ফটোগ্রাফি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি কেমন আছি সেটা হয়তো আর বলতে হবে না। বিশেষ করে পোস্ট টা যখন লিখছি এই অবস্থায় বাংলাদেশের কোন সাধারণ জনগণ হয়তো ভালো নেই ভালো থাকার কথা না। একপ্রকার আমরা পুরো বিশ্ব থেকে আলাদা হয়ে রয়েছি। সারাদিন এইভাবে সময় কাটানো সত্যি অনেক কষ্টকর। কোথাও ফোন দিলে ফোনও যাচ্ছে না নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখাচ্ছে। কয়েকবার চেষ্টা করার পর যখন ফোন যাচ্ছে তখন হয়তো অপোজিটে থাকা মানুষটা কল ধরার আগেই কেটে যাচ্ছে। যাইহোক সেরকম কিছু বলার ইচ্ছা মনমানসিকতা আর নেই। কয়েকটা ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
- শুক্রবার রাতের কথা খাওয়া শেষ করে ব্যালকনিতে গিয়ে একটু বাইরে টা দেখার চেষ্টা করছি। এমন সময় আকাশের দিকে নজর যায়। আকাশের চাঁদটা দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে যায় আমি। রাতের আকাশ চাঁদের আলোয় একেবারে পরিষ্কার লাগছে। এবং কী চমৎকার একটা মায়া বা টান যেন কাজ করছে। ঐসময় আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা শুক্রবার বিকেলে। আমি ঢাকা থেকে একটু বাইরে থাকলেও আন্দোলনের প্রভাব টা এখানেও চলে এসেছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। কোন গাড়ি রিক্সা কিছুই চলছিল না। রাস্তায় কিছু দূরত্ব পর পর এইরকম টায়ার জ্বালিয়ে রাখা ছিল। ঐরকম একটা জায়গা থেকে আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা হয়েছিল মঙ্গলবার। বাংলাদেশে ঐদিন ছিল শিক্ষার্থীদের জোরদার আন্দোলনের রাজপথে নামার প্রথমদিন। ঢাকার অন্য সকল প্রতিষ্টান এর পাশাপাশি আমার ইউনিভার্সিটি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি থেকেও একটা মিছিল বের হয়। যেখানে আনুমানিক ৪৫০-৫০০ শিক্ষার্থী ছিল। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। এই দেশের শিক্ষার্থীরা এখনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকে না এটা তার প্রমাণ।
- এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম কয়েকদিন আগে বিকেলে। সেদিন আমি ভার্সিটি তে ক্লাস শেষ করেছি সময় তখন ছয়টা। আমার ইউনিভার্সিটির কাছেই হাতিরঝিল লেক। তো হাতিরঝিল লেকের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম হেঁটে। ঐসময় গুলশান এর একটা রাস্তা থেকে এই ফটোগ্রাফি টা আমি ধারণ করেছিলাম।
- এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম আমার ইউনিভার্সিটির চতুর্থ তলা থেকে। আমার ক্লাসরুমের পাশে একটা জায়গা আছে যেটা থেকে পুরো বাইরে টা দেখা যায়। ঐদিন সকাল থেকেই প্রচণ্ড বৃষ্টি। তো ক্লাসের বিরতিতে আমি ওখানে গিয়ে দাঁড়ায় এবং বৃষ্টি টা উপভোগ করি। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। কী চমৎকার কী সুন্দর একটা দৃশ্য। এককথায় মনমুগ্ধকর।
- এখানে এসেছি প্রায় দুই মাসের বেশি। এখানে আসার পর থেকেই একটা জায়গার নাম অনেক শুনছি মদনপুর। একদিন বিকেলে ছোট একটা কাজে গিয়েছিলাম মদনপুরে। আমি যেমনটা ভেবেছিলাম মদনপুর জায়গা টা তার চেয়েও বেশি ব্যস্ত এবং লোকজন ভর্তি। ওখানে আমার কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম ঐসময় এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- এখন পযর্ন্ত যতগুলো বই পড়েছি এর মধ্যে সফর বইটা অন্যতম। তবে এই বইটা আমার অনেক পছন্দের। বইটার মধ্যে দারুণ একটা ম্যাসেজ আছে। এবং ঐজন্য বইটা আমি বেশি পছন্দের। কিছু কিছু মানুষ আমার আপনার জীবনে আসবে। আপনি তাদের নিজের সবটা দিয়ে ভালোবাসলেও তারা আপনাকে ভালোবাসবে না। আবার তারা আপনাকে একেবারে ছেড়েও যাবে না। একটা নিউট্রাল পজিশনে তারা থাকবে। কিন্তু একটা সময় গিয়ে তারা আপনাকে ঠিকই ছেড়ে চলে যাবে যখন সে তার নিজের পছন্দের মানুষ কে পেয়ে যাবে হা হা। একদিন বিকেলে ছাদে গিয়ে বইটারটার এমন একটা ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম আমি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের এদিকে ইন্টারনেট সমস্যা হয়েছে। তবে মোবাইলের কলের সমস্যা হয়নি। কল সার্ভিস ঠিকই ছিল ভাইয়া। এই পরিস্থিতিতে কেউ ভালো নেই। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম পরিস্থিতিতে সত্যি সবকিছু একেবারে অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। তবে এখন কিছুটা ঠিক আছে এটা ভালোই লাগতেছে। যদিও অনেক স্লো ভাবে চলতেছে। আজকে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম আপনার মাধ্যমে। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখতে কিন্তু খুবই চমৎকার লাগছে। আপনার university থেকেও অনেক স্টুডেন্ট মিছিলে বের হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে এভাবে যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা হয় তাহলে দিন দিন এসব কিছু আরো বেশি বেড়ে যাবে। ফটোগ্রাফি সম্পর্কে সুন্দর বর্ণনা তুলে ধরেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলছেন আপনার মনের পরিস্থিতি যেমন আমাদেরও একই অবস্থা। যেহেতু এই ঘটনা সাথে সবাই জানি তা আর ব্যাখ্যা করার কোন প্রশ্নই আসে না। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দিলেন আপনি দারুন লেগেছে সবকিছু।
সব গুলো ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর হয়েছে। আমি মঙ্গল বারে বাড়ি চলে গেছিলাম, যার ফলে মঙ্গলবারে আন্দোলনের কিছু নমুনা দেখে গেছিলাম। তবে শুক্রবারে ও বৃহস্পতিবারে জোর আন্দোলন হয়েছিল। যায়হোক ফটোগ্রাফি গুলো অনেক স্বাক্ষী বহন করছে। ধন্যবাদ।