অস্থিরতা।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ৩ রা অক্টোবর, ২০২৩।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


bad-weather-2773034_1280.jpg

Source


অস্থিরতা খুবই সাধারণ একটা জিনিস। আমাদের সবার মধ্যেই এই অস্থিরতা কাজ করে। এটা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতে পারে। অস্থিরতা ব‍্যাপার টাই কিন্তু এমন। এই অস্থিরতা শব্দ এবং অনূভুতির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। আমি নিজেও এটার স্বীকার হয়েছি অসংখ্য বার। এই অস্থিরতা যখন আপনার মধ্যে থাকবে তখন কিছুই ভালো লাগবে না। তবে প্রচলিত কিছু কারণ আছে আমাদের জেনারেশনের যেটার জন্য আমরা বেশি অস্থির হয়ে যায়। যে কারণ গুলো আমাদের ডিপ্রেশনের কারণ। যে কারণগুলো আমি নিজেই উপলব্দি করেছি। সেজন্যই ভাবলাম এই সম্পর্কে লেখা যাক। এই টা আমি যখন লিখছি রাত কিন্তু তখন ১ টা ১২ বাজে। ইদানিং এই অস্থিরতার জন‍্যই রাতে দেরিতে ঘুমাই। স‍্যোসাল মিডিয়ায় পড়ে থাকি গান শুনি এই করি সেই করি সবমিলিয়ে অস্থিরতা টা কাটানোর চেষ্টা করি। এই অস্থিরতা থেকেই ডিপ্রেশনের সৃষ্টি হয় আবার অন‍্যভাবে আপনি এই অস্থিরতা কেই ডিপ্রেশন বলতে পারেন।

আমাদের জেনারেশনের সবচাইতে বড় সমস্যা অল্পতেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলা। এটা আমার মধ্যেই রয়েছে। আমরা অল্প পরিশ্রমে বা খুব কম সময়ে সফল হতে চাই। আমরা চাই আমরা সবসময়ই ভালো থাকব। আমাদের সবকিছু থাকবে। কিন্তু এটা আমাদের খুব দ্রুত লাগবে। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত জিনিস যখন আমরা পাই না। সহজাতভাবেই আমরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। এবং আমাদের মধ্যে একটা অস্থিরতা কাজ করতে শুরু করে। এটা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় একটাই কম আশা করুন। এরপর আরেকটা বিষয় আছে আমরা অন‍্যের অর্জন ভালোভাবে নিতে পারি না। বা সহজেই কারো সঙ্গে নিজের তুলনা করে ফেলি। যেমন আমার ঐ বন্ধুর এই আছে সেই আছে আমার কেন নেই। সৃষ্টিকর্তা ওকে সব দিয়েছে আমাকে কেন দেন নাই। এগুলো নিয়ে আমরা অস্থির হয়ে যায় ডিপ্রেশনে চলে যায়। এখানে বলে রাখা ভালো আমি নিজেও কিন্তু এর বাইরে না। তবে একটা কথা যার যতটুকু প্রয়োজন সৃষ্টিকর্তা তাকে ততটুকুই দেন।


woman-2666433_1280.jpg

Source


আমাদের এই জেনারেশনের আরেকটা বড় বিষয় হচ্ছে রিলেশন বা সম্পর্ক। একটা অংশ আছে যারা খুব দ্রুতই সফলতার আশা করে। কারণ তারা কখনোই তাদের প্রিয় মানুষটাকে হারাতে চাই না। আর আমাদের দেশের বাবা মা গুলো ঐরকমই এখনো রিলেশন করে ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ পার্টনার পছন্দ করে টা সঠিকভাবে দেখে না। তারা সময় টা দিতেই চাই না। এটাও অস্থিরতার একটা কারণ। আবার আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনার সঙ্গে স্বাভাবিক ব‍্যবহার করছে না। অথবা আপনাকে প‍্যারা দিচ্ছে বা সে আপনাকে বুঝছে না এটা যেত কতটা প‍্যারা দেয় কতটা অস্থিরতার সৃষ্টি করে সেটা যারা প্রেম করেছেন তারা অবশ্যই জানেন। প্রেম করেছেন অথচ এই অস্থিরতার সম্মূখীন হন নাই এটা এককথায় অসম্ভব হা হা।। তবে একটা বয়সে গিয়ে যখন আপনার মধ্যে ম‍্যাচিউরিটি চলে আসবে তখন এগুলো নিয়ে ক্রমেই অস্থিরতা কমতে থাকবে। কারণ তখন ক্রমেই আমরা বাস্তবতার সঙ্গে পরিচিত হতে থাকি। আমরা বুঝে যায় আমরা যেটা ভাবি তার বাইরেও বিশাল একটা জগত আছে।

এবার আসি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। আমাদের জেনারেশনের ছেলেমেয়েদের অস্থিরতার সবচাইতে বড় একটি কারণ কিন্তু তার পরিবার। আমাদের পরিবারের আমাদের প্রতি অতিরিক্ত প্রত‍্যাশা বা পরিবারের অতিরিক্ত চাপ আমাদের সহজেই অস্থির করে তোলে। একপর্যায়ে গিয়ে আমাদের বাবা মা আমাদের প্রতি হতাশা প্রকাশ করে। এটাতে অবশ‍্য বাবা মায়ের চেয়ে আমাদের সোসাইটি বেশি দায়ী। কারণ আমাদের বতর্মান সোসাইটি আমাদের বাবা মা কে এইরকম ভাবতে বাধ্য করে। এবং এখন খুবই কম বাবা মা আছে যারা এটা মেনে নিয়ে বা মানিয়ে নিবে নিজের সন্তানকে বলবে ঠিক আছে এবারে হলো না পরের বার হবে। আবার পরিবারের বাবা মায়ের মধ্যে অশান্তি ঝামেলা এটাও সন্তানদের উপর বেশ বিরুপ প্রভাব ফেলে। এটা অতিরিক্ত মাএায় ছেলেমেয়েদের কে অস্থির করে তোলে। আর একটা সবচাইতে মারাত্মক বিষয় হচ্ছে স‍্যোসাল মিডিয়া। যেটা আমাদের অস্থিরতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আশাকরি এটার সঙ্গে আপনারাও একমত হবেন। স‍্যোসাল মিডিয়া আমাকে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ ডিমোটিভেট করে দেবে। এটাই চরম সত‍্য। যদিও স‍্যোসাল মিডিয়া ছাড়া আমার প্রতিটা দিন এখনো অসম্পূর্ণ। কিন্তু এটাই বাস্তব।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_20230518_131529.JPG

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

বর্তমান যুব সম্প্রদায়ের বাস্তব পর্যায়েটা তুলে ধরেছেন এই পোস্টের মধ্যে। বর্তমান মানুষ সত্যিই প্রেম পিরিতি করে বিয়ে করার চেষ্টা করে থাকছে বেশি তবে এখানে বেশ পেরা রয়েছে একজনার চাহিদা আরেকজনের সাথে খাপ খায় না যদিও প্রেম করে অনেক বিয়ে হচ্ছে আবার এখানে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়ে চলছে। আর আজ যেন এই সমস্ত বিষয়গুলো সারাদেশে ভাইরাসের মত ছড়িয়ে পড়ছে প্রেম পিরিতির প্যারা। তবে এই অবাক চলাচল কিন্তু ধর্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলছে।

 10 months ago 

সেজন্য যে কোন কাজের ক্ষেত্রে ধৈর্যশীল হতে হবে। বর্তমান সমাজে এই বিষয়টি বেশি দেখা যাচ্ছে অস্থিরতা এবং অল্প সময়ে অধ িক লাভের প্রত্যাশায় নিজেকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেওয়া। যেটা সফলতা থেকে অনেক দূরে ঠেলে দেয় এই ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে ভালো লাগলো পড়ে।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

বর্তমান সময়ের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করলেন। সত্যিই দারুন লাগলো। অস্থিরতা সব মানুষের মধ্যে ই আছে কম-বেশি। এই অস্থিরতা নানান কারনেই হতে পারে।আপনি সেই দিকগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

আমাদের সকলের উচিত সকল কাজে ধৈর্য ধারণ করা এবং ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করা। ধৈর্য ধরলেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে ফিরে আসা যায়। আসলে আমাদের এই জেনারেশনের এই সমস্যাটা আছেই। কেউই ধৈর্য ধারণ করতে পারে না তার জন্য ভিতরে একটি অস্থিরতা কাজ করে। সো সব মিডিয়ার মারাত্মক দিকটা তুলে ধরেছেন। কিন্তু এ মারাত্মক জিনিসটাই আপনি অনেক আক্রান্ত বলা যায়। কারণ আপনি নিজেই বলেছেন আপনি রাত একটায় ঘুমান কারণ আপনি সোশ্যাল মিডিয়া পড়ে থাকেন। যাই হোক আপনার অস্থিরতা দূর হোক।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

অনেক ভালো লাগলো অস্থিরতা নিয়ে আপনি খুব সুন্দর লিখলেন। আসলে অস্থিরতা এমন একটা জিনিস সেটা প্রেমের ক্ষেত্রে হোক। তাছাড়া কোন কাজের ক্ষেত্রে সফলতা না পাওয়ার ক্ষেত্রে হোক। যেকোন ভাবে মানুষের অস্থিরতা হতে পারে। যেটার মূল কারণ হচ্ছে ডিপ্রেশন যা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে ডিপ্রেশন অনেক খারাপ জিনিস এটা থেকে বিরত থাকা খুবই ভালো। যতটুকু সম্ভব নিজেকে যত বেশি বিজি রাখা যাবে তত বেশি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

 10 months ago 

আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।আসলেই বর্তমানে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বেশি দেখা যায়।এর কারণ আধুনিকতার ছোঁয়া বলে আমার মনে হয়।অস্থিরতা মানুষের জীবনকে ঘিরে ধরে আর ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে খুব সহজেই।তখন মানুষ নানা ভুল কাজের পদক্ষেপ নেয়,ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 months ago 

অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমাদের সবার মধ্যেই অস্থিরতা অথবা ডিপ্রেশন কাজ করে। এটা কাজ করার সবচেয়ে বড় কারণ হলো আমরা অল্পতেই ধৈর্য হারা হয়ে যাই যেটা আপনি পোষ্টের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। আমরা সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা খুব কম রাখি ।আমরা যদি আল্লাহ সুবহানাতায়ালার উপর ভরসা রাখি ডিপ্রেশন অনেকটাই কেটে যাবে। আর ছেলেমেয়ের রিলেশন এর জন্য এখনকার মানুষ বেশি ডিপ্রেশনে চলে যায়

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 66899.66
ETH 3464.07
USDT 1.00
SBD 2.80