সত্যিই কী খেলাধুলা বাংলাদেশের জন্য না!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কী পোস্টের টাইটেল টা দেখে অবাক হয়েছেন। তবে আমি কিন্তু অবাক না। জেনেশুনে এইরকম একটা টাইটেল দিয়েছি। বতর্মান বিশ্বে প্রতিটা দেশের কাছে খেলাধুলা অনেক বড় একটা বিষয়। খেলাধুলার মধ্যে তো দেশের সুনাম গৌরব অনেক কিছু জড়িয়ে থাকে। আবার খেলাধুলার উপর নির্ভর করছে অনেক দেশের অর্থনীতি। কেউ ফুটবল কেউ ক্রিকেট আবার কেউ বা অ্যাথলেটিক্স এগুলো তে অনেক এগিয়ে। তাদের দেশের খেলোয়ার রা এগুলোতে ভালো পারফরম্যান্স করে জয় করে নিয়ে আসে সেরার তকমা। এতে করে শুধু তারা না তাদের দেশ টাও এগিয়ে যায় আরেক ধাপ। অলিম্পিকে তো রীতিমতো চীন এবং আমেরিকার অ্যাথলেটদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। যে কে কার থেকে বেশি অলিম্পিক পদক জিততে পারে। তাদের মধ্যে চলে নিরব একটা স্নায়ুযুদ্ধ। যেটা ঘটে যায় খেলার মাঠে। আবার ফুটবলে যেই যুদ্ধ চলে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার মধ্যে। ফুটবল কে তো ব্রাজিলের মানুষের ধর্ম বলা হয়। এবং বতর্মানে বিশ্বে ফুটবলার রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল।
ব্রাজিল প্রতিবছর ফুটবলার রপ্তানি করে আয় করছে প্রচুর পরিমাণ অর্থ। এদিকে আবার ক্রিকেটে চলে অস্ট্রেলিয়া ভারত ইংল্যান্ড এদের রাজত্ব। কেউ হয় ক্রিকেট হয় ফুটবল না হলে অন্য কিছু ভালো খেলে। কিন্তু বাংলাদেশ!! ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেলেও আইসিসির বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নেয় ২০০০ সালের আগে থেকে। এখন পযর্ন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটে খেলে ফেলেছে অনেক গুলো ওয়ানডে এবং টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। খেলেছে বেশ কয়েকটা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো অনেক দূরের কথা এগুলোর কোন টাতে এখন পযর্ন্ত বাংলাদেশ সেমিফাইনাল পযর্ন্ত খেলতে পারেনি। অথচ এই দেশের মানুষ ক্রিকেট কতটা ভালোবাসে। এশিয়া কাপের মতো আঞ্চলিক টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন রানার্সআপ। মিরপুর স্টেডিয়ামে যখন সিরিজ হয় এদেশের ক্রিকেট পাগল জনগণ ছুটে যায় মাঠে। কিন্তু এই দেশের ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটার'রা কী দিয়েছে সাধারণ ভক্ত সমর্থকদের??
এবার আসি ফুটবলে। ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ টা খেলতে পারলেও ফুটবলে সে সৌভাগ্য এখনো হয়নি। ফুটবলে বাংলাদেশ এখন পযর্ন্ত এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপও খেলতে পারেনি। ফুটবলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন। ঐ গেছে বাংলাদেশের শেষ ফুটবলের স্বর্নযুগ। অথচ এই দেশেরই একজন তরুন পেলে মারাদোনার আগে কাঁপিয়ে এসেছিলেন ইংল্যান্ড এর মাঠ। নাম তার আব্দুস সামাদ। যাকে বলা হয় বাংলাদেশের ফুটবল জাদুকর। এইতো সেদিন অস্ট্রেলিয়ার কাছে গুনে গুনে পুরো সাতটা গোল খেয়েছে বাংলাদেশ। ফুটবলে যেন ধুকছে বাংলাদেশ। র্যাংকিং ১৮৩। ফুটবল তো গেল। এবার আসি অ্যাথলেটিক এ। এটাতে যেন বাংলাদেশের অবস্থা আরও করুন। হয়তো পৃথিবীতে বাংলাদেশই একমাএ দেশ যাদের অলিম্পিকে কোনো পদক নেই। না আমি স্বর্ণের কথা বলছি না সাধারণ একটা পদকও নেই। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন এশিয়া গেমসে দুই একটা পদক সেটাও কালেভদ্রে। এদিক থেকেও অন্যদের থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে বাংলাদেশ।
এখন আমার প্রশ্ন খেলাধুলার সব ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে কেন! তাহলে সত্যিই কী খেলাধুলা বাংলাদেশের জন্য না! না খেলাধুলা আমাদের জন্যেও। কিন্তু আমাদের পদ্ধতি ভুল। আমাদের সিস্টেমটাই ভুলে ভরা। আমরা একটা ট্যালেন্ট পেলে ধরে রাখতে পারি না। আবার আমাদের দেশের ক্রীয়া মন্ত্রণালয় এগুলো নিয়ে উদাসীন। আমাদের দেশেও রয়েছে ভালো মানের ক্রিকেটার ফুটবলার অ্যাথলেট। কিন্তু তাদের কে আমরা ভালো মানের ট্রেনিং দিতে পারি না। দিতে পারি না তাদের ভবিষ্যত নিশ্চয়তা। এমনকি তাদের জন্য জোটে না একটা সামান্য স্পন্সরশীপ যাতে করে তারা তাদের অভাবগুলো পূরণ করতে পারে। কিন্তু ক্রীড়ার জন্য বরাদ্দ অর্থ আমরা ঠিকই খরচ করি অন্য জায়গাই হা হা। আবার আমরা আসল ট্যালেন্টগুলো খুজেঁ বের করতে পারি না। আসল ট্যালেন্ট গুলো আমাদের খুজে বের করতে হবে। তাদের পাওয়া যাবে সাধারণ মানুষের মাঝে যাদের বেঁচে থাকতে হয় প্রতিদিন সংগ্রাম করে। যাদের মাঝে রয়েছে প্রতিভা পরিশ্রম করার মানসিকতা। তাদের পেছনেই খরচ করতে হবে তাদের থেকে টাকা চাওয়ার আশা করলে হবে না। তবেই তারা দেশকে কিছু দিতে পারবে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
আসলেই ভাই খেলাধুলা আমাদের জন্য নয়। আমাদের মনবলের প্রচন্ড অভাব।আমরা একটু চাপও নিতে পারি না।ফলাফল প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ব্যার্থ।আর হ্যা ঠিকই বলেছেন আমাদের সিস্টেম এর মাঝেই প্রচুর গলদ।ফলে আমরা মেধার মূল্য দিতে পারছি না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটির জন্য।
খেলাধুলা নিয়ে দারূণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি ভাইয়া। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আপনার পোস্টটি অনেক ইনফমেটিভ। ক্রিকেট ছাড়া দক্ষিন এশিয়ার দেশ গুলোর অন্যান্য খেলায় তেমন আন্তর্জাতিক মানের সাফল্য নেই। আমাদের দেশে খেলাধুলার ক্ষেত্রে স্বজন তোষণ ও অপরিকল্পিত-অপেশাদারি মনোভাব দায়ী। আমাদের ট্যালেন্ট গুলো চাচা-মামা না থাকায় সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছে। তবে আমি আশাবাদী, একদিন দিন বদলাবে। শুভ কামনা আপনার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাংলাদেশের জন্য আসলে খেলাধুলা না, এদেশে খেলাধুলা নিয়ে চলে নোংরা রাজনীতি। এখানে যোগ্যতার বিচার করা হয় না, এখানে দল আর টাকা হলো সব। টাকা বরাদ্দ ঠিকই হয় কিন্তু সে জায়গা মতো পৌছায় না আর পৌছালেও অব্যাবস্থাপনার জন্য ভালো কিছু হয় না। তবে কোন একদিন হয়তো সবকিছুর পরিবর্তন হবে, সেদিন আবারো খেলাধুলায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।