ভিডিওগ্রাফি - পছন্দের জায়গা!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমাদের সবার ভিন্ন ভিন্ন পছন্দ থাকে। এই পছন্দের তালিকায় মানুষ, খাবার, পোষাক, জায়গা অনেক কিছুই থাকে। পছন্দের জিনিসের প্রতি আমাদের গুরুত্ব সর্বদাই আলাদা হয়ে থাকে। আমরা সবসময় সেগুলো কে প্রায়োরিটি দিয়ে থাকি। পছন্দের জায়গা বলতে এমন একটা স্থানকে আমরা বোঝায় যেখানে গিয়ে আমরা নিজের সমস্তু ব্যাথা ভুলে যেতে পারি। একাকিত্ব টা দারুণ ভাবে উপভোগ করতে পারি। আবার কাউকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ হলে সেখানেই সবার আগে নিয়ে যায় । এইরকম পছন্দের জায়গা আমারও রয়েছে। খুব বেশি জায়গাই আমি ঘোরাঘুরি করি ব্যাপার টা এমন না। তবে সময় সুযোগ হলে এই জায়গা টাই আমি চলে যায় বসে থাকি।
জায়গা টার সাথে আমার পরিচয় আজ থেকে ঠিক ১০ বছর আগে। আমি তখন সবেমাএ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পা দিয়েছি। আমার স্কুলের পেছনেই ছিল একটা নদী। এবং এই নদীর পাড়ে সুন্দর একটা জায়গা সময় কাটানোর জন্য। পরবর্তীতে এটাকে একটা ছোট পার্ক রুপান্তর করার চেষ্টা হয়। তারপর থেকে নাম হয় এম এন পার্ক। ঈদের সময় টা এখানে অনেক ভীড় হয়। তবে সাধারণ দিনে খুব একটা মানুষ সেখানে যায় না। বিশেষ করে বর্ষার সময় যখন নদীতে নতুন পানি আসে জায়গা টা অসাধারণ সুন্দর লাগে। এইরকম অনেক বিকেল গেছে এই নদীর পাড়ে বসে থেকে। কত শত স্মৃতি কত শত মূহূর্ত সেটা বলে শেষ করা যাবেনা।
এইবার ঈদে বাড়ি গিয়ে সেরকম কোথাও যাওয়া হয়নি। ঐ ঈদের আগে একটু বাজারের দিকে গিয়েছিলাম কিন্তু ঈদের পরে পুরোটা সময় ছিলাম বাড়িতে। তো একদিন বিকেলে সময় কাটানোর উদ্দেশ্য আমি চলে গিয়েছিলাম আমার সেই প্রিয় জায়গাটাই। সেই নদীর পাড়ে। ঐদিন বিকেল টা ছিল অসাধারণ। মেঘলা ওয়েদার সাথে নদীতে নতুন পানি এবং অনেক মানুষের সমাগম। যদিও জায়গাটাই যখন কোন মানুষ থাকে না তখনই সবচাইতে বেশি ভালো লাগে। অনেক দিন পর ওখানে গিয়ে বেশে ভালো লাগছিল। ঐসময় আমি আমার ফোন টা বের করে একটা ছোট ভিত্তি ধারণ করি। ভিডিও তে নদীর সৌন্দর্য নদীর প্রবাহমান পানি মানুষের সমাগম গাছপালা সহ অনেক কিছু উঠে এসেছে।
মূহূর্ত টা যেন আমি এখনও উপভোগ করতে পারছি। এক কাপ কফি নিয়ে অনেক টা সময় কাটিয়ে দিয়েছিলাম ওখানে বসে। আজ সেই ভিডিওগ্রাফি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব । জায়গা টা আমার এতটা পছন্দের পরবর্তীতে যখনই সময় হবে ছুটে যাব। এখানে গেলে নিজের অনেক হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ফিরে পাওয়া যায়।
----- | ----- |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
ডিভাইস | Redmi12 |
সময় | জুন,২০২৪ |
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক | Faasle |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Who is the fan af Hazrat Muhammad S.A.W🥰💝
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এম এন পার্ক নামটির সাথে জায়গাটি ও অসম্ভব সুন্দর। জায়গাটি সাথে আপনার দশ বছরের সম্পর্ক জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। নদীর ধারের দৃশ্যটি দারুন লাগলো ভাইয়া। সত্যি এমন জায়গায় গেলে এমনিতেই মনের ভেতর শান্তি চলে আসে।
আপনার পছন্দের জায়গাটির ভিডিওগ্রাফি করা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে, আর অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন ,প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আরো ভালো লাগল এটা পড়ে যে এই জায়গাটার সাথে আপনার দশ বছর আগে থেকে পরিচিত, আসলে প্রতিটা মানুষের কোন না কোন একটা পছন্দের জায়গা থাক আপনার পছন্দের জায়গাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
দশ বছর আগে যেই জায়গাটির সাথে পরিচিত হয়েছিলেন আজও সেই জায়গাটি আপনার পছন্দের জেনে খুবই ভালো লাগলো। আর এরকম সুন্দর কোন জায়গা পছন্দ হওয়ারই মত। আপনার শেয়ার করা ভিডিওগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
ভালোলাগার জায়গা গুলো ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে আমার খুবই ভালো লাগে। খুব সুন্দর ভাবে আজকে আপনি আমাদের মাঝে ভিডিও ধারণ করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার ভিডিও ধারণ। বেশ ভালো লাগলো দেখে।
দশ বছর আগের পছন্দের জায়গটি আজ ও আপনার পছন্দের তালিকাতে আছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।জায়গাটির ফটোগ্রাফি গুলোর পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফিটি ও দারুন লেগেছে। জায়গাটি সত্যি ই অনেক সুন্দর। আপনি যখন ই সময় পাবেন সেখানে ছুটে যাবেন। নদীর পাড়ে এমনিতেই ভালো লাগে।আর যদি স্মৃতি বিজড়িত হয় তবে তো ভালো লাগার মাত্রাটা একটু বেশীই হওয়ার কথা।