ইউরো -২০২৪( জার্মানি VS স্কটল্যান্ড )।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Sony Liv channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
২০১৪ বিশ্বকপের পর জার্মানি ফুটবল দল কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। তাদের আর সেই চিরচেনা রূপে পাওয়া যেত না। পরপর দুই বিশ্বকাপ থেকে গ্রুপ পর্বে বিদায়। পর পর দুই ইউরোতে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স। যদিও আমি জার্মানি ফ্যান না। তবে ফুটবলের এই পরাশক্তি বিশ্বের যেকোন দলকে নিমেষেই গুড়িয়ে দিতে পারে। যাইহোক গতকাল ছিল ইউরো ২০২৪ এর প্রথম ম্যাচ। সত্যি বলতে ইউরোপের দলগুলো খেলার মধ্যে যে গতিটা সেটা আমার বেশ ভালো লাগে। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় জার্মানি এবং স্কটল্যান্ড। মোটামুটি সবদিক থেকে স্কটল্যান্ডের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল জার্মানি। তবে ভাবতে পারিনি জার্মানি ঐরকম বিধ্বংসী পারফরম্যান্স করবে।
ম্যাচ টা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১ টা। জার্মানি কোচ নেগেলসম্যান ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে তার দলকে মাঠে নামায়। যেখানে জার্মানি দলের অধিকাংশ খেলোয়ার ছিল একেবারে তরুন। এই ব্যাপার টা বেশ ভালো লেগেছিল আমার। অন্যদিকে স্কটল্যান্ড কোচ ক্লার্ক তার দলকে মাঠে নামায় ৩-৪-২-১ ফর্মেশনে। খেলা শুরু হয়। প্রথম থেকেই বল নিজেদের দখলে রেখে খেলছিল জার্মানি। বল নিজেদের মধ্যে পাস খেলছিল এবং তারপর হঠাৎ আক্রমণ। ম্যাচের ৬ মিনিটেই অসাধারণ একটা সুযোগ পাই জার্মানির তরুন খেলোয়ার ওয়ার্টেজ। কিন্তু সে গোল করতে ব্যর্থ হয়। তবে এর ঠিক পরেই ম্যাচের ১০ মিনিটে জার্মানির হয়ে প্রথম গোল করে ওয়ার্টেজ। ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি।
এরপর যেন জার্মানি তাদের সেই চিরচেনা রুপ ফিরে পাই। যেটা তারা হারিয়ে ফেলেছিল। ম্যাচের ১৯ মিনিটে জার্মানির আরেক তরুন জামাল মুয়সালা অসাধারণ একটা গোল করে। এবং নিজের দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায়। এরপর যথারীতি খেলা চলতে থাকে। জার্মানি তাদের সাবলীল খেলা টা খেলতে থাকে। কিন্তু ম্যাচের ৪৪ মিনিটে স্কটল্যান্ডের ডিফেন্ডার পর্টেয়াস ডিবক্সের মধ্যে গুরুতর ফাউল করলে রেফারি তাকে লাল কার্ড দেয়। এবং তাকে মাঠ ত্যাগ করতে হয়। পেনাল্টি থেকে সফল স্পট কিক নেয় কাই হাভার্টজ। এবং প্রথমার্ধেই পুরো ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। ততক্ষণে জার্মানি ম্যাচে একক আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছে। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে দুই দল।
জার্মানি তাদের সেই খেলাটাই খেলতে থাকে। তবে এইদিন জার্মানিরর্মানির মিডফিল্ডার টনি ক্রুস ছিল অনন্য। অর্থাৎ সে ১০১ টা পাসের মধ্যে ১০০ পাস নির্ভুল দিয়েছে। তার পাসিং অ্যাকুরেসি ৯৯ শতাংশ ছিল। এরপর ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ফুলকার্গ এর গোলে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। ম্যাচের শেষের দিকে ৮৭ মিনিটে নিজের ভুলে নিজের জালে গোল করে বসে রুডিগের। রুডিগের এর আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পাই স্কটল্যান্ড। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে জার্মানির হয়ে পঞ্চম এবং শেষ গোলটা করে ক্যান। ফলে পুরো ৫-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মানি। প্রথম ম্যাচেই জার্মানি যেন অন্য দলগুলো কে জানান দিয়ে দিল তারা এবারের ইউরো কাপের অন্যতম দাবিদার।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফুটবলের ম্যাচ রিভিউটি খুব ভালো হয়েছে। একসময় ফুটবলের পরাশক্তি ছিল জার্মানি। তাদের লম্বা পাসের খেলা এখনো চোখে লেগে আছে। আপনার রিভিউকৃত খেলাটি দেখিনি। কিন্তু রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে জার্মানি দূর্দান্ত খেলেছে। ইউরোকাপ-২০২৪ এ প্রথম মুখোমুখি জার্মানি বনাম স্কটল্যান্ড এর ম্যাচ রিভিউটি আমার ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জার্মানি দলটাতে কোনো নির্দিষ্ট তারকা প্লেয়ার না থাকলেও তাদের রিয়েছে কাউন্টার এট্যাক দেওয়ার মতো স্কোয়াড। তবে তারা তাদের ছন্দ হারিয়ে ফেলে ২০১৪ সালের পর থেকে।দারুন জয় নিয় ফিরলো। আপনিও দারুন রিভিউ করেছেন।
জার্মানির খেলা দেখে মনে হল এবারের ইউরো কাপের দাবিদার তারাই। অসাধারণ একটি খেলা উপহার দিয়েছে তারা। সর্বশেষ স্কটল্যান্ড ১ গোল আর জার্মানি ৫ গোল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি খেলার রিভিউ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।