ঈদ সালামি দিয়ে বই কেনা ( শেষ পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
পার্সেলটা নিয়ে আমি আমার ঘরে চলে আসি। তারপর একটা ছুরি নিয়ে কাটতে শুরু করি পার্সেল টা। দুই থেকে তিন পর্যায়ের লেয়ার ছিল পার্সের টা তে। প্রথমে একেবারে সাধারণ একটু মোটা কাগজ দিয়ে পেপারিং করা। এবং এটা ঐ পেজের নাম লেখা কাগজ। এবং তার নিচে ছিল প্লাস্টিক জাতীয় এক ধরনের কাগজ। যাইহোক ছুরি দিয়ে সেটাও কেটে ফেললাম। এরপর আমার বইগুলো একে একে বের হয়ে আসলো। অন্য বইগুলোর তুলনায় বামন বইটা সবচাইতে ছোট। এইজন্য এই বইটাই ছিল সবচাইতে উপরে এটা একটা ক্রাইম থ্রীলার বই। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন কাদের নিয়ে লেখা। এবং বইটার লেখক হচ্ছে পলাশ পুরকায়স্থ। বামন এর পরে আসলো আমাদের বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় এর বেলা।
প্রথমেই ছিল আরণ্যক। আরণ্যক একটা প্রকৃতি নিয়ে লেখা উপন্যাস। বলা হয় নিজের জীবনে একটা অংশে এইরকম একটা জঙ্গলেই চাকরি করতেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়। অর্থাৎ এটা তার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। এরপর আসে আদর্শ হিন্দু হোটেল। এটা অনেক জনপ্রিয় একটা উপন্যাস। একেবারে সাদামাটা কাহিনী হলেও এখানে যেন একটা প্রাণশক্তি আছে। এরপর ছিল শাহেদ জামান এর অনুবাদ করা ডি কুন্টজ এর লেখা একটা ক্রাইম থ্রীলার। এটা বইগুলোর মধ্যে সবচাইতে মোটা ছিল। এই বইটার কাহিনী আমার পড়া হয়নি। তবে এটা ঐ সাইকোলজি থ্রীলার ক্যাটাগরির এটা মোটামুটি নিশ্চিত আমি। ঐরকম ধারণা করেই আমি বইটা তালিকায় যুক্ত করেছিলাম। এবং তারপর ছিল কসমোজোহি। এটার কাহিনী টা বেশ দারুণ।
কক্সবাজারে ঘুরতে এসে খুন হয় এক বিদেশী নাগরিক। সেটা নিয়ে তদন্ত শুরু করলে ঐ পুলিশ অফিসার ফিরে যায় নিজের পুরাতন একটা সমাধান না হওয়া কেসে। এইরকম একটা ঘটনা নিয়েই লেখা বইটা। এবং এটা আমাদের বাংলাদেশের বতর্মান প্রজন্মের লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর লেখা। বতর্মানে উনি অনেক জনপ্রিয় একজন লেখক। আরেকটু বিস্তারিত বললে হয়তো চিনবেন। রবীন্দ্রনাথ এখানো কখনো খেতে আসেন নি উপন্যাস টা কিন্তু উনারই লেখা। ওটাও একটা ক্রাইম থ্রীলার। এরপর ছিল অপরাজিত এবং চাঁদের পাহাড়। অপরাজিত হলো পথের পাঁচালি এর পরের অংশের লেখা বলা যায়। অর্থাৎ অপুর শৈশব থেকে কৈশোর উঠে এসেছে বইটার মধ্যে। এবং চাঁদের পাহাড় তো একটা অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস। বাঙালির ছেলে শংকর এর আফ্রিকায় হীরা আবিষ্কারের কাহিনী।
এরপর যে বইটা ছিল সেটা হচ্ছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পদ্মা নদীর মাঝি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত সেই উপন্যাস দেবদাস। এবং সবার শেষে ছিল পথের পাঁচালি। শেষ হয় আমার লিস্টের দশটা বই দেখা। সত্যি বলতে বইগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগছিল। নতুন বই বুঝতেই পারছেন। তাছাড়া বইগুলোর প্রচ্ছদ ছিল খুবই সুন্দর একেবারে ঝকঝকে এবং আকর্ষণীয়। বই এমনিতেই ছাড়ে বিক্রি হয়। কিন্তু তারপরও এই বইগুলোর উপর আরও বেশি ছাড় ছিল। যাইহোক এতোকিছুর মধ্যেও কিন্তু ভিডিও করতে ভুলে যায়নি। পাশেই একজন ভিডিও করছিল। না একজন বলাতে অন্যরকম কিছু ভাবার দরকার নেই। আমার এলাকার এক ছোট ভাই আর কী। আজ থেকে এগুলো পড়া শুরু করব। প্রথমেই শুরু করব আদর্শ হিন্দু হোটেল দিয়ে। শিয়ালদা স্টেশনের পাশে বেচু চক্কওির হোটেলে যাব হাজারীর রান্না খেতে। যাবেন নাকী আপনারা??
আনবক্সিং ভিডিও
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ বই গুলো দেখে অনেক ভালো লাগছে। এগুলোর মধ্যে আমি পদ্মা নদীর মাঝি সম্পূর্ণ বইটা পড়েছি,পথের পাঁচালী ও দেবদাস অল্প একটু পড়েছিলাম। বাকি গুলো পড়ি নাই। বই গুলো দেখে বই পড়ার আগ্রহ নতুন করে জেগে উঠলো। ধন্যবাদ।
ঈদ সালামি দিয়ে দারুণ সব বই কিনেছেন ভাইয়া। খুব ভালো কাজ করেছেন। কারন বই আমাদের পরম বন্ধু। বামন,কসমোজোহিসহ অনুবাদ বইটি পড়া হয়নি। তাছাড়া সব বই মোটামোটি পড়া। আপনার বইয়ের কালেকশন খুব সুন্দর। বিভূতি ,শরৎচন্দ্র ও মানিক বাবু আমার প্রিয় লেখদের মধ্যে অন্যতম। তবে বই আর আগের মত পড়া হয়না। ভাবছি সময় বের করে আবার পড়া শুরু করবো। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ঈদ সালামী দিয়ে চমৎকার কিছু বই আনালেন ভাইয়া।বই দেখে বই পড়ার ইচ্ছে জাগলো আমার ও।আপনি বই আনবক্সিংভিডিও শেয়ার করেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো আপনার আনা বইগুলো দেখতে পেয়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুব চমৎকার চমৎকার কিছু বই ছিল ইমন আমি কিন্তু তোমার কাছে দুইটা বয় চেয়েছি দিতে হবে কিন্তু।ইদ সালামি দিয়ে বই কেনা খুব দারুন একটি কাজ করেছো দাদা সৃতিকে বাস্তব রুপ দিয়ে রাখলে ধন্যবাদ তোমার এই সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।