দুই মাস্টারমাইন্ডের লড়াই!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
sportszfy থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
মাস্টারমাইন্ড শব্দটা ফুটবলে ব্যবহার করা হয় কোচদের ক্ষেএে। মোটামুটি ভালোভাবে ফুটবল দেখছি প্রায় একযুগ। এই একযুগে যেসব মাস্টারমাইন্ড কোচ আমি দেখেছি তাদের মধ্যে হোসে মরিনিও, কার্লো আনচেলওি, জিনেদিন জিদান, পেপ গার্দিওয়ালা, ইয়্যুর্গেন ক্লপ এরাই ছিল। অন্য অনেক ভালো কোচ ছিল। তবে এদের কেই বিশেষ করে মাস্টারমাইন্ড বলা হতো। তবে এদেরও বস ছিল স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন এবং আর্সেন ওয়েঙ্গার। যদিও তাদের কোচ করা টিমের খেলা দেখার সৌভাগ্য আমার খুব একটা হয়নি। সেজন্য সেটা বলতে পারছি না। ইন্টারন্যাশনাল ব্রেক হয়েছে কয়েকদিন আগে। গতকাল শনিবার ছিল ম্যাচ ডে। ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাব মাঠে নেমেছিল একে অপরের বিপক্ষে। এরমধ্যে সবচাইতে বড় ম্যাচ ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দুই শক্তিশালী দল ম্যান সিটি এবং লিভারপুলের মধ্যকার ম্যাচ।
এই দুইদল কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে সবার শীর্ষে রয়েছে। এবং এই দুই দলের কোচ দুই মাস্টারমাইন্ড পেপ গার্দিওয়ালা এবং ইয়্যুর্গেন ক্লপ। সেজন্য এদের মগজের লড়াইটা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম আমি। ম্যাচটা বাংলাদেশ সময়ে বেশ ভালো সময়ে ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময়। যথারীতি সিটি তার পরিচিত একাদশ ৩-২-৪-১ নিয়ে খেলতে নামে। অন্যদিকে লিভারপুল খেলতে নামে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। দুই দলের গোলকিপারের দায়িত্বে ছিল দুই ব্রাজিলিয়ান। এডারসন ছিল সিটির গোলকিপার এবং অ্যালিসন ছিল লিভারপুল এর গোলাকিপার। ম্যাচটা ছিল ইতিহাদে অর্থাৎ সিটির হোম ম্যাচ। খেলার শুরু থেকেই বেশ চাপে ছিল লিভারপুল। যথারীতি মাঝ মাঠের দখল নিয়ে খেলা গার্দিওয়ালার স্ট্যাটাজি টা কাজে লাগে। বল দখল অ্যাটাক সবকিছুই বেশি বেশি করতে থাকে ম্যানসিটি।
লিভারপুল বেশ নেমে এসে খেলছিল। গোলকিপার এর কাছে ব্যাক পাস করছিল বেশি। ফলাফল চাপের মুখে এলিসন ভুল করে একটা ভুল পাস করে ফেলে। যদিও সেটার জন্য গোল হজম করা লাগেনি তার। এরপর আসে সেই সময়। নিজের দলকে ইউরো ২০২৪ এর মূল পর্বে তুলতে পারেনি। হ্যালান্ড। কিন্তু ক্লাবে ফিরেই গোল করে বসে। ২৭ মিনিটে সুন্দর একটা বল পেয়ে গোল করে। ঐ জায়গা থেকে অ্যালিসনকে পরাস্ত করতে তার খুব একটা সমস্যা হয়নি। ফলাফল ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। পরবর্তীতে আরও কিছু আক্রমণ করলেও গোল আদায় করতে পারেনি কেউ। ১-০ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয় হাফে মাঠে নেমেই লিভারপুল এর খেলার পরিবর্তন দেখা যায়। আক্রমণ শুরু করে লিভারপুল। কিন্তু গোল পাচ্ছিল না। সিটিও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে সমানতালে।
অবশেষে ৮০ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরায় অ্যালেক্সজেন্ডার আরল্যান্ড। ম্যাচে তখন ১-১ গোলেয সমতা। বাকি সময়ে আর কেউ গোল করতে সক্ষম না হলে ১-১ গোলে ড্র হয়ে শেষ হয় ম্যাচটা। দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয়। তবে ম্যানসিটি পূর্ণ পয়েন্টের আশায় ছিল। বল পজিশনে ৬০ ভাগ শর্ট নেওয়ার লিভারপুলের দ্বিগুণ হলেও এমনকি কর্ণার বেশি পেলেও লাভ হয়নি সিটির। কারণ ম্যাচ জেতার জন্য যেটা প্রয়োজন সেই গোলটার দেখাই পায়নি তারা। এই নিয়ে ১৩ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ম্যান সিটি লীগ টেবিলের সবার উপরে এবং ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সিটির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে লিভারপুল। এই সিজেনে এই প্রথম দেখা ছিল দুই মাস্টারমাইন্ডের। এই প্রথম দেখা শেষ হয় সমতায়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পোস্টের শুরুটা পড়েই বুঝলাম আপনি ফুটবল প্রেমী একজন মানুষ। ফুটবলের সব নলেজ আপনার মধ্যে রয়েছে। এক যুগ ধরে খেলা দেখে আসছেন আপনি! এটা অনেক বড় ব্যাপার ভাই । আমি তো বিশ্বকাপ ফুটবল ছাড়া অন্য কোন খেলা দেখি না তাই ফুটবল রিলেটেড জ্ঞান একটু কম রয়েছে আমার মধ্যে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের খেলা গুলো নিয়ে আমি আমার বন্ধুদের মধ্যে আলোচনা করতে দেখেছি। মাস্টারমাইন্ড শব্দটা ফুটবলে ব্যবহার করা হয় কোচদের ক্ষেত্রে এটি আমার আগে জানা ছিল না । দুই শক্তিশালী দল ম্যান সিটি এবং লিভারপুলের মধ্যকার ম্যাচ আপনি অনেক ভালো এনজয় করেছেন সেটা পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম।
যখন দুটো দলই এমন বড় দল হয় তখন তাদের খেলা দেখতে অন্য রকমের একটা ভালো লাগে। কালকের খেলাটা আমি সরাসরি দেখছিলাম খুবই ভালো লাগছিল আমার কাছে। এটা ভালো বিষয় যে দুইটা দলই সমান পয়েন্ট নিয়ে খেলাটা শেষ করতে পেরেছে।
এই দুজনের সময়ের সেরা ম্যানেজার। যদিও ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুলের খেলা দেখিনি তবে বেশ ভালো খেলা হয়েছে আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসাধারণ একটা টাইটেল দুই মাস্টার মাইন্ডের লড়াই। কালকের খেলাটা আমি দেখেছিলাম অনেক সুন্দর খেলা হয়েছে। যদিও আমি ম্যানসিটির সাপোর্টার জিতলে আরো অনেক খুশি হতাম। খেলাটা এক এক গোলে সমতা হয়ে শেষ হয়েছে। তবে এটা মানতে হবে লিভারপুলের চেয়ে ম্যানসিটি অনেক ভালো খেলেছে।
ছোটবেলা থেকেই ফিফা বিশ্ব ফুটবল খেলা দেখতে বেশি মজা লাগে আমার।তবে ক্লাব পর্যায়ের খেলাগুলো সেভাবে দেখা হয় না।আপনার ফুটবল খেলার অনুভূতি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে, ধন্যবাদ ভাইয়া।