সমাজ কী আকাশ থেকে পড়বে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সমাজ কী আকাশ থেকে পড়বে!! কথাটা শুনেছিলাম আজ থেকে কয়েকদিন আগে একজনের বয়ানে। যেখানে উনি বতর্মান সমাজের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতেছিলেন। এবং তখনই হঠাৎ বলেছিলেন সমাজ কী আকাশ থেকে পড়বে!! কোনো একটা পরিবেশ একদিনে তৈরি হয় না। দিনে দিনে মানুষের সামান্য পরিবর্তন এর মাধ্যমে একদিন বদলে যায় সমাজ পরিবেশ। এটা একদিনে একজন পরিবর্তন করর প্রয়াস বা চেষ্টা করা মানেই বোকামি করা। আমাদের বতর্মান পরিবেশ পরিস্থিতিতে যে অধিকাংশ মানুষ খুশি না সেটা আমরা সবাই জানি। সবারই কোনো না কোনো কিছু খারাপ লাগে। কিন্তু সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় যেটা আমাদের অপছন্দ সেটা আমরা ঠিকই করি কিন্তু অন্যদের করতে নিষেধ করি। এখানে আমাদের সবার পূর্বে নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে।
আমরা যখন ছোট ছিলাম। আমাদের শৈশব ছিল পুরো টাই ভিন্ন। শুধুমাত্র বিকেলে মাঠে খেলতে যাওয়ার জন্য আমরা অনেক কিছু মেনে নিতাম। পড়াগুলো দুপুরে শেষ করে রাখতাম আবার বাড়ির কোনো কাজ থাকলে সেটাও শেষ করতাম দ্রুত। তবে মা বাবাকে একেবারে পারব না করতে এই কথাটা খুবই কম বলতাম। বিকেলের ঐ দুই ঘন্টা খেলার সময় আমাদের কাছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখনকার ছেলেরা বিকেলে খেলতে যেতে চাই না। বিশেষ করে তারা ফোন বা মোবাইল গেমের প্রতি এতোটা আসক্ত যে মাঠে খেলতে যাওয়া তাদের কাছে বোকামি মনে হয়। এগুলো তাদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও দোষ আছে। তারা তাদের ছেলে মেয়েদের এগুলো করতে সাহায্য করছে। তারাই তাদের সন্তানদের মাঠবিমুখ করেছে হা হা। কিন্তু এটা যে তারা কতবড় একটা ভুল করেছে সেটা অনেক পরে উপলব্দি করে। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে আর কিছু করার নেই।
আমরা যখন ছোট ছিলাম বড়দের কে অনেক ভয় পেতাম। তাদের কে বেশ সম্মান করতাম। কিন্তু এখনকার পোলাপান বড়দের খুব একটা ভয় পায় না। আবার অনেক সময় দেখা যায় তারা তর্কে জড়িয়ে যায়। যেটা একেবারেই অনাকাঙ্খিত। এখন তারা যদি এইসব ধারণা নিয়ে বড় হয়। তাদের মধ্যে যদি ভদ্রতা শিষ্টাচার ব্যাপারটা না থাকে। তাহলে আমি আপনি তাদের দ্বারা ভবিষ্যতে কী আশা করতে পারি বলেন। তারা তো নিজেদের বিষয়েই উদাসীন। তাহলে তাদের দ্বারা সমাজ বিনির্মান করার চিন্তা কি বোকামি না হা হা। তবে এখানে সবচাইতে বড় পরিবর্তন দরকার আমাদের। আমরা যদি ক্রমাগত নিজেদের পরিবর্তন করতে থাকি একসময় গিয়ে আমাদের পরিবর্তন দেখে অন্যরাও পরিবর্তিত হতে থাকবে। সমাজ পরিবর্তন করার দায়িত্ব কোনো একক ব্যক্তির না। এই দায়িত্ব টা আমাদের সবার পালন করতে হবে।
এখন একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায় আমাদের জেনারেশনের পশ্চিমা সংস্কৃতির উপর একটু ঝোঁক বেশি। তবে পশ্চিমাদের পজেটিভ দিক না। আমরা ওদের ঐ দিকটা পালন করি যেটা আমাদের দরকার। আমরা ওদের মতো স্বাধীনতা চাই পোষাকে স্বাধীনতা চাই। কিন্তু আমরা ওদের মতো শৃঙ্খল হতে চাই না। আমরা ওদের মতো একসঙ্গে অন্যায় এর প্রতিবাদ করতে রাজি হয় না। মূলত আমরা এখানে নিজের সুবিধা মতো সবকিছু ব্যবহার করছি হা হা। তবে হ্যা একটা কথা আছে কী জানেন। আমি ভালো তো জগত ভালো। এই কথাটা আমি মেনে চলি। কারণ আপনি যদি ভালো হন তাহলে সবকিছুই পজেটিভলি দেখবেন। সবকিছুতে নেগেটিভিটি খুঁজতে যাবেনা না। আমাদের মধ্যে এই স্বভাব টা আবার বেশি রয়েছে। সবকিছুর মধ্যে আমরা একটা নেগেটিভিটি খুঁজতে থাকি। এই অভ্যাস টা আমাদের দূর করতে হবে। যাইহোক আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি খুব সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করেছেন। সমাজ কি আকাশ থেকে পড়বে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। তবে আপনি ঠিক বলেছেন আগে দেখতাম আমরা নিজেরাও বাড়িতে খেলাধুলা করতাম স্কুল থেকে এসে। কাজ শেষ করার পর সময় পেলে খেলাধুলা করার চেষ্টা করতাম। আর এখন কারো ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করতে চায় না। তারা অনেক অলসতা করে। এবং তারা মানুষের সাথে কম মিশে এখন বর্তমান সমাজে ছেলে মেয়েরা। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সমাজ আকাশ থেকে পড়বে না ভাই আমাদেরকেই আকাশ থেকে পড়তে হবে। আজকালকার দিনে বাচ্চাদের যে অবস্থা তারা মোবাইলে প্রতি এতটাই আসক্ত যে তারা ঘর থেকে বের হয় না। এরা ফোন ছাড়া কিছুই বুঝতে চায় না। আমার দুই বছরের বাচ্চার ফোন ছাড়া খেতেই চায় না। ধন্যবাদ ভাই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আলোচনা করার জন্য।
সময়ের কারণে অনেক কিছু অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে যায়। আগে আমরাও ছোটবেলা পড়ালেখা শেষ করে হয়তো বা কোন কাজ থাকলে তা শেষ করে খেলাধুলা করার জন্য মাঠে চলে যেতাম। একটু দেরি হলে অনেক সময় আমাদেরকে নেওয়া হতো না কারণ খেলোয়ারট বেশি হয়ে গেলে। আর এখন ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করতে চায় না। তারা সারাক্ষণ মোবাইল এবং গেম নিয়ে ব্যস্ত। আসলে এভাবে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে। সমাজ এবং আকাশ ঠিকে থাকবে শুধু অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন ভাই, আমরা নিজেরা পরিবর্তিত না হলে সমাজ কোনদিন পরিবর্তন হবে না ।কারণ সমাজ গড়ে তোলা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয় । সকলের মিলিত সহযোগিতায় একটি সমাজ গড়ে ওঠে। বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েরা আসলেই আমাদের থেকে পুরোটাই ভিন্ন। আমরা আসলেই বড়দেরকে ভয় পেতাম ,কিন্তু এখন তারা পায় না। আবার মাঠে খেলাধুলার থেকে তারা মোবাইল ফোনের গেমেই বেশি আসক্ত।