ঈদ সালামি দিয়ে বই কেনা ( প্রথম পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইদানিং সেরকম কাজ নেই। এই গরমে বাইরে বের হতেও খুব একটা ইচ্ছা করে না। বই পড়ার একটা অভ্যাস মোটামুটি গড়ে উঠেছে। ঐদিকে আমার অবস্থা টা এমন ই-বুক বা পিডিএফ পড়তেও ভালো লাগে না। এইজন্যই সিদ্ধান্ত নেওয়া কিছু বই কিনব। মোটামুটি সংগ্রহে যা ছিল সবগুলো বই পড়া শেষ। এখন বই কেনা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। মূলত আমার এই বইপড়া অভ্যাস টার সূচনা হয় আমার চাচাতো ভাই রোহানের থেকে। রোহান ভাইয়া প্রতি মাসেই বই কিনে থাকে। সেটার পরিমাণ একেবারে কম না। আমি বেকার বলতে পারেন। তবে এবার ঈদে যখনই দাদার সালামি পেয়েছিলাম পাশাপাশি ছিল গিভওয়ে থেকে পাওয়া কিছু স্টিম। এবং নিজের ওয়ালেট থেকেও কিছু স্টিম নিয়ে মোটামুটি হাজার দুই মতো টাকা তুলি।
আমি ফেসবুকে অনেক গুলো বইয়ের পেইজ এর সাথে যুক্ত আছি যারা অনলাইনে বই বিক্রি করে। অনেকেই হয়তো রকমারি থেকে বই কিনেন। তাদের বলব আপনারা বেশ ভুলই করছেন। অন্যান্য অনলাইন শপগুলোর তুলনায় রকমারি দাম অনেক বেশি নেয়। যাইহোক এরমধ্যে আমার পছন্দের একটা পেইজ হলো বইনগর। বইনগর পেজটার একটা দোকানও আছে ঢাকা বাংলাবাজারে। ওখান সরাসরি গেলেও উনারা অনলাইন এর দামেই বই বিক্রি করেন। যাইহোক তারা প্রায়ই দারুণ দারুণ ছাড় দেয় বইয়ের উপরপর। মোটামুটি নিয়মিত তাদের পেইজে নজর রাখতাম। অবশেষে মোটামুটি ভালো একটা ছাড় পেয়ে আমি আমার পছন্দের ৮ টা বই অর্ডার দেয় তাদের কাছে। অর্ডার দিয়ে পেমেন্টও করে দেয়। কারণ ওরা বই কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেয় এক্ষেত্রে অগ্রিম পেমেন্ট করতে হয়।
পেমেন্ট করে দিয়ে সপ্তাহ খানেক কেটে যাওয়ার পরেও কোন ফোন না পেয়ে ওদের সাথে যোগাযোগ করলে ওরা বলে আপনার তিনটা বই আমাদের সংগ্রহে নেই। ওগুলো প্রকাশনী থেকে নিয়ে এসে একেবারে পাঠিয়ে দিব। কী আর করার আবার অপেক্ষা শুরু হয়। এরইমধ্যে আরও একসপ্তাহ কেটে যায়। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে বলে আপনার তিনটা বই তেপান্তর, অ্যাজটেক সভ্যতার নরবলি, নরখাদক এগুলো পাওয়া যাচ্ছে না সেজন্য দেরী হচ্ছে। তাদের কথা শুনে আমি ঐ তিনটা বই বাদ দেয়। এবং তাদের অফারে পূণরায় আরও পাঁচটা বই অর্ডার করি ঐ তিনটা বইয়ের পরিবর্তে। ঐ পাঁচ টার মধ্যে ছিল বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় এর চারটা বই আরণ্যক, আদর্শ হিন্দু হোটেল, চাঁদের পাহাড় এবং পথের পাঁচালি। এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটা দেবদাস।
.
না ঐদিন অর্ডার করা পর আমার আর বেশিদিন অপেক্ষা করে লাগেনি। ঠিক দুইদিন পরে গত বুধবার ১২ টার দিকে আমার কাছে ফোন আসে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস হতে। বলে আপনার একটা বই পার্সেল আছে আমাদের এখান থেকে নিয়ে যাবেন। সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর কুমারখালী শাখা টা আমার বাড়ির থেকে কাছেই। দুপুরের পরে খাওয়া শেষ করে ছাতা নিয়ে বের হয়ে গেলাম। আসল কথা আমি আর ধৈর্য ধরতে পারছিলাম না। গিয়ে খুব দ্রুতই আমার পার্সিল টা পেয়ে যায়। মোটামুটি বেশ ভালোভাবে প্যাকিং করে পাঠিয়েছে তারা। পার্সেল টা নিয়ে বাড়িতে চলে আসি আমি। তারপর আনবক্সিং করার সময়। আজ আর বলব না। আনবক্সিং এর ভিডিও সহ বাকি অংশটা পরের পর্বে আগামীকাল আসবে। একটু অপেক্ষায় থাকেন হা হা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বই পড়ার মজা পিডিএফ পড়ে কখনোই পাওয়া যায় না। আমার প্রচন্ড বিরক্ত লাগে পিডিএফ থেকে কিছু পড়তে। এছাড়া বই পড়লে বিভিন্ন ধরনের বইগুলো সংগ্রহে থাকে। এই ব্যাপারগুলো বেশ ভালো লাগে। ভালো একটা অফার পেয়ে ৮ টা বই অর্ডার দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। সালামি দিয়ে বই কিনেছেন এটা সম্ভবত একবার ডিসকর্ডে শেয়ার করেছিলেন। সেদিন দেখেছিলাম। ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে।
একটা সময় আমারও বই পড়ার অভ্যাস ছিলো বিশেষ করে হুমায়ুন আহমেদ এর বই।পাঠ্য বইয়ের ভিতরে রেখে পড়তাম। যাই হোক রকমারি থেকে আসলেই বই এর দাম বেশি রাখে তবে ভালো লাগলো নতুন একটি বই এর পেইজ পেয়ে।বই পড়ার নেশা ভালো নেশা।ধন্যবাদ
আমরা ঈদে সবাই অনেক সালামি পাই। আমাদের সবারই উচিত সালামির টাকা দিয়ে প্রতিবছর কোন না কোন জিনিস স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়া। পথের পাঁচালী, চাঁদের পাহাড় এই দুটি বই আমি একটু পড়েছি বেশ ভালো লাগছিলো। ঈদ সালামি দিয়ে বই কেনার প্রথম পর্বটি অনেক সুন্দর পরবর্তী পর্বে জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার বই পড়ার অভ্যাস আছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।যদিও বই পড়ার অভ্যাস এক সময় আমারো ছিল কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা হারিয়ে গিয়েছে। যাইহোক আপনি দেরিতে হলেও পছন্দের বই গুলো পেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। যাইহোক পরবর্তীতে ভিডিও দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
বই পড়া ভালো একটি অভ্যাস। জীবনে একটি সময় আমারও খুব বই পড়ার আগ্রহ ছিল। আমি তখন বেকার ছিলাম, বই কিনে পড়ার মতো সামর্থ্য ছিল না। তার জন্য আমি বসে থাকি নি,পরিচিত যারা আছে তাদের কাছে যে বই আছে, সেগুলোই আমি পড়তাম। এখন বই কেনার সামর্থ্য থাকলেও বই পড়ার ইচ্ছাটা আর নেই। আপনার এই ব্লগটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে, আপনি দাদার ঈদ সালামি ও আপনার কিছু জামানো অর্থ দিয়ে বই কিনেছেন। আশা করি আপনার বই পড়ারএই অভ্যাসটি কন্টিনিউ করে যাবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বই পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে।তবে এখন সময় খুব কম পাই।আপনি ঈদ সালাী দিয়ে চমৎকার কিছু বই আনিয়েছেন।বই আমার ও কেনা হয়।তবে অনলাইন থেকে কখন ও বই আনা হয়নি।আমি নীলক্ষেত থেকে বই আনি।আপনি যে পেইজ থেকে বই আনেন তার নামটা দিয়ে ভালো ই করেছেন।যদিও বাংলা বাজার আমার মায়ের বাসা থেকে বেশ কাছেই।তবে বের হওয়া হয়না খুব একটা। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। বই গুলো পড়ে চমৎকার সময় কেটে যাবে আপনার।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
বেশ ভালোই কাজ করলেন আপনি টাকা জমিয়ে বই কিনে নিলেন। ঈদের সালামি এবং গিভওয়ে থেকে পাওয়া টাক স্টিম থেকে টাকা নিয়ে সব মিলিয়ে অনলাইন থেকে বইগুলো নিয়ে নিলেন। বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। হয়তো টাকাগুলো নিয়ে আপনি রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে শেষ করে দিতে পারতেন। অথবা ভালো জামা কাপড় কিনে পরেই শেষ করে দিতে পারতেন। কিন্তু বইগুলো আপনার সারা জীবন উপকারে আসবে। কারণ বই থেকে শিখা জ্ঞান গুলো আপনার জীবনের পরিবর্তন আনতে পারে। অনেক ভালো লেগেছে অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন আপনি।
ফেসবুকে বইনগর পেইজ টার সাথে আমিও কানেকটেড আছি, তবে কখনো ওদের থেকে বই নেয়া হয় নি। আর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অফার তো থাকেই, ঈদের পরেও বিশেষ অফার দিয়ে থাকে এই পেইজ গুলো। আপনি তো দারুণ দারুণ অনেকগুলো বই একসাথে নিজের করে নিয়েছেন ঈদ সালামী আর স্টীম ভাঙিয়ে! আরণ্যক, চাঁদের পাহাড়, আদর্শ হিন্দু হোটেল এইগুলো পড়া আছে আমার। বাকি বইগুলোও বেশ নামকারা বই ই। অসাধারণ লাগলো কালেকশন। বই পড়ার যে অভ্যেস তৈরি হয়েছে, সেটা বজায় থাকুক। শুভকামনা রইলো।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে বই পড়ার মজা পিডিএফ এ কখনোই পাওয়া যায় না৷ আমার পিডিএফ এর বই পড়তে একেবারেই বিরক্ত লাগে। তবে এমনি যে বই রয়েছে সে বইগুলো পড়ার মধ্যে একটি ভালো লাগা কাজ করে৷ আপনি একটি অফার পেয়ে ৮ টি বই অর্ডার করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷