অন্যরকম এক ঈদ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ঈদের পরে বেশ কয়েক দিন কেটে গেছে। ঈদের আমেজ প্রায় শেষ। সবাই বেশ ভালোভাবে ঈদটা উৎযাপন করেছেন আশাকরি। অনেকের ঈদ নিয়ে করা পোস্ট দেখেছি পড়েছি ভালো লেগেছে। ঈদটা আমার কেমন কাটলো সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করা উচিত। আমাদের ধর্মীয় উৎসব বলতে শুধু দুই ঈদ। সাধারণত এই দুই ঈদে আমাদের অনেক আনন্দ করার কথ। হ্যা সেটা অবশ্য হয়। তবে অনেক সময় পরিস্থিতি আমাদের সেটা করতে দেয় না। না আমার ঈদটা ভালো কেটেছে। তবে আমি চাইব এইরকম ঈদ আমার জীবনে আর না আসুক। ঈদের দিনের সকালে আমি কী করেছিলাম এইটা নিয়ে একটা পোস্ট আমি ঈদের দিনেই করেছিলাম আপনাদের সাথে। যাইহোক তারপর থেকে শুরু করি। আমাদের এলাকায় ঈদের জামাতের সময় ঠিক করা হয় একটু বেশিই আগে। আমাদের এখানে ঈদের নামাজের সময় ৭:৩০ এর সময়।
নামাজ শেষ করে সরাসরি বাড়িতে চলে আসলাম। তারপর আমার করার আর কিছু নেই। সকালে খাওয়ার অভ্যাস আমার বরাবরই নেই। সেই শেষ কবে সকালে খেয়েছি মনে নেই। সাধারণত দেরিতে ঘুম থেকে উঠি সেজন্য এই অবস্থা। ইচ্ছা ছিল না কিন্তু আমার মা ছাড়ল না। হালকা নাস্তা করলাম। গতরাতে মোটেই ঘুম হয়নি। সবকিছু বাদ দিয়ে রুম টা আটকে দিয়ে ফোনের মিউজিকে গিয়ে মহীনের ঘোড়াগুলি ব্রান্ড এর গান প্লে করে ঘুম দিলাম। ততক্ষণে আমার প্লে লিস্টে থাকা সবগুলো গান বেজে আবার রিপিট করছে। ঘুম ভেঙে গেল। ঘড়িতে দেখি দুপুর দুইটা বাজে। বেশ গরম লাগছিল। ঘুম থেকে উঠে গোসল করলাম আবার। যদিও সকালে করেছিলাম। গোসল শেষ করে দেখি আমার মা খাবার দিয়ে গেছে। খাবার টা শেষ করলাম। আর কোন কাজ নেই। কমিউনিটিতে গিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করলাম। বেশ কিছু পোস্ট পড়লাম বেশ কিছুটা সময় কাটলো।
সাধারণত ঈদের দিন বিকেলে সবাই ঘুরতে বের হয়। কিন্তু আমার মধ্যে ঘোরাঘুরির সেইরকম ইচ্ছা অনূভুতি কিছুই ছিল না। না থাকার অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে। ইদানিং আমি রীতিমতো একা থাকছি। একাকিত্ব টা বেশ ভালো লাগতে শুরু হয়েছে আমার। বাইরে গিয়ে ঐ লোকজনের কোলাহল অতিরিক্ত ভীড়ের মধ্যে যাওয়া ব্যাপার টা আমার মোটেই ভালো লাগেনি। কী আর করার ঘরেই বসে থাকলাম। আর এর সবচাইতে বড় কারণ আমার সঙ্গী। আমার বয়সটা এখন উপভোগ করার বয়স। কিন্তু সত্যি বলতে আমার মধ্যে সেইরকম কোন ইচ্ছা নেই। আমার বন্ধুর সংখ্যা খুবই সীমিত। না মোটামুটি কিছু আছে তবে সেগুলো নামের বন্ধু। বেস্ট ফ্রেন্ড বলতে বাহ ভালো বন্ধু বলতে যা বোঝায় তার পরিমাণ আমার নেই বললেই চলে। আমি মূলত সবার থেকে একটা দূরত্ব রেখেই চলি।
সত্যি বলতে সৃষ্টিকর্তাও যেন চাইছিল না আমি বাইরে যায়। ঐ মূহূর্তে কোথা থেকে যেন ঘুম চলে আসলো। আবার দিলাম ঘুম। টানা সাড়ে তিনঘন্টা ঘুমিয়ে যখন উঠলাম ঘড়িতে তখন বাজে প্রায় সাড়ে আটটা। ঈদটা কেটে গেল। ঈদের পরের দিনগুলো একইভাবে বাড়িতে থেকেই কেটেছে আমার। শুধু তার পরের দিন রবিবার পযর্ন্ত আমি বাড়ি থেকে বের হয়নি। এটা নিয়ে বাড়িতে একটা শোরগোল পড়েছে। মোটামুটি আমার কানে এসেছে আমার কী হয়েছে এমন প্রশ্ন। কিন্তু আমি সেটা কানে নেয়নি। আর আমার মা কখনো আমাকে এইসব প্রশ্ন করেও না। জানে হয়তো এগুলোর কোন উওর আমার কাছে নেই অথবা আমি দিতে চাই না। সেজন্য সে আর জিজ্ঞেসও করে না। আমাদের জীবনে কিছু মূহূর্ত কিছু ঘটনা কিছু স্মৃতি থাকে। সেগুলো প্রকাশ করা যায় না। শুধুমাত্র অনুধাবন করে যেতে হয়। আমি ঐরকম একটা পরিস্থিতির মোকাবেলায় করছি বলতে পারেন।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাদ্রাসার করেছেন ঈদ নিয়ে অন্যরকম একটা বিষয় । তবে সকালে আমাকে আপনার ঈদের উদযাপন বেশ ভালোই কেটেছিল মাঝে মধ্যে একজন বিকেলের টাইম একদম শুরোগোল বেধে গেল। তবে আমি মনে করে পরের কথায় কান্না যে নিজে নিজের পথে চলাই উত্তম । কারণ সমাজে অনেকেই অনেক কথা বলতে সে কথায় কান দিতে গেলে চলবে না তবে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইমন আমি তোমার পোস্টটা পড়লাম তবে আমার কাছে পুরো বিষয়টি পড়ে কিন্তু খারাপ লাগলো। কারণ এই বয়সটা আসলে ঘোরাঘুরি করার সময়। এই সময় গুলো হয়তো তুমি একটা সময়ে খুব মিস করবে। যখন পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়বে তখন নিজেকে দেয়ার মত তেমন আর সময় তোমার হাতে থাকবে না। আমি বলবো সর্বোচ্চ চেষ্টা কর এই সময়গুলোকে ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য। কিছু বন্ধু হয়তো নামের বন্ধু হবে তবুও তাদের সাথে তাল মিলিয়ে কিছুটা সময় উপভোগ করতেই পারো। আরো একটা ব্যাপার হলো যখন বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে মিশবে তখন তোমার একটা বেশ ভালো অভিজ্ঞতা হবে। যাইহোক সময়টা উপভোগ করার চেষ্টা করো।
ঘুমানোর আর দিন পেলেন না ভাই। ঈদের নামাজ পড়ে এসে ঘুম দিয়েছেন আর এভাবেই বাড়ির মধ্যে দুইটা তিনটা দিন পার করলেন। তাহলে তো বাড়ির মানুষ এমনটাই ধারণা নিবে হয়তো প্রেম করে ব্যর্থ হয়েছে ঈদের মুহূর্তে প্রেমিকা কথা বলছে না অথবা এই সেই হাবিজাবি। যাই হোক বাড়িতে সুন্দর করে বোঝান তাহলে সবাই জানবে। তবে যায় হোক অনেক কিছুই কিন্তু জানতে পারলাম আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে।
পোস্টটি পড়ে খারাপ লাগা মনের মধ্যে তৈরি হলো।আসলে আমি জানি না আপনি কি এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।তবে আমি এটা বলবো খারাপ সময় সবার সাথেই হয়।কিন্তু তখন একাকিত্ব কে সঙ্গী করলে আপনার জন্য ভালো নয়।আপনি বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন।মনের কথাগুলো মাকে নয়তো বলেন।একজন কে তো শেয়ার করতে হবে।মিশতে হবে কারো না কারো সাথে।সবার সাথে মেশার দরকার নেই।আর অনেক বন্ধু থাকার ও দরকার নেই।কিন্তু মনের কথাগুলো বলার জন্য একজন কে তো দরকার হয়।সেই কাজটি করুন।নিজেকে একাকিত্বে আটকে রাখবেন না।
আপনার ঈদটা সত্যিই অনেক সুন্দর ভাবে কেটেছে। আপনাদের ঈদগাহ ময়দান টা অনেক সুন্দন করে সাজিয়েছে। ছোটখাটোর মধ্যে ঈদগাহ ময়দানটা অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ঈদের আনন্দটা আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আমাদের সবারই ঈদের আনন্দটা কিন্তু অনেক বেশি ভালো ছিল। তবে একটু অন্যরকম হয়েছে বুঝতেই পারছি। নিজেকে একাকীত্ব ভাবে আটকে রাখা আমাদের কারোরই উচিত না। আমাদের সবার জীবনে একজন বিশ্বস্ত বন্ধু থাকা সব থেকে বেশি প্রয়োজনীয়। যার সাথে আমরা মন খুলে মনের সব কথাই শেয়ার করতে পারব। বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে মিশলে আমরা সবার সম্পর্কে জানতে পারব। অনেক বন্ধুর প্রয়োজন হয় না জীবনে বিশ্বস্ত একজন হলে হয়।
বাহ দারুন তো আপনাদের ঈদগাহ ময়দান না। একটু ছোট তবে সব দিক দিয়ে সাজানো গোছানো। মুসল্লিদের স্বাগতম জানাতে খুবই সুন্দর একটি গেইট বানিয়েছে। দেখে ভালোই লাগছে। ধন্যবাদ।