিদ এক গোলে পিছিয়ে। মাঠের বাম দিক থেকে বল দিয়ে ছুটছে ভিনিসিয়াস এবং শর্ট নিল কিন্তু অ্যাতলেটিকো গোলকিপার ওবলাক এর সেভ ফিরতে বলে বেলিংহাম শর্ট নিল সেটা আবার ফিরিয়ে দিল এরপর শর্ট নিল কার্ভাহাল এবং গোল।
৫ মিনিট আগে ম্যাচে সমতা নিয়ে এলো রিয়াল মাদ্রিদ। নির্ধারিত সময়ে খেলায় ফলাফল না আসায় খেলা যায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হয়। অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে ১১৬ মিনিট। তখন কার্ভাহাল এর বাড়িয়ে দেওয়া বলে হেড দিয়ে সুন্দর একটা গোল করেন জোসেলু। ম্যাচে তখন ৪-৩ গোলে এগিয়ে রিয়াল ম্যাদ্রিদ। একটা নাটক তখনও বাকি। ম্যাচের শেষ মিনিট। কর্নার কিকে গোল করার জন্য গোল ছেড়ে রিয়ালের বক্সে এসেছে অ্যাতলেটিকো গোলকিপার ওবলাক। বলটা প্রতিহত হয়। বলের দিকে দৌড়ে যায় ওবলাক কিন্তু ওবলাক কে হারিয়ে বলটা নিয়ে নেয় দিয়াজ এবং দেয় একটা শর্ট এবং গোল। তখনই শেষ হয় ম্যাচ। ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ ৫-৩ গোলে জয় লাভ করে। আগামী সোমবার ১৫ জানুয়ারি স্প্যানিস সুপার কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই গত রাতের খেলাটা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। এত বেশি পরিমাণে গোলের খেলা কারইনা ভালো লাগে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি রিয়াল মাদ্রিদের খেলা দেখলে যেন অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে।
আমি যদি শুধু এই লাইনটা মনে রাখি তাহলে কি চলবে? হা হা হা
চলবে হা হা।