হঠাৎ টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ( পর্ব: ১ )।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ঘটনাটা ঠিক আজ থেকে এক মাস পূর্বের। আমার বন্ধু লিখন হঠাৎ একদিন আমাকে টেক্সট দিয়ে বলে ইমন ১৭ অক্টোবর কোন কাজ আছে। আমি তখন বলি না। ক্লাস ছাড়া আমার সেরকম কোন কাজ ছিল না। লিখন বলে ঠিক আছে তা ঐদিন টাঙ্গাইল আসতে হবে। আমি বলি ঠিক আছে সময় আসুক দেখবনে। কী কারণে যেতে হবে কিছুই বলে না লিখন। আমি ভেবেছিলাম ও হয়তো এখন এইরকম বলছে আবার বলবে আসা লাগবে না। সত্যি বলতে আমি এমন কিছুরই অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু ১০ তারিখে ঠিক এক সপ্তাহ আগে লিখন আমাকে ফোন দিয়ে বলে ইমন ট্রেনের টিকিট কেটে ফেল। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ট্রেন ছিল। ধুমকেতু এক্সপ্রেস সাড়ে ছয় টার দিকে। দ্রুতই টিকিট কেটে ফেলি টাঙ্গাইল স্টেশন এর। এবং ফেরার টিকিটও কেটে ফেলি সেটা ছিল চিএা এক্সপ্রেস বিকাল ৪ টার সময়।
এখন বলি হঠাৎ আমার টাঙ্গাইল যাওয়ার কারণ। ওখানে লিখনের একটা বিশেষ কাজ ছিল। এটা আমি ছাড়া আর কেউ জানে না। এবং ও আমাকে ছাড়া কাউকে জানাতেও পারছিল না। সেজন্যই আমাকে যাওয়া লাগে ওর পাশে থাকার জন্য । একে একে সবগুলো দিন অতিবাহিত হয়। অবেশেষে আসে ১৭ তারিখ মঙ্গলবার দিনটা। ঐদিন আমাকে উঠতে হয়েছিল অনেক ভোরে প্রায় ৫ টার সময়। সাধারণত ঐ সময় উঠার অভ্যাস নেই। এইজন্যই একটু ভয়ে ছিলাম উঠতে পারব তো ট্রেন মিস করে ফেলবনা তো। ফোনে এলার্ম দেওয়ার পাশাপাশি আমার মা কে বলেছিলাম আমাকে ডেকে দিতে। আমার মা ঠিক সময়ই ফোন করে আমাকে ডেকে দেয়। যদিও তার আগেও মোটামুটি আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। ঘুম থেকে উঠেই আমি একেবারে পুরোপুরি ফ্রেশ হয়ে নেয়। তারপর চা খেয়েই বেরিয়ে পড়ি বাসা থেকে পুরোপুরি তৈরি হয়ে।
আমার ট্রেন ছিল সাড়ে ছয়টাই। কিন্তু আমি আধাঘন্টা আগেই চলে যায়। এতো সকালে ঢাকা শহর টাও কেমন যেন ফাঁকা থাকে। চারিদিক একেবারে নিরব। যাইহোক সকালের পরিবেশটা বেশ ভালোই লাগছিল। আমি স্টেশনে চলে যায়। আমাদের ওখান থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই বিমানবন্দর স্টেশন। স্টেশনে গিয়ে দেখি অনেক লোকের সমাগম। এবং ট্রেন আসতে অনেক দেরি হবে কয়েকজন বলাবলি করছিল। ঐ সময় টা আমি স্টেশন টা একটু ঘুরে দেখি। বেশ ভালো লাগছিল। মোটামুটি ৪৫ মিনিট লেট করে সাড়ে ছয়টার ট্রেন আসে ৭ টা ১৫ এর সময়। যথারীতি আমি আমার কামড়ায় উঠে যায় এবং আমার সিটে বসে পড়ি। যদিও ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের দূরত্ব বেশি না দাঁড়িয়েই যাওয়া যায়। কিন্তু টিকিট যেহেতু কেটেছি কী আর করার।
ঢাকা থেকে বের হওয়ার পরেই গাজীপুর এবং টাঙ্গাইল অঞ্চল টা একটু জঙ্গল টাইপের। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালেই প্রচুর গাছপালা দেখা যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যেন জঙ্গলের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছি। যদিও আমার বেশ ভালোই লাগছিল। ঢাকা আসার পরে এই প্রথম এইরকম একটু বাইরে যাচ্ছি। মোটামুটি দেড় ঘন্টা যাএার পর আমাদের ট্রেন টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌছে যায়। স্টেশনে গিয়ে আমি আমার বন্ধু লিখনকে ফোন দেয়। লিখনের বলে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী স্টেশন থেকে বের হয়েই একটা রিক্সা নিয়ে আমি চলে যায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড। রিক্সায় করে যাওয়ার সময় বেশ লাগছিল আমার। টাঙ্গাইল শহর টা দেখতে দেখতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমি পৌছে যায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে। এরপর লিখনকে ফোন দিতেই বলে অপেক্ষা কর আমি আসছি। আমি যথারীতি অপেক্ষা করতে থাকলাম।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | অক্টোবর ,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
নতুন কোথাও ভ্রমণ করতে যাওয়া, নতুন কিছু ধারণা লাভ করা, আর নতুন কিছু সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করা সেটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালোলাগা
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বন্ধু লিখনের আমন্ত্রণে টাঙাইলে রওনা দিলেন ট্রেনে করে।এরপর ট্রেন থেকে নেমে বন্ধু লিখনকে ফোন দিয়ে রিকশায় উঠে রওনা দিলেন। গাজীপুরে গাছপালায় ভরপুর।আপনি নতুন জায়গায় নতুন কিছু দেখতে পেলেন।অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। এরপর বন্ধু লিখনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।এরপরের পর্বে জানতে পারবো কি হলো।
মনে হচ্ছে, বিশেষ কোনো দরকারেই আপনার বন্ধু আপনাকে ডেকেছে । যেহেতু আপনি ছাড়া এই বিষয়টা আর কেউ জানে না ,সেজন্য বিষয়টা একটু গোপনীয় বলেই মনে হচ্ছে। যাই হোক ট্রেন টা ৪৫ মিনিট লেট হওয়ায় নিশ্চয়ই আপনার খুব খারাপ লাগছিল তখন । তবে শেষ পর্যন্ত সকালের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে আপনি টাঙ্গাইলে পৌঁছে আপনার বন্ধুর দেওয়া ঠিকানায় উপস্থিত হতে পেরেছেন এটাই ভালো।