ব্রাজিলের স্বস্তির জয়!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
স্কিনশর্ট গুলো bein sports থেকে নেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময় টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না ব্রাজিলের জন্য। কোপা আমেরিকা তেও ভালো কিছু করতে পারেনি দরিভাল জুনিয়র এর দল। সবমিলিয়ে হতাশা। আসলে ব্রাজিল ফুটবল টা এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছে তাদের খেলোয়ার রা। এখন দর্শকরা শুধু সফলতা চাই জয় চাই ট্রফি চাই। কথায় আছে সবদিন সবার সমান যায় না। খারাপ সময় ভালো সময় থাকবে এটাই নিয়ম। ব্রাজিল হচ্ছে ফুটবলের তীর্থভূমি। ব্রাজিলের সময় টা খারাপ যাচ্ছে এটা ঠিক কিন্তু ব্রাজিল যখন ফিরবে খুবই ভয়ংকর ভাবে ফিরবে। যাইহোক বিশ্বকাপ ২০২৬ দক্ষিণ আমেরিকা অংশের বাছাইয়ে খুব একটা ভালো অবস্থানে ব্রাজিল ছিল না। তারা ছিল একেবারে টেবিলের ৬ এ। এর আগে ব্রাজিলের এমন অবস্থা আমি দেখিনি। এবং আমার মতো ব্রাজিল ভক্তরাও এমন টা মেনে নিতে পারছে না। তার উপর রাইভালদের ট্রল তো আছেই।
ব্রাজিল হলো একমাত্র দল যারা কীনা বিশ্বকাপের প্রতিটা আসর খেলেছে। যাইহোক ইন্টারন্যাশনাল ব্রেক শুরু হয়েছে ৪ তারিখ থেকে। আজ ৭ তারিখ ব্রাজিলের ম্যাচ ছিল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল মুখোমুখি হয়েছিল ইকুয়েডর এর। ম্যাচটা ছিল বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটাই। বলতে গেলে খুবই ভালো একটা সময়। এই ম্যাচে বেশ কিছু নতুন মুখ ছিল। এই ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক হয়েছে ১৭ বছর বয়সী কিশোর এস্তেভাও উইলিয়ান এর। দরিভাল জুনিয়র তার দলকে মাঠে নামায় ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। অন্য দিকে ইকুয়েডর এর ফর্মেশন ছিল ৩-৫-১। ম্যাচটা শুরু হয়। ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিল বেশ দেখেশুনে খেলছিল। বল নিজেদের দখলে রাখছিল।
বল নিজেদের দখলে রেখে আক্রমণে যাচ্ছিল। তবে উল্লেখযোগ্য কোন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। ম্যাচের ১৪ মিনিটে ইকুয়েডর গোলকিপারের ভুলে ভিনিসিয়াস একটা সুযোগ পেয়ে যায়। যদিও সেটা গোল হয়নি। এরপর ম্যাচের ৩০ মিনিটে লুকাস পাকুয়েতা বল বাড়িয়ে দেয় রদ্রিগো এর দিকে। রদ্রিগো দেখেশুনে ডিবক্সের বাইরে থেকে শর্ট করে। এবং সেটা গোল হয়ে যায়। বলতে গেলে চমৎকার একটা গোল করে ব্রাজিল কে ১-০ গোলের লিড এনে দেয় রদ্রিগো। এরপর আবার খেলা শুরু হয়। ব্রাজিল আক্রমণ করলেও ইকুয়েডর তখন পযর্ন্ত উল্লেখযোগ্য কোন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ভালো একটা সুযোগ পেয়ে যায় ইকুয়েডর। কিন্তু অ্যালিসন সেটা সেভ করে দিলে কোন বিপদ ঘটেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে ব্রাজিল তাদের আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল খেলোয়ার রা দারুণ কিছু সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি। একইভাবে ইকুয়েডর ও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু তারাও কোন গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধ ছিল পুরো গোলশূণ্য। ফলে রদ্রিগোর একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। ম্যাচে প্রায় ৫৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে ব্রাজিল। ব্রাজিলের ১০ শর্ট এর জবাবে ইকুয়েডর করে ৯ টা শর্ট। সবমিলিয়ে ব্রাজিল বেশ ভালো খেলেছে বলা যায়। এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮.৫১ রেটিং নিয়ে ম্যাচসেরা হয় রদ্রিগো। এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৪ এ অবস্থান করছে ব্রাজিল। নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে ১১ তারিখ বুধবার প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই পোস্টটি @httr4life এর মাধ্যমে টিম 7 দ্বারা আপভোট/সমর্থিত হয়েছে। আমাদের দল সম্প্রদায়ে যোগ করে এমন সামগ্রী সমর্থন করে৷
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাইয়া হয়তো ব্রাজিলের সময়টা খারাপ যাচ্ছে। কিন্তু ব্রাজিল যখন ফিরবে তখন একেবারে প্রস্তুত হয়েই ফিরবে ।আপনার এই পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন।