রেনডম ফটোগ্রাফি।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন কোন লেখা নিয়ে আপনাদের মাঝে আসতে। যাইহোক আজকেউ চলে এসেছি এইরকমই একটা ব্লগ নিয়ে। ফটোগ্রাফি আমাদের কাছে অনেক পরিচিত একটা বিষয়। বিশেষ করে এই স্মার্টফোনের যুগে তো এটা একেবারে অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টিমিটে জয়েন করার পরে আমি নিজেও শুরু করি ফটোগ্রাফি করা। আজকে আমি আরও কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি। এগুলো এই কিছুদিনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ফটোগ্রাফি করা। ফটোগ্রাফি আমার অনেক পছন্দের একটা বিষয়। আমি সবসময় চেষ্টা করি প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করতে। যাইহোক আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
- বাড়িতে আসার পরে মোটামুটি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করছি। তবে এর মধ্যে একদিন বেরিয়ছিলাম আমার বন্ধু লিখনের সঙ্গে। এটা হলো গড়াই নদীর পাড়। একেবারে সন্ধ্যার সময় আমি এবং আমার বন্ধু লিখন এখানে গিয়েছিলাম চা খেতে। কিন্তু গিয়ে দেখি চায়ের দোকান বন্ধ। তবে আমি এই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছিলাম। সন্ধ্যার হালকা লাল আকাশ এবং নদীর অসাধারণ লাগছিল পরিবেশ টা। তখন এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি ধারণ করেছিলাম।
- এতো কিছুদিন আগে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন বিকেলে বের হয়েছিলাম ঘুরতে। অধিকাংশ সময় আমরা গ্রামের দিকে ঘুরতে যায়। বিকেল বেলায় গ্রাম গুলো অসাধারণ লাগে। সূর্যের শেষ আলো এবং গাছের ছায়া দুইটাই অসাধারণ একটা অনূভুতি সৃষ্টি করে। এই জায়গাটা এইরকমই একটা রাস্তা। সুন্দর পিচঢালা রাস্তা অসাধারণ একটা বাঁক। এবং দুই পাশে অনেক বড় বড় গাছ। একেবারে মনোরম একটা দৃশ্য। এই রাস্তা টা দিয়ে যতবারই যায় খুব ভালো লাগে আমার কাছে।
- এটা হলো আমার ক্যাম্পাস কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মাঠ। গত চারবছর এই মাঠে কত স্মৃতি রয়েছে। কত ফুটবল ক্রিকেট খেলেছি। বন্ধুদের সঙ্গে বসে অনেক আড্ডা দিয়েছি। কিন্তু এখন আমাদের বিদায়ের সময় এসে গেছে। কিন্তু মাঠটা রয়েছে আগের মতোই। এখনো মাঠটা ফাঁকা নেই। ঘটেছে নতুন কুড়ির আগমন। মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে আমি এবং আমার বন্ধুরা গল্প করছিলাম। ঐ সময়ে আমি এই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করি।
- এটা আমাদের কুমারখালী রেলওয়ে স্টেশন এর পাশের একটা রাস্তা। রাস্তার ঐ পাশে পাশাপাশি রয়েছে কুমারখালী থানা এবং হাসপাতাল। ইদানিং এই রাস্তা দিয়েই আমি পড়াতে যায়। তো সেদিন টিউশনি শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম তখন দুপুর বেলা। রোদের মধ্যে বেশ দারুণ লাগছিল পরিবেশ টা। ঐ সময়ে আমি ফটোগ্রাফি টা ধারণ করেছিলাম।
- এই জায়গাটা আমার অনেক পছন্দের। এই জায়গাটা আমার বাড়ির খুব কাছেই। জায়গা টা বছরের একেকটা ঋতুতে একেকটা রুপ ধারণ করে। একটা রৌদ্দজ্বল পরিবেশে ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম আমি। বেশ দারুণ ছিল ওয়েদার টা। তখন আমি এই ফটোগ্রাফি টা ধারণ করি।
- এটা হলো আমাদের কুমারখালী গড়াই নদীর উপর দিয়ে নির্মিত সেতু। কিছুদিন আগে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন ঘুরতে বের হয়েছিলাম। এবং একপর্যায়ে আমরা চলে যায় সেতু তে। ঐসময় আমি ব্রীজের উপর থেকে এবং একটা ব্রীজের নিচ থেকে ফটোগ্রাফি করি। রাতের বেলা বেশ দারুণ লাগছিল ব্রীজটা। যেটার কিছুটা রেশ এই ফটোগ্রাফির মধ্যেও বোঝা যাচ্ছে।
- এটা হলো আমাদের কুমারখালী পৌরসভার গেট। আমাদের কুমারখালী শহর ঐতিহ্যবাহী একটা শহর। এবং এটা অনেক আগে ১৮৬৯ সালে পৌরসভা হয়। মানে যেটা ব্রিটিশ আমলে। পৌরসভার ভবন যদিও নতুন করে এখন হয়েছে। কিছুদিন হলো বেশ রঙ করেছে। একদিন টিউশনি করে ফেরার পথে ঐদিকে গেছিলাম। ঐসময়ে ফটোগ্রাফি টা করেছিলাম আমি।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | নভেম্বর ,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। গড়াই নদীর পাড়ের সন্ধ্যার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক দিন পর বাড়িতে এসে বেশ আনন্দে আছেন বুঝতে পারছি। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্য থেকে আমার কাছে গড়ায় নদী থেকে ধারণ করা ফটোগ্রাফি এবং খেলার মাঠের ফটোগ্রাফিটা খুবই ভালো লেগেছে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বর্তমান স্মার্টফোনের যুগে ফটোগ্রাফি করাটা খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে এবং এই প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর থেকে এই কাজটি করতে বেশি পছন্দ করি। যেটা আমাকে অনুপ্রেরণা দেয় আপনার করা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর ছিল । গ্রামীন পরিবেশের নদীর দৃশ্য খুবই সুন্দর ভালোই উপভোগ করেছি।
দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া ৷ প্রকৃতির এমন এলোমেলো ছবি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আমার ৷ প্রত্যেকটা ছবি অসাধারণ হয়েছে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন চমৎকার কিছু ছবি ও তার সুন্দর বিবরণ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আগের সময় টার স্মৃতিচারন হল। অনেকগুলো জায়গায় অনেক পরিচিত। বিশেষ করে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক প্রিয় ক্যাম্পাসের অনেকদিন পর ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আর গড়াই নদীর পাড় যেখানে অনেক সময় কাটিয়েছি আমরা। রাতের বেলা গোলাম কিবরিয়া সেতু র ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ করেছেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান স্মার্ট ফোনের যুগে ফটোগ্রাফি করা বেশ সহজ হয়ে গেছে।আপনি বাড়িতে গিয়ে খুব ঘুরাঘুরি করে সময় কাটাচ্ছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। শহরে তো এমন পরিবেশ পাওয়ার নয়।আপনি সূর্যের শেষ আলোয় চমৎকার কিছু গ্রামীণ পরিবেশের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। খুবই ভালো লেগেছে।গড়াই নদীর পাড়ের সন্ধ্যার দৃশ্য গুলো ও চমৎকার লেগেছে।সবগুলো ফটোগ্রাফি আর সুন্দর বর্ননায় ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্ দারুণ দারুণ ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন আপনি। আপনার তোলা প্রতি টা ফটোগ্রাফি আমার মন কেড়েছে।জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ফটো গুলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আপনি স্মার্টফোনের যুগে আসলেই ফটোগ্রাফি নিতে বেশ ভালই লাগে। যেহেতু হাতে মোবাইল থাকে যে কোন সুন্দর কিছু দেখলেই ফটোগ্রাফি নিতে সুবিধা হয়। তো আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিলেন প্রাকৃতিক দৃশ্যের। তাছাড়া সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।