গরম থেকে বাঁচার উপায়!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার একটা গ্রামে থাকি। গ্রাম হলেও আমার এলাকা টা শহরের থেকে কোন অংশে কম না। একেবারে সত্যি বলছি। আমার এলাকায় আসলে শহরের সুবিধা এবং গ্রামের পরিবেশ প্রকৃতি সবকিছুই পাবেন। আমাদের গ্রাম টা একেবারে ছোট সেটা আপনাদের আগেও বলেছি। আমাদের গ্রামে প্রতিটা বাড়িতেই একটা করে টিউবওয়েল রয়েছে। যেটা থেকে আমরা খাওয়ার পানি সংগ্রহ করে থাকি। এছাড়া ঐ পানি রান্না করা সহ অন্য কাজেও আমরা ব্যবহার করি। তো বতর্মানে অবস্থা টা এমন দাঁড়িয়েছে আমাদের বাড়ির চারপাশে কারো টিউবওয়েলেই পানি নেই। আমাদের পুরো কুষ্টিয়ার অবস্থা ভয়াবহ। টিউবওয়েল চাপলে পানি উঠছে না। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার রহমতে আমাদের টিউবয়েলে পানি আছে। তো আমাদের বাড়ির আশপাশের সবাই আপাতত আমাদের টিউবওয়েল থেকেই পানি সংগ্রহ করছে।
প্রায় সারাদিনই আমার বাড়িতে অন্যদের আসা যাওয়া লেগেই আছে। গত বছরেও এমনটা হয়েছিল। বিশেষ করে এই এপ্রিল মে মাসে সমস্যা টা বেশি হয়। পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। তবে আমাদের এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে এখন মোটর আছে। সেটা দিয়ে তারা পানি তুলে উল্লেখযোগ্য একটা পরিমাণ পানি বছরের অন্য সময়ে নষ্ট করে। সেটার একটা ফলাফল তারা এখন বুঝতে পারছে। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এটা রীতিমতো আমাদের জন্য ভয়ের। এটা হচ্ছে গরমের জন্য। বিশেষ করে এই দুই মাস এই সমস্যা টা অতিরিক্ত হয়। এখন আরেকটা বিষয়ে আসি এই যে অতিরিক্ত গরম। তীব্র তাপদহে পুড়ছে পুরো বাংলাদেশ। কোন কোন ক্ষেএে তাপমাত্রা ৪০° ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এর প্রভাব আরও বাড়বে। এমন কেন হচ্ছে? হঠাৎ কেন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে এমন প্রশ্ন আপনাদের মনে আসে না??
একটা বাস্তব সত্য কথা বলি। আমরা জানি গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছ আমাদের জন্য অনেক কিছু করে। কিন্তু আমরা গাছকে বাঁচানোর জন্য কিছুই করি না কিছুই না। উল্টা আমরা গাছগুলো কেটে ফেলি। তো এমনটা করলে সূর্য তো অকৃজ্ঞদের পুড়িয়ে মারবেই। এতে সূর্যের দোষ কোথায় বলেন। গরম থেকে বাঁচতে চান আপনি?? হ্যা এটা তো আমি আপনি সবাই চাই। তাহলে এসি এয়ারকুলার কেনা বাদ দিন। সবাই সম্মিলিত ভাবে গাছ কিনুন। একজন গড়ে পাঁচটা করে গাছ রোপন করুন। যে কোন গাছ। হতে পারে সেটা ফলের গাছ বা কাঠের গাছ বা অন্য কোন গাছ। গাছ রোপণ করেন। রাস্তার পাশে, ফাঁকা জায়গাই। অথবা যেখানে থেকে গাছগুলো কেটেছেন সেখানে গাছ লাগান। আমি আপনাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি এইবছর একজন গড়ে পাঁচটা করে গাছ লাগান পরবর্তী বছর গুলোতে গরম অনেক অনেক কমে যাবে।
আমি নিশ্চিত গরম কমে যাবে। আমাদের এতো পরিমাণ গরম অনূভুত হওয়ার কারণ এইটাই। আমরা প্রতিনিয়ত গাছ কেটে ফাঁকা করে ফেলছি। ধ্বংস করছি সবুজ যার ফলে বৃষ্টি নেই। আর বৃষ্টি না থাকাই সৃষ্টি হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট। আজ থেকে ৬ বছর আগের কথা বলি। ঢাকা - কুষ্টিয়া হাইওয়ে জুড়ে অসংখ্য বড় বড় গাছ ছিল। যেগুলো আমি নিজে দেখেছি। যেই গাছগুলো পুরো রাস্তা কে ছায়া দিত। সূর্যের কোন প্রভাব পড়ত না রাস্তার উপর। একটা শান্ত সুন্দর ঠান্ডা পরিবেশ ছিল। কিন্তু এরপরেই সরকার থেকে কড়াভাবে উদ্যোগ নিয়ে এলাকার পাতিনেতা গুলোকে দিয়ে গাছগুলো কে কেটে ফেলা হয়। সত্যি বলতে ঐ গাছগুলো কেটে ফেলার পর এখন পযর্ন্ত ঐ জায়গাই একটা গাছের চারাও রোপণ করা হয়নি। এখন দুপুর বেলা বা রোদ উঠলে হাইওয়ে তে যাওয়া পযর্ন্ত যায় না। তো বলুন এখানে দায়ী কে?? অতিরিক্ত গরমের জন্য কাকে দোষী করবেন সৃষ্টিকর্তা কে না নিজেকে?? আমার কাছে যদি শোনেন আমি পরিষ্কার ভাবে বলব এটা আমাদের কর্মফল। সেজন্য আমরা এটা ভোগ করছি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং আপনার লেখাগুলোর সাথে আমি সহমত পোষণ করছি। আমরা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে পারি তাহলে প্রচণ্ড গরমের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে আমরা রক্ষা পাবো এবং আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন। এই গরম পরার জন্য আমরাই দায়ী।আমরা এয়ারকুলার না কিনে গাছ কিনে লাগালে আমাদেরই কিন্তু উপকার হবে।প্রতিজন যদি পাঁচটি করে গাছ লাগাই তবে ই কিন্তু দেশ আবার শীতল হবে।আজ আমরা গাছ কেটে ফেলে আমাদের কর্মফল আজ ভোগ করছি।এতে অন্যের কোন দোষ দিয়ে লাভ নেই।সবটাই আমাদের কর্মফল।
ঠিকই বলেছেন ভাই,গাছ কেটে ফেলার কারণেই গরমের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমরা যদি সবাই মিলে একটু সচেতন হয়ে নিজেদের বাড়ির আশেপাশ গুলিতেই প্রত্যেকে গাছ লাগাতাম তাহলে হয়তো পরবর্তী বছরগুলোতে এই গরমের প্রভাব কিছুটা হলেও কমে যেত। আপনাদের বাড়ির আশেপাশের টিউবওয়েল গুলোতে দেখছি কোনটাতেই জল নেই, তবে আপনাদের বাড়িতে ছিল বলে সবাই উপকৃত হল।
দিনকাল খুবই খারাপ যাচ্ছে প্রচণ্ড গরমের কারণে। এই গরমে যেন জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। হয়তো বিকল্প অনেক পদ্ধতি আমরা গ্রহণ করছি কিন্তু এগুলো খুবই সীমিত ও নরমাল ব্যবস্থা। কবে যে আবহাওয়া চেঞ্জ হবে এবং মানুষ স্বস্তি পাবে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানে। তবে এটা সত্য বলেছেন গাছ আমাদের পরম বন্ধু কিন্তু তাদের প্রতি আমাদের কোন যত্ন মায়া নেই। যদি আমার আরো বেশি বেশি গাছ লাগাই তাহলে গরমের হাত থেকে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের হাত থেকে বাঁচতে পারব।
আসলে এ সমস্ত কিছুর পিছনে মানুষেরাই দায়ী।অতিরিক্ত গাছ কেটে বিশ্বউষ্ণায়ন সৃষ্টি করছে মানুষেরাই।তাছাড়া আমাদের বাড়িতেও টিউবওয়েল রয়েছে।গরমের সময় চারিদিকে জল শুষে নেয় বলে খুবই কম জল ওঠে।আর জল না উঠলে মানুষের অনেক বড় সমস্যা।আপনাদের এলাকায় টিউবওয়েল থেকে জল উঠছে না জেনে খারাপ লাগলো।আসলেই বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন, ধন্যবাদ আপনাকে।
ইদানিং আমাদের এখানেও প্রচন্ড জলের সমস্যা হচ্ছে। তবে বর্তমানে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা যে দিন দিন বাড়ছে তার পেছনে কিন্তু পুরোপুরি আমরা দায়ী। আমরা এত পরিমানে গাছ কেটে ফেলছি এবং বাড়িতে এসি, এয়ার কুলার লাগাচ্ছি, গাছ না লাগিয়ে যার কারণে এত সমস্যা হচ্ছে। তবে আপনার মত আমারও ওটাই মনে হয় যে, আমরা যদি প্রতি বছর জন প্রতি গড়ে কমপক্ষে পাঁচটা করে গাছ লাগাই তাহলে হয়তো এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। বেশ শিক্ষামূলক একটা পোস্ট ছিল ভাই।
জী ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন,আমাদের উচিত একটি গাছ কাটলে কমপক্ষে তিনটি গাছ লাগানো। আর আমরা তেরটা গাছ কাটলেও একটা গাছ লাগায় না। তাহলে আমাদের গরম লাগবে না,লাগবে কার। আশা করি এই বছর সবাই গাছ লাগানোর প্রতি কিছুটা হলেও মনযোগি হবে। ধন্যবাদ।