বৃষ্টির দিনের স্মৃতি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ছোটবেলার স্মৃতি ছোটবেলার মূহূর্তগুলো কখনোই ভোলা যায় না। সারাজীবন যেন সেগুলো মনে গেথে থাকে। আজ কদিন খুব করে ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে। মনে পড়ছে ছোটবেলার সেই বৃষ্টির দিনের মূহূর্তগুলো। বাইরে ঝুম বৃষ্টি অথচ এই বৃষ্টি টা আমি উপভোগ করতে পারছি না। আমি অফিসে বসে রয়েছি। যদিও আমার একটু খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছু করার নেই। যাইহোক আমি আমার ছোটবেলার বৃষ্টির দিনের কিছু মূহূর্ত কিছু অনূভুতি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। ছোটবেলা থেকেই গ্রামে থেকেই। গ্রামের পরিবেশ পরিস্থিতি সবকিছুই আমার অবগত। তবে আসল আনন্দ টা হতো বর্ষাকালে। বর্ষাকাল শুরু হতো আষাঢ় মাসের শুরু থেকে।
আমি দেখেছি এইসময় সবাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখত কারণ সবাই জানত আষাঢ় মাসে সারাদিন বৃষ্টি হবে রোদ উঠবে না। সারাদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি কখনো বা মূষলধারে বৃষ্টি। এ যেন অন্যতম এক অনূভুতি। বৃষ্টির দিনে আমার প্রথম চিন্তা থাকত স্কুলে না যাওয়া। আর বৃষ্টির দিনে স্কুলে না গেলে বাড়ি থেকেও খুব বেশি কিছু বলত না। একটা স্কুল টাইম অতিবাহিত হলেই বেরিয়ে পড়তামতাম। আমার এলাকার কয়েকজন বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করতাম কী করা যায়। আমার একটা ক্যারামবোর্ড ছিল। সেটা এখনও আছে। বৃষ্টির দিনে সবাই মিলে আমার ঘরে ক্যারামবোর্ড খেলতাম। এ যেন অসাধারণ এক অনূভুতি। আবার কখনও কখনও খাতা কলমে চোর পুলিশ লুডু এসবও খেলেছি।
এরপর যখন আরেকটু বড় হলাম তখন বৃষ্টি হলেই এলাকার সব বন্ধুরা ফুটবল নিয়ে চলে যেতাম মাঠে। এই দিন যেন কোন বাঁধা নেই কোন নিয়ম নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা জুড়ে খেলতাম যতক্ষণ না মন পরিপূর্ণ হচ্ছে ততক্ষণ মাঠ থেকে আমরা উঠতাম না। ফুটবল খেলা শেষ হলে সবাই মিলে চলে যেতাম পুকুরে গোসল করতে। বৃষ্টির সময়ে কিছু পুকুরের পানি কিছুটা গরম থাকে। আরেকটা সুন্দর এবং চমৎকার অনূভুতি হচ্ছে বৃষ্টির মধ্যে শুয়ে শুয়ে টিনের চালে বৃষ্টির পড়ার শব্দ শোনা। পৃথিবীর সবচাইতে চমৎকার একটা অনূভুতি হচ্ছে এইটা। টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ পৃথিবীর সেরা মিউজিক আমার কাছে। বর্ষাকালে একভাবে বৃষ্টির জন্য যখন চারিদিকে শুধু পানি আর পানি আমার বাড়ির পাশের মাঠগুলো পানিতে থৈ থৈ করছে।
ঐসময় ঐ পানিতে অনেক মাছ পাওয়া যেত। অন্য সবার মতো আমিও বরশি নিয়ে মাঠে চলে যেতাম। এমন অনেক সময় গিয়েছে বরশি দিয়ে আমি অনেক মাছ ধরেছি। এই অনূভুতি গ্রামের ছেলেরা খুব ভালোভাবে জানে কিন্তু। তবে এখন আর সেই বর্ষা নেই। নেই সেই আগের দিনগুলো। এখন বৃষ্টির দিনে আর পাঁচটা বন্ধু একসঙ্গে হয়ে আড্ডা দেয় না। এখন সবাই যে যার মতো স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কারেন্ট চলে গেলে ওয়াইফাই না থাকলে মোবাইল ডাটা দিয়ে অনলাইনে থাকে। এরা আর যাইহোক আমাদের সময়ের এই অনূভুতি গুলো আর পাবে না। দিনগুলো মূহূর্তগুলো সবই চলে গিয়েছে কিন্তু স্মৃতিগুলো রয়েছে এবং থাকবে। যখনই আকাশ ভেঙে বর্ষা আসবে তখনই এই অনূভুতি গুলো আমাদের মনে পড়বে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার বৃষ্টির দিনের অনুভূতি গুলো পড়ে আমিও আমার অনুভূতির মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম।কিছুটা মিল পেলাম আপনার সাথে। আমরা ভাই-বোন মিলে বৃষ্টির দিনগুলোতে ক্যারাম,লুডু,চোর-পুলিশ খেলতাম।আর আমার ভাই দুজন ফুটবল নিয়ে ফ্রেন্ডদের সাথে খেলা করতো।সবকিছু কাঁদা মাখিয়ে আম্মুর বকুনি খেতো।সেই দিনগুলো আমাদের ছেলে-মেয়েরা কোনদিন পাবেনা।এরা আছে নানান ডিভাইস নিয়ে।এতেই যেনো তাদের স্বস্তি।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বৃষ্টির দিনে হাজারো স্মৃতি রয়েছে আমার। বৃষ্টি যখন আসতো তখন ফুটবল নিয়ে বের হয়ে যেতাম ফুটবল খেলার জন্য। বন্ধুদের নিয়ে পানিতে লাফিয়ে পড়তাম সাঁতার কাটার জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি স্মৃতিময় পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলার বৃষ্টি ভেজা দিনের স্মৃতিচারণ কদিন ধরে আমারও মনে ভীষণ হচ্ছে। তবে মন খারাপ করবেন না। ছোটবেলা এবং বড় বেলা দুটি দুই অধ্যায়। চাইলেও এই অধ্যায়গুলোর পরিবর্তন আনা আর সম্ভব নয়। এখন অফিসে কাজের ফাঁকেই বৃষ্টিকে উপভোগ করতে হবে দেখে দেখে।