শিক্ষাই শক্তি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
স্যোসাল মিডিয়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েট করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে এমন মানুষ সংখ্যা বাংলাদেশে অনেক রয়েছে। কনটেন্ট বলতে আমি কিন্তু ফ্রীল্যান্সারদের এর বাইরে রেখেছি। আমি এখানে ফুড ব্লগিং, ট্রাভেল ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল এগুলো উদ্দেশ্য করে বলেছি। তো এদের এই খাবার খেয়ে রিভিউ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলেছে। প্রশ্নটা এমন যদি এসব করেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে লেখাপড়া করে লাভ কী? আমি এই ধরনের বেশ কয়েকটা আর্টিকেল পড়েছি। যেখানে দেখা গেছে বতর্মান জেনারেশনের অনেকেই এই কনটেন্ট ক্রিয়েটের দিকে যাচ্ছে লেখাপড়া বাদ দিয়ে। তাদের ধারণা লেখাপড়া করলে তো ঐ ২০-২৫ হাজার টাকার চাকরি করা লাগবে কিন্তু এগুলো করলে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিশেষ করে এই ধারণা টার প্রবণতা বেশি আছে আমাদের মতো ছেলেদের মধ্যে বেশি।
এখানে তারা শুধু টাকা পয়সা ইনকামের ভিওি করে শিক্ষার উপরে স্থান দিয়ে দিচ্ছে এসব সস্তা কনটেন্ট ক্রিয়েট বা ভ্লগিং কে। আজ আমি এটাই বলব লেখাপড়ার জোর অর্থাৎ বিদ্যার আসল শক্তি টা যে কী সেটা নিয়ে কথা বলব। রাফসান দ্যা ছোট ভাইকে চেনেন না এমন মানুষ হয়তো এখানে নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশী রা। বতর্মানে দেশের টপ রেটেড একজন ফুড ব্লগার সে। তার ইউটিউব ফেসবুকে মিলিয়ন মিলিয়ন ফলোয়ার। মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম। বলতে গেলে একশ্রেণির কিশোরদের আইডল সে। কিছুদিন আগে সে তার বাবা মা কে ২ কোটি টাকার একটা গাড়ি গিফট করেছিল। তখন বাংলাদেশের সমস্ত নিউজ চ্যানেল বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে প্রচার হয়ে গেল গর্বিত বাবার ছেলে রাফসান দা ছোট ভাই। সবাই তো অনেক প্রশংসা করতে থাকল।
এভাবে কিছুদিন গেল। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ ছাএ তার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেয় রাফসান দ্যা ছোট ভাইকে নিয়ে। ছেলেটা একেবারে সাধারণ কোন বড় মাপের ব্লগার না বা সাংবাদিক না। সেখানে সে রাফসান এর বাবা মায়ের ঋণখেলাপি এর বিষয়টি তুলে ধরে। অর্থাৎ তারা কোন ব্যাংকের কয়েক কোটি টাকা ঋণখেলাপি করেছে। রাতারাতি শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। এক রাতের মধ্যে বদলে যায় সমস্ত প্রেক্ষাপট। বদলে যায় সমস্ত ঘটনা প্রবাহ। গর্বিত বাবার ছেলে রাফসান হয়ে যায় ঋণখেলাপি বাবার ছেলে। পরবর্তীতে অবশ্য উনি স্যোসাল মিডিয়ায় এসে ব্যাপার টা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু না হয়নিনি। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে রাফসান দ্যা ছোট ভাইকে আর কোন কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে দেখা যায় নি।
এমন অবস্থা তার কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ার এখন হুমকির মুখে। এমনটা হয়েছে শুধুমাত্র ঐ ছেলেটার একটা স্ট্যাটাস থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া একটা সাধারণ ছেলের একটা স্ট্যাটাস আজ পুরো এলোমেলো করে দিয়েছে ব্লগার রাফসান দ্যা ছো ভাইকে। এটাই হলো আসল শিক্ষার ক্ষমতা। পৃথিবীতে অনেক প্রকার শক্তি আছে কিন্তু শিক্ষা অর্থাৎ বিদ্যার চেয়ে বড় কোন শক্তি নেই। লেখাপড়া আমাদের মৌলিক অধিকার এটা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ শিক্ষা অর্জন করলেই যে আমাদের চাকরি করতে হবে ব্যাপার টা এমন না। এর পরিবর্তে আমরা ব্যবসা করতে পারি, পছন্দ মতো পেশা বাছাই করে নিতে পারি। কিন্তু শিক্ষা আমাদের অর্জন করাই লাগবে। এর কোন বিকল্প নেই।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা ঠিক আজকাল সবাই ব্লগিং করার দিকে ঝুকে পরেছে।রাফসান দ্যা ছোট ভাই উনি ও তো লেখাপড়া ছেড়ে ব্লগিং করছিলেন।যাই হোক সাধারন একজন ছাত্রের এই স্ট্যাটাসে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে সত্যি অবাক হওয়ার বিষয়। লেখাপড়ার দাম আছে।আর থাকবেও।লেখাপড়া দিয়ে অনেক কিছুই করা যায়। যে যাই করুক শিক্ষাই শক্তি দিনশেষে।