সিজেনের প্রথম এল ক্ল্যাসিকো।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
sportszfy থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
গতকাল ২৮ অক্টোবর ফুটবল ফ্যানদের জন্য ছিল বহু প্রতিক্ষার একটা দিন। গতকাল ছিল ফুটবলে অন্যতম রাইভালরি ম্যাচ বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ এর মধ্যকার ম্যাচ। এদের খেলা টাকেই বলা হয় এল ক্ল্যাসিকো। এল ক্ল্যাসিকো টা শুধু একটা ফুটবল ম্যাচের পর্যায়ে থাকে না। এটা একটা যুদ্ধ বা ব্যাটেল বলতে পারেন। যাইহোক গতকালের অপেক্ষা আমি অনেক আগে থেকেই করছি। কারণ এটা ছিল এই সিজেনের প্রথম এল ক্ল্যাসিকো ম্যাচ। অন্যদিকে পয়েন্ট টেবিলে পাশাপাশি অবস্থান করছে দুইদল। এই ম্যাচে বার্সা জিতলেই ছাড়িয়ে যাবে মাদ্রিদ কে। আবার মাদ্রিদ জিতলে বার্সার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান হবে চার। ম্যাচ টা বাংলাদেশ সময় রাত আট টাই। আমি আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয় খেলা দেখার। আর আমি আগাগোড়া একজন রিয়াল মাদ্রিদ ফ্যান। ম্যাচটা ছিল বার্সার হোম ম্যাচ। মোটামুটি দুই দলেই ছিল ইঞ্জুরি সমস্যা। এদিকে যেমন ইঞ্জুরির জন্য বার্সা মিস করেছে লেভানদস্কি, রাফিনহা, পেড্রোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াদের। তবে লেভানদস্কি এবং রাফিনহা দ্বিতীয় হাফে মাঠে নামার জন্য স্কোয়ার্ডে ছিল। অন্যদিকে ইঞ্জুরির কারণে মাদ্রিদ দলে নেই কর্তোয়া, মিলিটাও।
সঠিক সময়ে মাঠে নামে দুই দল। মাদ্রিদ যথাক্রমে ৪-১-৩-২ ফর্মেশনে মাঠে নামে। অন্যদিকে বার্সার ফর্মেশন ছিল ৪-৩-৩। যেহেতু বার্সার হোম ম্যাচ সেজন্য রিয়াল কিছুটা চাপে ছিল। ম্যাচের শুরুতেই মাদ্রিদ ডিফেন্ডারদের ভুলে বার্সার হয়ে গোল করে জার্মান মিডফিল্ডার ইকার গুন্ডোয়ান। মাএ ম্যাচের ৬ মিনিটে ১-০ তে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পরবর্তীতে দুইদলই মোটামুটি ভালো খেলতে থাকে। তবে বল বেশি দখলে ছিলে বার্সেলোনার। দুই দলই মোটামুটি আক্রমণ করতে থাকে। এল ক্ল্যাসিকো হবে আর মারামারি তর্কাতর্কি হবে সেটা কী সম্ভব। মাদ্রিদ এর খেলোয়ার ভিনিসিয়াস খেলোয়ার বাদেও বার্সার কোচ জাবির সঙ্গেও তর্কে জড়িয়ে যায়। হাফ টাইমের আগ পযর্ন্ত দুইদলই চারটা করে শর্ট নেয়। তবে মাদ্রিদের কোন অন টার্গেট শর্ট ছিল না কিন্তু বার্সার ছিল একটা। এরই মধ্যে দিয়ে শেষ হয় প্রথম হাফের ম্যাচ। বার্সেলোনা ১-০ তে এগিয়ে থেকে শেষ করে প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয় হাফে মোটামুটি গুছিয়ে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। মোটামুটি খেলা চলতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিবর্তন করে রিয়াল মাদ্রিদ। মেন্ডি কে তুলে কামাভিঙ্গা রদ্রিগো কে তুলে জোসেলু টনি ক্রুস কে তুলে মাঠে নামায় লুকা মদ্রিচকে। তারপর থেকেই বদলে যায় রিয়াল মাদ্রিদ এর আক্রমণ। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক দূরপাল্লার শর্টে গোল করে জুড বেলিংহাম। গোলটা ছিল এককথায় অসাধারণ অনবদ্য। ম্যাচে সমতা ফেরায় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচ রীতিমতো জমে উঠে। তখন থেকেই যেন রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রথমার্ধের গোছানো মাদ্রিদ নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে থাকে। এরপর বার্সাও পরিবর্তন করে। বার্সার হয়ে মাঠে নামে লেভানদস্কি, রাফিনহা এবং লামিন ইয়ামাল। তখন বার্সার আক্রমন শুরু করে। ম্যাচের শেষ কোয়াটারে দুইদলই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে।
লামিন ইয়ামাল এর অসাধারণ একটা বাড়িয়ে দেওয়া বলে দারুণ একটা ওভারহেড কিক করে রাফিনহা কিন্তু সেভ দিয়ে দেয় মাদ্রিদ কিপার কেপা। পরে ম্যাচের ৯২ মিনিটে কার্ভাহাল এর লং বলে সুন্দর একটা অ্যাসিস্ট করে মদ্রিচ এবং আবার সেই বেলিংহাম। অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে গোল করে মাদ্রিদ কে ১-২ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায় বেলিংহাম। পরবর্তী সময়ে বার্সা চেষ্টা করলেও আর লাভ হয়নি। নিজেদের রাইভাল ক্লাব বার্সার ঘর থেকে ৩ টা পয়েন্ট নিয়ে ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। মাদ্রিদের হয়ে সবচাইতে বেশি ৮.৫ রেটিং নিয়ে ম্যাচ সেরা হয় জুড বেলিংহাম। বেলিংহামের জোড়া গোলে আরেকবার কামব্যাক করে মাদ্রিদ। এই সিজেনের সেরা সাইনিং ছিল জুড বেলিংহাম। এবং বেলিংহাম মাদ্রিদে এসে যেন নিজের ২০০ ভাগ দিচ্ছে। এককথায় বলতে হয় মাদ্রিদ চায়ের দামে শরবত পেয়েছে। মাদ্রিদ একটা সোনা চেয়েছিল কিন্তু সেই জায়গাই তারা হীরা পেয়েছে। বেলিংহাম এককথায় অসাধারণ।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.