রবীন্দ্র জয়ন্তীর মেলা (শেষ পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট বেশ আবেগের একটা জায়গা আমাদের কাছে। আমাদের দেশের মহল্লা ক্রিকেট বা এলাকার ক্রিকেটে বোলিং এর চেয়ে ব্যাটিং টা অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। তবে একটা কথা যার ব্যাট হয় সে সবসময় বাড়তি সুযোগ সুবিধা নিয়ে থাকে। নিজের একটা ব্যাট থাকবে এইরকম চাওয়া ছোটবেলা সবসময়ই ছিল। মেলায় মোটামুটি কম দামের মধ্যে ব্যাট পাওয়া যায়। আমি বলছি না সেগুলো অনেক ভালো তবে খেলার মতো ব্যাট। এবং অনেক কম দামে পাওয়া যায় ব্যাটগুলো। এরপর আমি এবং লিখন এইরকমই একটা ব্যাটের দোকানে যায়। ব্যাটের পাশাপাশি সেখানে ক্রিকেট স্ট্যাম্পও ছিল। এরপর একে একে আমরা ব্যাট হাতে নিয়ে ট্রাই করে দেখতে থাকি কেমন। যদিও আমার ব্যাট দেখার ইচ্ছা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
পরবর্তীতে আমার বন্ধু লিখন একেবারে পুরো কাঠের তৈরি একটা ব্যাট পছন্দ করে। দোকানদার একটা দাম বলে ব্যাট টার। এবং আমরা না নেওয়ার উদ্দেশ্যে ঠাট্টার ছলে একটা দাম বলি। ভেবেছিলাম দিবে না। কিন্তু দোকানদার বলে ঠিক আছে নিয়ে যান। তখন যদি না বলি ব্যাপার টা কেমন হয়ে যায়। লিখন ব্যাট টা কিনে নেয়। পরবর্তীতে ঐ ব্যাট দিয়ে ও বেশ কয়েকটা ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছে। যাইহোক এরপর আমরা আরেকটু সামনের দিকে গেলাম। দেখি বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি করছে। তবে সেরকম ইউনিক কোন খেলনা ছিল না। সেই চিরচেনা গাড়ি, বন্দুক বল এইগুলো। তবে বাচ্চাদের কাছে এগুলো বেশ আকর্ষণের হয়ে থাকে অবশ্য। এরপর দেখি পাশেই একজন বসে মিষ্টি জাতীয় কিছু খাবার এবং ভূট্টার খৈ বিক্রি করছে।
মোটামুটি এই সাইড আমাদের ঘোরাঘুরি শেষ। এখন লিখনের সেই নাগরদোলায় উঠার সময়। লিখন ঐটা যেন কোনভাবেই ছাড়তে রাজি না। কী আর করার দুজন চলে গেলাম ওখানে। পূণরায় লিখন আমাকে জোড়াজুড়ি করে উঠার জন্য। কিন্তু মোটামুটি আমার জবাব পরিষ্কার আমি পারব না ভাই হা হা। যাইহোক আমি নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং লিখন টিকিট কেটে নিয়ে আসে। প্রচণ্ড ভীড় ছিল ওখানে। টিকিট কেটে প্রায় অনেকেই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। কয়েক রাউন্ড পরে আসলো লিখনের সময়। তখন ও উঠে গেল। এবং আমি নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বুঝলাম লিখন বেশ ভালোই ইনজয় করছে। এই সুযোগে আমি কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে নেয়। শেষ হলে লিখন নেমে আসে নাগরদোলা থেকে। অনেকটা সময় হয়ে গেছে।
আরেকবার আমরা মেলার মধ্যে যায়। আমাদের আরও হালকা কিছু কেনাকাটা ছিল সেটা দ্রুতই শেষ করি। এরপর যখন ঘড়িতে তাকায় দেখি প্রায় রাত দশটা বাজে। অর্থাৎ অনেক রাত হয়ে গিয়েছে। এখন আর থাকা যাবে না। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা মেলা থেকে বের হয়ে যায়। যদিও মেলায় তখনও অনেক মানুষ ছিল। তারপর আমরা একটা ভ্যান ঠিক করে আসতে থাকি। হালকা জোৎস্না ছিল পাশাপাশি রাতের অন্ধকার গ্রামের পরিবেশ সবমিলিয়ে বেশ লাগছিল। এবং হালকা ঠান্ডা অনূভব করছিলাম। অর্থাৎ বৃষ্টির একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বাড়িতে আসতে অনেক টা সময় লেগে গিয়েছিল। মোটামুটি বেশ ভালোই ছিল আমাদের মেলা ট্যুর টা। দুজনেই বেশ উপভোগ করেছিলাম। জানি না আর কখনও এমন সুযোগ হবে কীনা এইরকম মেলায় যাওয়া।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন রবীন্দ্র জয়ন্তী মেলার শেষ পর্ব। আপনার এর আগের পর্বগুলো আমি দেখেছি এবং আপনি খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত সেখানে উপভোগ করেছেন। সেই সাথে এই মেলাটা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো অবশ্যই আমি একবার এই মেলাতে গিয়ে ঘুরে আসবো। আপনি মেলায় ঘোরাঘুরি করার সময় হঠাৎ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন অনেক রাত হয়েছে। তাই আর বিলম্ব না করিয়া চলে আসলেন এবং সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।