কবিতা আবৃত্তি ; ( আঠারো বছর বয়স- সুকান্ত ভট্টাচার্য )।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি। বছরখানেক আগে একটা ওয়েব সিরিজ দেখেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ ভিওিক। যেখানে একটা সংলাপ ছিল এমন এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার। তারপর বহুদিন কেটে গেলেও ঐ সংলাপ টা আমি ভুলতে পারিনি। আমাদের জীবনের একটা নতুন অধ্যায় শুরু হয় আমাদের যখন ১৮ বছর বয়স তখন। তখন না আমরা কোন বাঁধা মানি নি কোন শাসন মানি। তখন যেন আমরা পুরো জগত উদ্বারে বেরিয়ে পড়ি। কোন কিছুতেই ভয় করি না। এই আঠারো বছর বয়স কিন্তু সবার জীবনেই এসেছে। সুতরাং এই অনূভুতি সবারই জানা আছে। আজ আমি সুকান্ত ভট্টাচার্যের এইরকমই একটা কবিতা আবৃত্তি করেছি। সুকান্ত ভট্টাচার্যকে কিশোর কবিও বলা হয়। মাএ ২১ বছর বয়সে উনি মারা যান। কিন্তু এর মধ্যেই কী সব অসাধারণ কবিতা উনি লিখে গিয়েছেন সেটা অভাবনীয়। তারমধ্যে একটা হচ্ছে এই আঠারো বছর কবিতা টা।
- আঠারো বছর বয়স
- সুকান্ত ভট্টাচার্য
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।
আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়
পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা,
এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়−
আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।
এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য
বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে,
প্রাণ দেওয়া-নেওয়া ঝুলিটা থাকে না শূন্য
সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে।
আঠারো বছর বয়স ভয়ংকর
তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা,
এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর
এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা।
আঠারো বছর বয়স যে দুর্বার
পথে প্রান্তরে ছোটায় বহু তুফান,
দুর্যোগে হাল ঠিকমতো রাখা ভার
ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ।
আঠারো বছর বয়সে আঘাত আসে
অবিশ্রান্ত; একে একে হয় জড়ো,
এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে
এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো।
তবু আঠারোর শুনেছি জয়ধ্বনি,
এ বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে,
বিপদের মুখে এ বয়স অগ্রণী
এ বয়স তবু নতুন কিছু তো করে।
এ বয়স জেনো ভীরু, কাপুরুষ নয়
পথ চলতে এ বয়স যায় না থেমে,
এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়−
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।।
কবিতা আবৃত্তি
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কবিতা আবৃত্তি করা একটা অন্যরকম প্রতিভা বলে আমি মনে করি। সুকান্ত ভট্টাচার্যের খুব সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন। অনেক আগে একবার পড়েছিলাম। অনেক ভালো লাগলো আপনার কবিতাটি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এই কবিতা টা মাধ্যমিক অথবা উচ্চ মাধ্যমিক এর কোন বাংলা বইতে পড়ছিলাম।কবিতাটি অনেক সুন্দর। আর আপনি ও অনেক সুন্দর করে কবিতাটি পাঠ করেছেন।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আমি সুকান্ত ভট্টাচার্য এর এই কবিতা টি বেশ কয়েকবার পড়েছিলাম। আপনি দেখছি আজকে সুকান্ত ভট্টাচার্য এর আঠারো বছর বয়স কবিতা টি আবৃত্তি করেছেন। আপনার কন্ঠে এই কবিতা আবৃত্তি টি শুনে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি বেশ দারুন ভাবে কবিতা টি আবৃত্তি করেছেন।এই কবিতার মাঝে অনেক কিছু শিখার রয়েছে।
বিখ্যাত কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করে পোস্ট করেছেন যেটা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। এই কবিতাটি অনেক আগে পড়েছি যখন এইচএসসি পড়ি। এর মধ্যে আর কখনো পড়া হয়নি বা শোনা হয়নি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই কবিতাটি আবৃতি শুনলাম আমার অনেক ভালো লাগলো আপনার এই আবৃতি শুনে ধন্যবাদ।
সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা সবসময় আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ১৮ বছর বয়স কবিতাটি অনেক সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করেছেন শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। অনেক সুন্দর ভাবে কবিতাটি আবৃতি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সুকান্ত ভট্টাচার্যের এই কবিতাটা সম্ভবত হাই স্কুল লাইফে পড়েছিলাম, এরপরে অনার্স অথবা মাস্টার্স লাইফে পড়েছি। আসলে এই কবিতাটা আমাদের মত মানুষের ভবিষ্যতে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা স্বরূপ। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আবৃত্তি করেছেন, শুনে খুবই ভালো লাগলো আমার।