প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি। মোটামুটি গ্রামের দিকে বেশ ভালো শীত পড়ছে। অর্থাৎ একেবারে তীব্র শীত না কিন্তু অনুভব করার মতো। ইদানিং মোটামুটি সকালে উঠি তো সেজন্য বুঝতে পারি। তবে কীনা সেই ঘন কুয়াশার দেখা নেই। ঘন কুয়াশা না থাকলে যেন শীতটা অনূভূত হয় না। আজকে আপনাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি। আমি সবসময় প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। প্রকৃতি আমাকে সবসময়ই তার রুপ বৈচিত্র্য দিয়ে মুগ্ধ করে। সেজন্য আমিও তাদের দৃশ্যগুলো ক্যামেরা বন্দী করতে ভুল করি না হা হা।
- বাংলাদেশে শীত আসলেই শুরু হয়ে যায় ব্যাডমিন্টন খেলা। আমাদের দিকেও এইরকম রাতে ব্যাডমিন্টন খেলা হয়। আমিও ইদানিং প্রতিদিন রাতে ব্যাডমিন্টন খেলতে যায়। এটাতে যেমন শরীর চর্চা হয় একইভাবে শীতের সময়ে শরীর টাও গরম হয়। আমার সঙ্গে অন্য যারা খেলে প্রায় সবাই আমার বড়। কয়েকদিন আগে রাতে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় আমি ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছিলাম। আর হ্যা আমরা কিন্তু সরাসরি বৈদ্যুতিক লাইন থেকে লাইন নিয়ে খেলি না।
- গ্রামের রাস্তা ছায়া শীতল পরিবেশ আমার সবসময়ই অনেক ভালো লাগে। যদিও গ্রামের রাস্তা অনেক ভাঙা থাকে। কিন্তু ছায়াঘেরা গ্রামের রাস্তা এবং বাঁক এর মধ্যে আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। কিছুদিন আগে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন বের হয়েছিলাম ঘুরতে। ঐসময়ে চলন্ত অবস্থায় বাইকের পেছন থেকে আমি ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছিলাম।
- আমি সবসময় একটা কথা বলি। প্রকৃতি হলো ভয়ংকর সুন্দর। এই ছবিটি তার একটা উদাহরণ। এই ছবিটার মধ্যে বিশেষ কিছু আছে সেজন্য আমার মধ্যে অজানা একটা ভয় কাজ করে কিন্তু ছবিটা অসাধারণ লাগে। কিছুদিন পূর্বে সন্ধ্যার সময় আমি পড়াতে যাচ্ছিলাম হেঁটে। তখন বেশ মেঘ ছিল আকাশে। সন্ধ্যার আকাশ কালো হয়ে গিয়েছে। তার নিচে তালগাছ অসাধারণ একটা ফ্রেম মনে হয়েছিল আমার কাছে। আমি আর দেরি করিনি। পকেট থেকে ফোন বের করে ফটোগ্রাফি করে ফেলি।
- ঐ সময়টাই ঘূর্ণিঝড় মিধিলার কারণে নিম্নচাপ চলছিল আমাদের এলাকায়। বৃষ্টি না হলেও কয়েকদিন আকাশ টা একেবারে মেঘলা ছিল। তো বিকেলে কিছু করার ছিল না আমার। আমি আমার বাড়ির পাশে মাঠে হাঁটতে গিয়েছিলাম। আকাশে হালকা মেঘ সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস শরীরে একটা শিহরণ সৃষ্টি করছিল। ঐ সময় আমি এই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছিলাম। মাঠের ফসলও কাটা শেষ হয়ে গিয়েছেন। সেজন্য বেশ অনেক টা সময় কাটিয়ে এসেছিলাম এইরকম ওয়েদারে।
- এটা আমার অনেক পছন্দের একটা জায়গা। তখন একেবারে তপ্ত দুপুর। সাধারণত শ্রাবণ মাস ছাড়া আকাশের এইরকম ওয়েদার দেখাই যায় না। কিন্তু ঐসময়ে নীল আকাশ টা অসাধারণ লাগছিল। দেখেই আমি অবাক হয়ে যায়।বেশ দারুণ লাগছে কিন্তু ছবিটা। এইরকম সুন্দর নীল পরিষ্কার আকাশ আমার অনেক পছন্দের। এইরকম ওয়েদার পেলে আমি ফটোগ্রাফি করতে মিস করিনা।
- এটা আমাদের কুমারখালী সরকারি কলেজের পাশের রাস্তা এবং পুকুর। যদিও ছবিটিতে আমি রাস্তা টা নিয়ে আসিনি। এই রাস্তা দিয়েই আমি এখন প্রতিদিন পড়াতে যায় হেঁটে। সেদিনও তাই যাচ্ছিলাম। তবে সেদিনের ওয়েদার টাই ছিল চমৎকার পরিষ্কার। এবং সবুজ গাছ ও পুকুর দেখেই আমার বেশ ভালো লাগছিল। হালকা বাতাসও হচ্ছিল। সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি করে ফেলি।
- এই জিনিসটা কী জানেন। ঢাকাতে এটা অনেক জনপ্রিয়। এটা হলো ভর্তা। অনেক ফল এর ভর্তা। টক টক ঝাল এটা বেশ মুখরোচক। তবে আমাদের কুষ্টিয়াতেও পাওয়া যায় জানতাম না। কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া গিয়ে দেখি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে একজন বিক্রি করছে। আমার আবার এগুলো অনেক পছন্দের। তো আমি টেস্ট করে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতি বাটি বা কাপ ২০ টাকা করে। এটাকে আমি অনেক ভালো বলব না তবে খারাপও না। শুধুমাত্র মিষ্টি টা একটু বেশি ছিল অতিরিক্ত চিনি দেওয়ার কারণে। বাকি সবকিছু ঠিক ছিল। কী এটা দেখে আপনার লোভ লাগছে নাকী হা হা হা।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | নভেম্বর ,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
আসলেই ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন প্রকৃতির সব সময় তার রূপ চিত্র দিয়ে আমাদেরকে মুগ্ধ করে। প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি সবসময়ই আমি অনেক বেশি পছন্দ করি আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো হয়েছে এবং খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রাকৃতিক দৃশ্যের খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলা আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমার ও ভীষণ পছন্দ। আপনি আজ বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে। গ্রামীন এই পথগুলো ভাঙা হলেও বেশ ভালো লাগে।বাইরের খাবার না খেলে ও এই বিভিন্ন ফলের ভর্তা একদিন নিউ মার্কেটে গিয়ে খেয়েছিলাম।ভীষণ মজা লেগেছিল আমার।আপনার ফটোগ্রাফি দেখে এখনো জিভে জল চলে এলো।😂
আপনি একদম সত্য কথা বলেছেন সকালবেলা ঘন কুয়াশা না থাকলে শীতটাকে উপভোগ করা যায় না। সেটাকে যারা খুব কাছ থেকে উপভোগ করে তারা হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ গ্রাম গঞ্জে মোটামুটি এখন ভালোই শীত পড়ে গিয়েছে, আর খুব ভোরে যারা ঘুম থেকে ওঠে তারা এটা দেখতে পারে। দারুন কিছু প্রকৃতির দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। গ্রামগঞ্জ মানেই প্রাকৃতিক দৃশ্যের সমাহার। হেমন্তের সকাল বা বিকেলে বেশ ভালো লাগে, প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে।কুমারখালী সরকারি কলেজের পুকুরের ছবিটি সবচেয়ে ভালো লেগেছে। ছবি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। গ্ৰামের এই দৃশ্য গুলো দেখলে মন ভরে যায়। সব ফটোগ্রাফিই অসাধারণ হয়েছে কিন্তু সবশেষে ভর্তার ফটোগ্রাফি দিয়ে লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন। আমার দেখেই জিভে জল চলে আসলো। এই ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃতির মাঝ থেকে আজকে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর সুন্দর এই ফটোগ্রাফি গুলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল চমৎকার।
খুব সুন্দর প্রকৃতির বর্ননা ও ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া।সকালে ব্যাডমিন্টন সন্ধ্যা ক ব্যাডমিন্টন খুব জনপ্রিয়তা পায়।শীতল রাস্তা, আকাশ গাছ প্রকৃতি সব মিলিয়ে খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনি।সর্বশেষ নানান ফলের ভর্তার ফটোগ্রাফি দিয়ে আমাদের সবার জিভে জল এনেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠ চত্বরে এই মজাদার ভর্তা পাওয়া যায় আসলে আমারও জানা ছিল না আপনার পোস্টের মাধ্যমে আজই জানতে পারলাম।
ঢাকা থেকে এই ধরনের খাবার বেশ খেয়েছি কিন্তু কুষ্টিয়াতে আসার পরে আর খাওয়া হয় না।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল ভাইয়া বিশেষ করে ব্যাডমিন্টন খেলার দৃশ্য দেখে খুব আফসোস হচ্ছে এ বছরে এখনো খেলতে পারিনি।