ফ্রী ফ্রেঞ্চ ফ্রাই!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ঢাকাতে গিয়ে মোটামুটি একসপ্তাহ ছিলাম। তবে এই এক সপ্তাহের মধ্যে মাএ একদিন আমার কাজ ছিল। বাকি ছয়দিন বাসায় থেকেছি। না বের হতে পারতাম। কিন্তু একা একা বের হতে খুব একটা ইচ্ছা করেনা। যদি নিজের সমবয়সী কোন বন্ধু থাকত তাহলে এই সময় টা ঘোরাঘুরি করে কাটানো যেত। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠেনি। ঐ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালে একটু বাইরে হাঁটতে যাওয়া আর সন্ধ্যার সময় ছাদে গিয়ে বসে থাকা। এই ছিল আমার রুটিনে। আর বাকি টা সময় ঐ ফোন ল্যাপটপ আর একটা বই নিয়ে গেছিলাম সেটা নিয়ে কেটেছে। একদিক থেকে ভালোই হয়েছে বইটা পড়া হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে তো সময় করেই উঠতে পারি না। তবে এবারে আমি বইমেলা ঘোরার পরিকল্পনা করেই গেছিলাম। সেই মতোই রোহান ভাইয়া কে বলে রাখি।
তো সময় করে রোহান ভাইয়া একদিন সময় বের করে। আগের দিন রাতে ভাইয়া আমাকে জিজ্ঞেস করে আগামীকাল দুপুরে কী খাবি। ভাইয়া আমাকে বেশ কিছু খাওয়ার আইটেম সাজেস্ট করে। শেষমেশ আমি কিছু ঠিক করতে না পেরে ওর উপর ছেড়ে দেয়। আজ সেটা নিয়েই বলব। তো পরের দিন তো আমার ফোন ভেঙে গেল। মনটা খারাপ ছিল। তার উপর শুনি বইমেলা নাকী খুলবে সেই বিকেল তিনটাই আরও ঝামেলা। তো শেষমেশ আমি এবং রোহান ভাইয়া চলে যায় পুরান ঢাকার লালবাগ। এমনিতে পুরান ঢাকা খাওয়ার জন্য বেশ বিখ্যাত। যাইহোক ওখানে রোহান ভাইয়ার পছন্দের একটা দোকান পিজ্জা কিংস। দোকান টা একেবারে লালবাগ কেল্লার সামনের রাস্তায় অবস্থিত। আমার ফোন না থাকায় ছবি তুলতে পারিনি আমি।
যাইহোক এই রেস্টুরেন্টের একটা মজার কাহিনী বলি। যেটা ওখানে গিয়ে আমি জানতে পেরেছি। ওই রেস্টুরেন্ট এর মালিক একজন সাবেক বুয়েট স্টুডেন্ট। তো বুয়েটিয়ান রা অর্থাৎ বুয়েট স্টুডেন্টরা গিয়ে যদি ওখানে ৫০০ টাকার বেশি অফার করে তাহলে ১৫০ টাকার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই একেবারে ফ্রী। বিষয়টা বেশ মজার। রোহান ভাইয়ার বুয়েট লাইফ শেষ প্রায় একবছর। তারপরও ভাইয়া এই অফার টা নেয় হা হা। যাইহোক ভাইয়া আমার টা এবং তার টা অর্ডার করার পরে আমরা বসেছিলাম। আমাদের অর্ডার সার্ভ করতে ১৫-২০ মিনিট মতো সময় লাগবে। ঠিক ঐ সময়েই উনারা ঐ ফ্রী ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা দিয়ে থাকে। এবং আমাদের সামনে চলেও আসে। সঙ্গে সস মেওনিজ এবং মরিচের মিষ্টি আচার টাইপের একটা কিছু। আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা ফ্রী হলেও বেশ সুস্বাদু ছিল। এর আগে আমি ঐরকম মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাইনি বললেও খুব একটা ভুল হবে না।
যাইহোক ফ্রেঞ্চ ফ্রাই শেষ করার আগেই আমাদের মেইন কোর্স অর্থাৎ অর্ডার করা খাবার গুলো চলে আসে। আমরা সেগুলো উপভোগ করতে থাকি। এমন সময় দলে দলে আরও বেশ কিছু বুয়েট স্টুডেন্ট চলে আসে। এবং সবাই নিজেদের মতো অর্ডার করে তবে ঐ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা সবাই ইনজয় করে। এটা দেখে আমার বেশ ভালো লাগল। রেস্টুরেন্টের মালিক যেমন একটা ভালো বিজনেস পলিসি বের করে ফেলেছে আবার অন্যরাও বেশ উপভোগ করছে এইটা। প্রথমত আমার ফোনটা ভেঙে গিয়ে আমার মনটা বেশ খারাপ হয়ে ছিল কিন্তু। কিন্তু ঐ ফ্রী ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ফোনের কারণে হওয়া মন খারাপ টা কিছুটা কমিয়েছিল। ভেবেছি আবার যাব ওখানে। ফ্রীতে না হোক টাকা দিয়ে কিনেই খাব ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ যেতে চান বলেন আমাকে একসঙ্গে যাওয়া যাবে। সময় মতো আমি ডেকে নিব হা হা। সমস্যা নেই বিলটা না হয় আপনি দিয়েন আমি কিছু বলব না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি দেখছেন রেস্টুরেন্টে খুব দারুণভাবে মজা করে খেয়েছেন এবং সেখান থেকে বেশ একটি ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
সবই লোভনীয় রেসিপি ভাই। বেশি দারুণ মুহূর্ত কিন্তু আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সব মিলে বেশ অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট। আশা করি আনন্দঘন একটা মুহূর্ত ছিল আপনার জন্য। তবে এ পোষ্টের মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ফ্রী ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বাহ্ দারুন। বেশ সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আপনার ফোন ভেঙে গিয়েছে জেনে খারাপ লাগলো। আমার তো খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি যেহেতু যাবেন আমাকেও নিয়ে যেয়েন। অনেক সুন্দর করে বিষয়টি উপস্থাপন কি করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বাহ অসাধারণ কিছু খাবারের মেনু আপনি ফটোগ্রাফিতে শেয়ার করলেন। ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার মুহূর্তটি পড়ে। বই মেলায় যাওয়া উচিত কারণ বই কিনে পড়া উচিত আমাদের সকলের। আমরা সবাই এত অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছি আজকাল বই পড়তে একদম পছন্দ করি না। তবে লালবাগ কেল্লার সামনে পিজ্জা কিংসে আমরাও গিয়েছিলাম। যখন ঢাকাতে লালবাগ কেল্লাতে ঘুরতে গেছিলাম। অনেক ভালো লেগেছে আপনার মুহুর্তটি পড়ে।
ফ্রি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর কনসেপ্টটা কিন্তু দারুন ছিল ভাই। বিশেষ করে বুয়েটে যে ছাত্রছাত্রী গুলো পড়াশোনা করে তাদের জন্য এটা স্পেশাল অফার। তবে এটা কিন্তু একটা ভালো বিজনেস পলিসিও বটে কারণ ৫০০ টাকার বেশি খাবার অর্ডার করলে তখনই ফ্রি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দেয় । তারপরেও ফ্রি খাবার খেতে কার না ভালো লাগে।
আমি রাজি আছি ভাই। তবে যদি কোনো দিন কলকাতা দিয়ে ঢাকা যাই তাহলেই হবে।🤭🤭