শখের ফটোগ্রাফি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি মোটামুটি ভালো আছি। দিনগুলো মোটামুটি কেটে যাচ্ছে। কোন কিছুই থেমে নেই তবে কোথাও যেন কিছু একটা স্থবির কিছু একটা অপূর্ণ রয়েছে। আমি জানি সেটা কী আবার হয়তো জানি না। যাইহোক এসব বাদ দেয়। প্রাকৃতিক দৃশ্য আমার খুবই পছন্দের। প্রকৃতি সবসময় আমাকে আনন্দ এবং স্বস্তি দিয়ে থাকে। যাইহোক এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার করা কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি। আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
- এটা হলো শাহবাগ। ঢাকা শহরের মধ্যে শাহবাগ জায়গা খুবই পরিচিত এবং খুবই জনপ্রিয়। কাছেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ এবং জাতীয় জাদুঘর। তখন একেবারে সন্ধ্যা। আমি শাহবাগের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। বেশ দারুণ লাগছিল। তখন ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম আমি।
- এই ফটোগ্রাফি টা করা নীলক্ষেতের পাশের একটা রাস্তা থেকে। তখনও সন্ধ্যা পুরোপুরি হয় নাই। তবে স্ট্রিট ল্যাম্প জ্বলছে। বেশ দারুণ লাগছিল পরিবেশ টা। চারিদিকে চমৎকার একটা আবওহাওয়া ছিল। ঐসময় আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। বেশ চমৎকার একটা ওয়েদার ছিল হালকা মেঘলা এবং হালকা সন্ধ্যা।
- শনিবার বেশ কিছুটা সময় পেয়েছিলাম। সেই সময়ে চলে গিয়েছিলাম নীলক্ষেত কিছু বই কিনতে। বই কেনার জন্য নীলক্ষেত সেরা জায়গা বলা চলে। এখানে অর্ধেক দামে আপনি বই পাবেন। একটা দোকানে শুধু ছিল উপন্যাস এবং গল্প। ওখানে দাঁড়িয়ে আমি বইগুলো দেখছিলাম। ঐসময় এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম আমি।
- এই ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট এর পাশে পলাশী মোড় থেকে। রিক্সায় বসে ছিলাম আমি। রাস্তার দুই পাশে গাছ এবং পুরো সবুজ। দেখে বেশ অসাধারণ লাগছিল পরিবেশ টা। ঐসময় ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম। ঢাকার মধ্যে এমন সবুজ দেখে বেশ ভালো লাগছিল।
- এই ফটোগ্রাফি টা গত বছরের। এটা ধারণ করেছিলাম আমার এলাকা থেকে। তখন চলছিল শরৎকাল। আকাশ ছিল পুরো পরিষ্কার। নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘ টা যেন ভেসে বেড়াচ্ছিল। এবং পাশে সবুজ গাছপালা। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটা পরিবেশ ছিল। ঐসময় আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা দুই বছর আগে। একদিন বিকেলে আমি এবং আমার বন্ধু মেহেদী মাঠে বসে ছিলাম। ঐসময় এই চমৎকার ওয়েদার টা আমার নজরে আসে। কী সুন্দর প্রকৃতি টা। এবং এই ফটোগ্রাফি টা দেখলেই আমার জীবনানন্দ দাসের ঘোড়া কবিতার কথা মনে পড়ে যায়।
- এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করা আমি এখন যে ইন্ডাস্ট্রি তে কর্মরত আছি সেখান থেকে। কোয়ার্টার থেকে আমি অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন একটা মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ ছিল চারিদিকে। বেশ অসাধারণ লাগছিল দেখে। ঐসময় আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
----- | ----- |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | Redmi12 |
সময় | জুন,২০২৪ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
আজ আপনি আমাদের সাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। দারুন ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন আপনি। বিশেষ করে রেললাইনের ফটোগ্রাফিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। পোষ্টের শেষে দুইটা ছবি সম্ভবত ভুলে দিয়ে দিয়েছেন।আশা করি ঠিক করে নিবেন।
শখের ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় বেশি সুন্দরী হয়। কেননা আমরা সবাই আমাদের শখের জিনিসটাকে একটু বেশি ভালোবাসি। আপনি আজকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে প্রথম থেকে ৫ নাম্বার ফটোগ্রাফি টা একটু ঝাপসা হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে সত্যি অনেক মুগ্ধ হয়েছি। সবগুলো ফটোগ্রাফি আপনি সুন্দর ভাবেই করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি যে দেখবে তার কাছেই ভালো লাগবে। এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো করতে এবং দেখতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। ট্রেনের এরকম রাস্তাগুলো কিন্তু আমার অনেক বেশি পছন্দের। রাস্তাটার ফটোগ্রাফি কিন্তু বেশি দারুন ছিল। অন্য ফটোগ্রাফি গুলো ও ভালো লেগেছে। বই দোকান থেকে তোলা বইয়ের ফটোগ্রাফি গুলো আরো বেশি ভালো লাগলো দেখে।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। আসলে ভাইয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এর তুলনা হয়। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।প্রতিটি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ওয়াও এলোমেলোভাবে অনেক সুন্দর করে আপনি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যেগুলো দেখতে কিন্তু খুব ভালোই লাগতেছে। আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে বিশেষ করে। ট্রেনের রাস্তার ফটোগ্রাফি টা একটু বেশি সুন্দর ছিল। এরকম সুন্দর ট্রেনের রাস্তায় কিন্তু হাঁটতে অনেক বেশি ভালোই লাগবে। এলোমেলো এত সুন্দর সব ফটোগ্রাফি করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ। আশা করছি সব সময় সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবেন।
অপূর্ণতা থেকে ই আবার শুরু করতে হয়।পৃথিবীর নিয়মটাই এমন।আপনি আজ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার এলাকার ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় ই দারুন লাগে।সবুজ প্রকৃতি,সুন্দর নির্মল আকাশ মনকে সজীবতায় ভরিয়ে দেয়। ঢাকাতে তো ছেলেবেলা থেকেই আছি।তাই গ্রামীণ সৌন্দর্য খুব বেশী মনকে টানে সব সময়।আপনার আজকের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনার জবের জায়গাটা ও দেখা হয়ে গেলো।অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
পুরো ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে দারুণ লেগেছে, ফটোগ্রাফি গুলো আলাদা আলাদা সৌন্দর্য নিয়ে ফুটিয়ে তুলেছো। তাছাড়া প্রতিটা ফটোগ্রাফি একদম স্বচ্ছ ভাবে উপস্থাপন করেছো যার কারণে বেশি ভালো লেগেছে। যাই হোক তোমার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে দেখছি বেশ কিছু পুরনো ফটোগ্রাফি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ধারণ করা বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দিয়ে দারুন একটি উপস্থাপনা করেছেন আপনি। শাহবাগ নামক জায়গাটি বেশ ভালো লাগলো দেখতে। যদিও আমি পুরোপুরি অপরিচিত জায়গাটির সাথে। পলাশী মোড় থেকে তোলা ফটোগ্রাফি দুটোও ভালো লাগছে দেখতে।