সুইসাইড।

in আমার বাংলা ব্লগlast year


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ রবিবার, ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


emotions-2764936_1280.jpg

Source


শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রতিদিন ৩৫ জন আত্মহত্যা করে মারা যায়। এটা আগে হয়তো আপনার জানা ছিল না। আমারও জানা ছিল না। ফেসবুক থেকে এই নিউজটা দেখতে পেলাম। কখনো কী ভেবে দেখেছেন কেন এরা আত্মহত্যা করে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সেইরকম ভাবেই আমাদের উপর দিয়ে সৃষ্টিকর্তা অনেক সময় অনেক রকম পরীক্ষা চালিয়ে যায়। সৃষ্টিকর্তা আমাদের ধৈর্য‍্য পরীক্ষা করে থাকেন। সমস্যা সবার জীবনেই থাকে কম বেশি। কিন্তু সবাই এই সমস্যা এই মানসিক যন্ত্রণা সহ‍্য করতে পারে না। সহ‍্য করার মতো মানসিকতা সবার থাকে না। সেজন্যই হয়তো তারা আত্মহত্যা করে। আমরা সবাই একটা কথা বলি আত্মহত্যা কোনো সমাধান না। কিন্তু যে ছেলেটা বা যে মেয়েটা আত্মহত্যা করে সে কেন এই কাজটা করে সেটা আমরা বিবেচনা করি না। আমরা শুধু বলি এই ছেলেটা বা এই মেয়েটা এতো বোকা যে আত্মহত্যা করল! আজ আমি চেষ্টা করব বাংলাদেশে আত্মহত্যাকারীদের কারণ গুলো তুলে ধরতে।।

বতর্মানে বাংলাদেশে সবচাইতে বেশি আত্মহত্যা করার নিউজ পাওয়া যায় শিক্ষার্থীদের। আর এই শিক্ষার্থীদের সিংহভাগ দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে লেখাপড়া করে। অধিকাংশ সময় ধারণা করা হয় অতিরিক্ত প্রেসার না নেওয়ার কারণে তারা এইরকম আত্মহত্যা করে থাকে। এবং আরেকশ্রেণি থাকে যাদের বলা হয় ব‍্যর্থ শিক্ষার্থী। যারা হয়তো পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেনি বা ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইনি। তারা অনেক সময় আত্মহত্যা করে থাকে। এটার পেছনে অবশ‍্য দায়ী তাদের থেকে তাদের পিতামাতা এবং পাড়া প্রতিবেশি। একটা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা সত্যি অনেক যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। আর এটার আসল কারণ কিন্তু ঐ ভুল শিক্ষা পদ্ধতি। আমাদের দেশে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা সংখ‍্যক হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে পড়া শিক্ষার্থীরা।


falling-4352856_1280.jpg

source


এরপর যেটা বেশি দেখা যায় প্রেমে ব‍্যর্থ হয়ে বা পার্টনার প্রতারণা করেছে এজন্য আত্মহত্যা করেছে। এইরকম নিউজ প্রায়ই আমাদের চোখে পড়ে। আসলে একটা কথা ব্রেকাপ বা বিচ্ছেদ এর পেইন বা প‍্যারা টা সবাই নিতে পারে না। কারো কারো কাছে এটা মৃত্যুর চেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়। আর তখনই তারা আত্মহত্যা করে থাকে। তবে আমি এটার বিরুদ্ধে থাকি সবসময়ই। আমাদের চোখে এমন অনেক নিউজ আসে ভালো চাকরি না পাওয়ায় বা বার বার ব‍্যর্থ হওয়াতে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা। এমন ঘটনার পেছনে অধিকাংশ দায়ী থাকে ঐ ব‍্যক্তির পিতামাতা এবং সমাজ। একজন কয়েকবার ব‍্যর্থ হলে সমাজ তাকে একটা সার্টিফিকেট দিয়ে দেয় তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না হা হা। আর এই প‍্যারা টা সবাই নিতে পারে না। যার শেষ পরিণতি হয় আত্মহত্যা।

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক বিভিন্ন সমস‍্যা দেখে আসছে। একপর্যায়ে এই সমস্যা তাদের মানসিক রোগী করে তোলে। এই সমস‍্যা টা খুবই গুরুতর। আমাদের দেশে ছেলে মেয়েদের নষ্ট হওয়ার পেছনে অন‍্যতম প্রধান কারণ পরিবারের মধ্যে ঝামেলা। কেউ আত্মহত্যা করার পর আমরা সাধারণত বলি এই এটা একটা কাজ করেছে। আত্মহত্যা কোনো সমাধান নাকী। হ‍্যা আপনার আমার কথা ঠিক আত্মহত্যা কোনো সমাধান না। কিন্তু একজন কোন পর্যায়ে গেলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সেটা আমাদের ধারণার বাইরে। তার কাছে জীবন টা এতো পরিমাণ অসহ‍্য মনে হয় যে সে মনে করে এর চেয়ে আত্মহত্যা কম কষ্টের। আর একটা মানুষ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত তখনই নেয় যখন তার আশপাশে কেউ থাকে না। সে একেবারে একা থাকে। সবচাইতে বড় কথা সে নিজেকে একা মনে করে। একাকিত্বের চেয়ে ভয়াবহ আর কিছু হতে পারে না।।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_20230518_131529.JPG

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। এটা ঠিক বলেছেন একজন ছেলে ও মেয়ের সুইসাইডের জন্য পরিবার ও সমাজ অনেকটা ই দায়ী।আমি মনে করি প্রতিটি মানুষের ই আলাদা আলাদা কর্মদক্ষতা আছে।সবাই সবটাতে সফল হবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়।আর তাই কোন কিছুতে না পারা মানেই সবকিছু শেষ হওয়া নয়।এটা পরিবার ও সমাজের মানুষের বুঝতে হবে।আর জীবনের জন্য পড়ালেখা।পড়ালেখার জন্য জীবন নয়।এটা আমাদের মনের মাঝে জাগ্রত রাখতে হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন ইমোন ভাই। আসলে, আত্নহত্যা কোনো সমাধান না। কিন্তু একটা মানুষ তার সহ্যের সীমানা অতিক্রম করেই আত্নহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে নিশ্চয়ই দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থাকে, সেটা কেউ খেয়াল করে না। বা সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য কেউ এগিয়েও আসে না.....

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65633.94
ETH 2670.37
USDT 1.00
SBD 2.90