রবীন্দ্র জয়ন্তীর মেলা ( দ্বিতীয় পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শেষমেশ লিখনকে অনেক বুঝিয়ে ম্যানেজ করলাম। আসলেসলে এই নাগরদোলা ব্যাপার টা আমার সাথে ঠিক যায় না আর কী। কিন্তু সে উঠবেই। আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে তুই গিয়ে ইনজয় কর আমি নিচে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু তখন ও বলল না থাক আগে দুজন মেলাটা ঘুরে দেখি। আমি বললাম ঠিক আছে চল। মেলার মাঠে আমরা হেঁটে যাচ্ছি দুই পাশে অনেক ধরনের খাবারের দোকান। প্রথম কিছু দোকান দেখলাম চিকেন ফ্রাই চিংড়ি ফ্রাই এই টাইপের। কিন্তু ঐ ফ্রাইতে অতিরিক্ত পরিমাণ বেসন ব্যবহার করেছে। সেজন্য ওটা আমরা পুরোপুরি ইগনোর করি। এরপর কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখি গরম গরম ডাউলের বড়া ভাজছে। এবং দেখে বেশ লাগছিল। অনেকদিন হলো এই ধরনের বড়া খাওয়া হয় না। দাম মাএ পাঁচ টাকা পিচ। দুজন বেশ কয়েক পিচ ডাউলের বড়া খাই। বেশ ভালো ছিল তার উপর গরম হওয়ার জন্য বেশি ভালো লাগছিল।
পাশেই দেখি একজন ছোলা ভুনা বিক্রি করছে। কিন্তু এখন ছোলা খাওয়ার কোন ইচ্ছা আমাদের ছিল না। সেজন্য আমরা ঐটা পুরোপুরি ইগনোর করি। এরপর সামনের দিকে যায়। এরপর গিয়ে দেখি একটা পাঁপড়ের দোকান। পাঁপড় আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। বিশেষ করে এটা বেশ মুখরোচক। এবং সব জায়গাই এখন পাওয়াও যায় না। আমরা দুজন এক প্যাকেট পাঁপড় কিনে খাওয়া শুরু করি। পাঁপড় টাতে একটু বেশি তেল ছিল। অর্থাৎ ভাজার পরে উনি সঙ্গে সঙ্গে প্যাকেট করে ফেলেছেন সেজন্য তেল লেগেই আছে। পাঁপড় খাওয়া শেষ হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেই ঝালমুড়ি খাব। শেষ ঝালমুড়ি খেয়েছি অনেকদিন আগে। সেজন্য ঝালমুড়ির দোকান দেখে আর নিজেকে আটকে রাখতে পারিনি। তবে যতটা আশা নিয়ে গিয়েছিলাম ততটা পূর্ণ হয়নি।
ঝালমুড়িতে উপকরণ বেশি থাকলেও স্বাদ ছিল অ্যাভারেজ। খুব ভালো বলা যাবে না। মোটামুটি দেখতে দেখতে অনেক কিছুই খেয়ে ফেললাম। তারপর দুজন শরবত খাওয়ার প্রয়োজন মনে করি। পাশেই দেখি একজন চাচা লেবুর শরবত বিক্রি করছে। কয়েকদিন হলো বৃষ্টি হয়ে গরম অনেক কমে গিয়েছে। গরম কম হওয়াই লেবুর শরবত বিক্রি কম। কিন্তু কয়েকদিন আগে তীব্র গরমে এই শরবত এর ডিমান্ড ছিল আকাশচুম্বি। আমি নিজেই তো বাজারে গেলে কয়েক গ্লাস খেতাম। যাইহোক দুজন দুই গ্লাস লেবুর শরবত খেয়ে আপাতত নিজেদের তৃষ্ণা মেটালাম। আসলে মেলায় আসলে অতিরিক্ত আজেবাজে জিনিস খাওয়া হয়ে যায়। তার উপর এখন না খেলে খাব কখন বলেন তো হা হা।
আমাদের খাওয়ার পর্ব মোটামুটি শেষ। এখন মেলাটা ভালোভাবে ঘুরে দেখতে হবে। পাশাপাশি কিছু কেনাকাটাও করতে হব। পাশেই দেখি একটা গেঞ্জির দোকান। গেঞ্জির উপরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি প্রিন্ট করা এবং অনেক কবিতার লাইন গানের লাইন লেখা রয়েছে। আমি গেঞ্জির দাম জিজ্ঞেস করিনি। শুধুমাত্র কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এর পাশেই একটা দোকানে দেখি বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনা বিক্রি করছে। ছোটবেলাতে মেলায় গেলে এইধরনের খেলনা কিনে দেওয়া হতো আমাকে। বেলুন বিশিষ্ট বাঁশি, কাঁঠের গাড়ি। এগুলো নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। ঐ খেলনা গুলো দেখতেই স্মৃতিগুলো মনে চলে আসলো। বেশ ভালোই লাগছিল। একসময় এগুলোর জন্য বায়না ধরতাম অথচ আজ এগুলোর প্রতি আমার কোন আগ্রহই নেই। মানুষের জীবনে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার আজকের এই দ্বিতীয় পর্বে রবীন্দ্র জয়ন্তী মেলার সুন্দর কিছু দৃশ্য তুলে ধরেছেন এবং দারুণভাবে বর্ণনা দিয়েছেন ভাইয়া। পাপড় এবং ঝাল মুড়ি আমারও অনেক বেশি প্রিয় মেলার মাঠে গেলে এ জাতীয় খাবার গুলো না খেলে যেন চলে না। আপনার বন্ধুর সাথে দেখছি অসম্ভব সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনি। তবে হ্যাঁ বয়সের সাথে সাথে আমাদের জীবনে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে ভাইয়া তাই তো আগের অনেক কিছুই এখন আর তেমন একটা ভালো লাগে না। যেমন আপনার ছোটবেলার সেই খেলনা কেনার বায়না থাকতো সেটা এখন আর নেই। যাইহোক সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া মেলায় ঘুরতে আমারও খুবই ভালো লাগে। আপনি দেখছি রবীন্দ্রজয়ন্তীর মেলা বেশি দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন তাহলে। পরবর্তীতে অবশ্যই এই মেলায় আমি উপস্থিত হবো। সেখানে গিয়ে আপনারা বিভিন্ন মসলা দিয়ে তৈরি ঝাল মুড়ি খেয়েছিলেন এটা খুব স্বাদ ছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আপনারা যে টি-শার্ট কিনতে চাচ্ছিলেন সেগুলো সবটাই রবীন্দ্রনাথের ছবি আর্ট করা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। এছাড়াও মেলাটি খুব দারুণভাবে
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া মেলায় ঘুরতে আমারও খুবই ভালো লাগে। আপনি দেখছি রবীন্দ্রজয়ন্তীর মেলা বেশি দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন তাহলে। পরবর্তীতে অবশ্যই এই মেলায় আমি উপস্থিত হবো। সেখানে গিয়ে আপনারা বিভিন্ন মসলা দিয়ে তৈরি ঝাল মুড়ি খেয়েছিলেন এটা খুব স্বাদ ছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আপনারা যে টি-শার্ট কিনতে চাচ্ছিলেন সেগুলো সবটাই রবীন্দ্রনাথের ছবি আর্ট করা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। এছাড়াও মেলাটি খুব দারুণভাবে উপভোগ করেছেন। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
রবীন্দ্র জয়ন্তী মেলার প্রথম পর্ব আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন। সে পর্ব আমি দেখেছি দেখে খুবই ভালো লেগেছে ঠিক তেমনি আজকের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। আর আপনার এই পোষ্টের মধ্যে দেখার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু ধারণা পেয়ে গেলাম। অসাধারণভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনার সাথে উপস্থাপন করেছেন বিস্তারিত বিষয়। সুন্দর এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সুবর্ণজয়ন্তী মেলাতে আপনি বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। বিশেষ করে গরম ,গরম ডালের বড়া দেখে লোভ সামলিয়ে রাখা মুশকিল ছিল। এই ধরনের মেলাতে এই আইটেম গুলো বেশ লক্ষ্য করা যায় । যাই হোক অনেক সাজে গুছিয়ে আমাদের মাঝে পোস্টটা শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা ইতোমধ্যে রবীন্দ্র জয়ন্তীর মেলার প্রথম পর্ব বেশ কয়েকদিন আগে দেখতে পেরেছি। আজকে আপনি রবীন্দ্র জয়ন্তীর মেলার দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দ্বিতীয় পর্বের মধ্যে আপনি রবীন্দ্র জয়ন্তীর মেলার মধ্যকার বেশ কয়েকটি খাবারের দোকানের মধ্যে ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া করার অনুভুতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
রবীন্দ্র জয়ন্তী মেলা থেকে ধারণ করা আপনার সুন্দর এই ফটোগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। যেখানে মেলা ভ্রমন করতে গিয়ে অনেক খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে মেলা ভ্রমন করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে মাঝেমধ্যে ওয়াজ মাহফিলের মেলায় উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়।
রবীন্দ্রনাথ জয়ন্তীর মেলাতে গিয়ে এত ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন দেখেই তো অনেক ভালো লাগলো। মেলায় গিয়ে সময় কাটাতে এমনিতেই খুব ভালো লাগে। আর মেলায় গেলে এই ধরনের খাবার গুলো না খেলে তো একেবারে ভালোই লাগে না। ঝাল মুড়ি, পাপড়, বড়া এগুলোতো খাওয়াই লাগে। তবে মেলাতে গেলে আমি তো সব সময় আচারটা বেশি খাই। যাই হোক আপনি মেলায় ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি অনেক খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন এবং অনেক সুন্দর করে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।