ঐতিহাসিক ১৭ ই মার্চ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আজ ১৭ ই মার্চ। এই দিনটা বাংলাদেশের মানুষের কাছে অন্য একটা দিবস হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আমি বলছি অন্য একটা কথা নিয়ে। আমার আলোচনার বিষয় সেটা না। আজ থেকে চার বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উপর তারপর সাধারণ মানুষের উপর নেমে আসে একটা দূর্যোগ একটা ভয়াবহতা। শুধু বাংলাদেশের মানুষের উপর না পুরো পৃথিবীর উপর নেমে এসেছিল সেই পরিস্থিতি। প্রথম থেকেই বলি। ১৬ ই মার্চ ছিল সোমবার। আমি তখন দ্বিতীয় সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী। বেশ ভালোই যাচ্ছিল আমার দিনগুলো। তো মোটামুটি ভালোভাবে ১৬ ই মার্চ ক্লাস করে বাড়ি ফিরলাম। ততদিনে বাংলাদেশে করোনার একটা প্রকোপ শুরু হয়ে গেছে। যেটা নিউজে দেখছিলাম আমরা। তো ১৬ ই মার্চ ক্লাস শেষ করে বাড়িতে আসার পরেই একটা নিউজ পাই আমি। যে করোনা প্রকোপ এর জন্য পুরো বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ১৫ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।
সেদিন নিউজটা দেখে আমি বেশ খুশি হয়েছিলাম। শুধু আমি না বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থী হয়তো খুশি হয়েছিল। কিন্তু তার পরের ভয়াবহতা আমরা একটুও বুঝতে পারিনি। যথারীতি ঐ ১৫ দিন ছুটি শেষ হওয়ার পরে ঐ ছুটি আরও বৃদ্ধি করা হলো। তখন শুধু সেটা আর শিক্ষার্থীদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনি। সাধারণ মানুষকেও ছুটি দেওয়া হয় কর্মস্থল থেকে শুরু হয় লকডাউন। একটা ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে পুরো পৃথিবীর মানুষের উপর। যেটা এখনো মনে পড়লে হৃদয় কম্পিত হয়। যতই দিন যাচ্ছিল করোনার প্রকোপ ভয়াবহতা যেন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। চারিদিকে অসংখ্য লোক করোনা আক্রান্ত হচ্ছিল শুরু হয় মৃত্যুর মিছিল। এমনও একটা সময় গিয়েছে বাড়ি থেকে অনেকদিন বের হয়নি।
তারপরের ঘটনা কিন্তু আমাদের সবারই জানা। তারপর পুরো এক থেকে দেড় বছর একটা ভয়াবহতা একটা অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিয়ে কেটেছে আমাদের দিনগুলো। সত্যি বলতে হয়তো আমাদের মধ্যে কেউই এইরকম দূর্যোগ আর দেখেনি?? প্রতিটা দিন যেন একটা আতঙ্ক নিয়ে কাটাচ্ছিলাম। সবসময় একটা ভয় কাজ করত। মোটামুটি সেই দিনগুলো কেটে গিয়েছে। এখন আবার স্বাভাবিকভাবে আমরা চলাফেরা শুরু করেছি আমাদের জীবন এখন স্বাভাবিক। এই ১৭ মার্চ শুরু হয়েছিল আমাদের সেই লকডাউন জীবন। আমাদের অর্থাৎ মানুষের একটা বাজে দিক হলো আমরা আমাদের খারাপ সময় বা খারাপ মূহূর্ত মনে রাখতে চাই না। এই ব্যাপার টা আমার আপনার সবার মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু ঐ খারাপ দিনগুলো যদি আমরা স্মরণে রাখি যদি আমরা মনে করি তাহলে হয়তো আমরা অনেক কিছু হতেই বিরত থাকতে পারি।
আমরা সবাই জানি ঐ করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছিল চীন থেকে। বলা হয় চীন নাকী ইচ্ছা করে এইরকম একটা ভাইরাস পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে যায়। আমি ঐসব কথায় যাব না। তবে যে দূর্যোগ যে মহামারী এসে থাকুক সেটা ছিল কিন্তু আমাদের কর্মের ফল। প্রকৃতির একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। যেটা অনুসরণ করে আমাদের চলা উচিত। কিন্তু আমরা মানুষ হয়তো সেসব কিন্তু অতিক্রম করে গিয়েছিলাম। সেই সব কিছুর কোন পরোয়া করতাম না। নিজেদের খেয়াল খুশি মতো প্রকৃতি কি নিয়ন্ত্রণ করতাম। করোনার ঐ কয়েক মাস মানুষ ঘরবন্দি থাকায় পরিবেশ দূষণ কমে গিয়েছিল। বায়ু দূষণ কমে গিয়েছিল। প্রকৃতি আবার সেজে উঠেছিল নতুন রুপে। আজ হঠাৎ ঐ দিনটার কথা মনে পড়লো। ঐদিন কলেজ বন্ধ হওয়ার নিউজ দেখে খুশিতে আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম আজ সেটা আমার নজরে চলে আসলো। এইজন্যই মনে পড়ে গেল।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ভাই আপনার মত আমিও এমন দুর্যোগ আগে কখনো দেখিনি। এই যে করোনা ভাইরাস এটা যে কত বড় একটা মহামারী ছিল এটা যারা ফেস করেছে তারাই শুধুমাত্র বলতে পারবে। যাইহোক আপনার পোস্টটা পড়ে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন।
সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে ভয়াবহতার মুহূর্তগুলো স্মৃতি এখনো ভেসে উঠলে ভয় লাগে। কারণ শহরে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বেশি দেখা দিয়েছিল। গ্রামের মধ্যে সবাই আতঙ্কে ছিল কেউ ঘর থেকে তেমন একটা বের হতো না। নিজের গ্রামের মানুষ লকডাউন হিসেবে বাঁশবেধে পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতাম সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় আমরা মাঠের দিকে চলে যেতাম তাছাড়া কিছু উপায় ছিল না। আসলেই ঐতিহাসিক দিন ভালো লাগলো সেই দিনকে স্মরণ করে।
আসলেই ভাই। মানুষ এমন খারাপ দিন গুলো মনে রাখতে চায় না। তবে এইসব দিন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা যদি মানুষ মনে রাখতো এবং সে অনুযায়ী কাজ করতো, তবে পৃথিবীটা আরও অনেক বেশি সুন্দর হতো!! আর কী ভয়াবহ দিন কাটিয়েছি আমরা সেই সময়টায়। কত কত দু:শ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা নিয়ে একেকটা দিন শুরু হতো সকলের!! সেই ছুটিই যেন অসহ্য হয়ে গিয়েছিলো, যদিও জানতাম সেই ছুটি আমাদের সকলেরই মঙ্গলের জন্যই! এক মুহূর্তে অনেক কিছুই মনে পড়লো।
দিনটি আসলেই বেশ স্মরণীয় আমাদের জন্য। করোনা এসে আমাদের সবকিছু উলটপালট করে দিয়েছে। করোনা এসে প্রথমে তো ১৫ দিন ছুটি দিয়েছে। তারপর একটা সময় আমরা যেন ভুলে গেলাম স্কুল কি জিনিস বই কি জিনিস, আস্তে আস্তে আমরা শিক্ষা থেকে দূরে সরতে লাগলাম।লকডাউন যেন পুরান দেশে বয়ে গেল বন্যা। প্রতিটা গ্রামাঞ্চলে লকডাউন দেয়া হলো এক এলাকার লোক আরেক এলাকায় যেতে পারবেনা। ১৭ ই মার্চ আমাদের অতীতের কথা মনে করিয়ে দেয়। ঠিক কথা বলেছেন, প্রকৃতি আবার সেজে উঠেছিল নতুন রূপে কারণ বায়ু দূষণক্রমে যাওয়ার ফলে। মানুষ খুব একটা বাইরে বের হচ্ছিল না।
ওহ হ্যা ভাই আপনি অনেক সুন্দর কথা তুলে ধরেছেন ৷ আমিও প্রথমে ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু নিয়ে ভাবছি পরে দেখি না ৷ হিহিহি
যা হোক এটা ঠিক করনোর আগে ১৭ই মার্চ পর প্রায় অনেকদিন স্কুল বন্ধু ছিল ৷ কি একটা অবস্থা ৷ যা হোক অনেক ভালো লিখেছেন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন ৷