গোলকধাঁধা।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মানুষের জীবন খুবই বিচিত্রময়। অনেক সময় মানুষ আসলে কী চাই সে নিজেই জানে না। একটা মানুষ তার জীবনে কয়েকটা ভিন্ন ভিন্ন সময় কাটায়। কখনো শিশু তারপর কৈশোর তারপর যুবক এরপর মধ্যবয়স্ক এবং শেষমেশ সে বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুর দিন গুণতে থাকে। শিশু বয়সের কথা আমি বলব না। কারণ ঐ সময়ের কথা আমাদের খুব একটা মনে থাকে না আর দ্বিতীয়ত ঐ সময় টা আমরা বুদ্ধিহীন অবস্থায় অতিবাহিত করি। কৈশোর সময় টা আমাদের জীবনে অনেক টা রঙিন থাকে। এই সময়ে কোন দায়িত্ব থাকে না। জীবন টা বেশ উপভোগ করা যায়। নিজেকে সুপারহিরো ভাবতে বেশ ভালো লাগে হা হা। তবে এই বয়সে আমাদের থাকতে হয় পরিবারের বড়দের শাসনে। কোথাও যেতে গেলে কিছু করতে গেলে দরকার হয় তাদের অনুমতির। কৈশোর টা আমাদের খেলাধুলা, পড়ালেখা এবং অন্য সব আনন্দের মধ্যে কাটে।
এরপর একটা সময় আসে আমাদের জীবনে। ১৮-২৪ বছর বয়স পযর্ন্ত সময় টা কে আমি জীবনের সবচাইতে খারাপ এবং ভালো সময় বলব। এই ৬-৭ বছরের পরিশ্রম আপনার আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিবে। এই সময় টা কীভাবে অতিবাহিত করেছি সেটাই নির্ধারণ করবে আমাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য। আবার দেখবেন ঠিক এই সময় টাতেই আমাদের জীবন নতুন কোন একজন মানুষের আগমন হবে। আমি কার কথা বলছি নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন। সেই মানুষ টার সঙ্গে আপনি সাধারণত অনেক গভীরভাবে জড়িয়ে যান। তাকে অনেক ভালোবাসতে শুরু করেন। এটাই বাস্তব। আপনার তখন মনে হয় ঐ মানুষ টা ছাড়া আপনি থাকতেই পারবেন না। অধিকাংশ ক্ষেএে ঐ মানুষ টা আর আমাদের জীবনে থাকে না। কোন কারণে চলে যায়। তবে খুবই কম একটা অংশ থাকে যারা সত্যি সত্যি ঐ মানুষ টাকেই নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পাই। এদের কে আমি সবচাইতে ভাগ্যবান বলব।
যাইহোক ঐ সময় টা অতিবাহিত করার পর মোটামুটি আপনার লেখাপড়া শেষ হয়ে যাবে। আপনাকে তখন বাস্তব জীবনের মুখোমুখি হতে হবে। এবং আপনাকে একটা কর্মজীবনে প্রবেশ করতে হবে। এটাই স্বাভাবিক। তবে সেটা ব্যবসা বা অন্য কিছু হতে পারে। কর্মজীবনে কয়েক বছর কাটিয়ে দেওয়ার পর আপনার যখন একটা অবস্থান তৈরি হবে। আপনার একটা সামাজিক স্বীকৃতি হবে তখনই আপনার জীবনে সবচাইতে বড় সিদ্ধান্ত টা আপনাকে নিতে হবে। অর্থাৎ এবার সত্যি সত্যি আপনাকে জীবনে নতুন একজনকে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের সমিজ যেটাকে বিয়ে বলে থাকে। এরপর যথারীতি বিয়ে করা আপনি নিজের জীবন অতিবাহিত করতে থাকবেন। কয়েক বছরের মধ্যে আপনার জীবনে নতুন অতিথি চলে আসবে।
সত্যি বলতে ঐ মানুষটাই হবে পৃথিবীতে আপনার সবচাইতে আপনজন। কারণ আপনার অবর্তমানে আপনার স্মৃতি আপনার পরিচয় বহন করবে ঐ শিশুটা। তারপর আপনি বৃদ্ধ হবেন। এবং কোন একদিন আপনার মৃত্যু এসে হাজির হবে। আপনার গল্প ওখানেই শেষ। তাহলে একবার ভেবে দেখুন আমাদের জীবন কতটা ছোট। এগুলো চিন্তা করলে মনে হয় জীবন একটা খেলার নাম। এই খেলায় যে যত দ্রুত দৌড়াব যে যত দ্রুত এগিয়ে যাবে সে ততই মৃত্যুর নিকটবর্তী হতে থাকবে। আমাদের সবার উচিত একটা সময় নিজেদের জন্য অতিবাহিত করা অর্থাৎ নিজেকে সময় দেওয়া। কারণ আমরা সবকিছু করলেও নিজেকে সময় দিতে চাই না। কিন্তু এটার প্রয়োজন সবচাইতে বেশি। নিজেকে সময় দিতে হবে সঙ্গে সঙ্গে নিজের জীবনে কোন আক্ষেপ রাখা যাবে না। বেঁচে থাকার মধ্যে কোন স্বার্থকতা নেই নিজেকে খুশি রাখাই হলো স্বার্থকতা।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | জানুয়ারি ,২০২৪ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.